ঢাকা , সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেড় বছরে গড়ে প্রতিটি শেয়ারের দর বেড়েছে ৬১ শতাংশ

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২২
  • 10

ইব্রাহিম হোসাইন (রেজোয়ান) : করোনাভাইরাসের শুরুতে দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধস নামে। যাতে করে শেয়ার ও ইউনিট দর তলানিতে নেমে যায়। তবে সেই পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে কাটিয়ে তুলেছেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন। যাতে করে গত দেড় বছরে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর গড়ে প্রতিটি শেয়ারের দর ৬১ শতাংশ করে বেড়েছে। আর মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর বেড়েছে ৩৭ শতাংশ হারে।

বিশ্বব্যাপি করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে পতন হতে শুরু করে। তবে দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ করোনা শনাক্ত হওয়ার পরে ভয়াবহ ধস নামে। ওই ধসে সিকিউরিটিজ দর তলানিতে নেমে আসে। এরমধ্যেই একই বছরের মে মাসে শেয়ারবাজারের দায়িত্বভার পান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। যার নেতৃত্বাধীন কমিশন তলানিতে থাকা বাজারকে এগিয়ে নিয়ে নানামূখী উদ্যোগ নেয়। যার আলোকে শেয়ারবাজার ঘুরে দাড়াঁয়।

দেখা গেছে, ২০২০ সালের ৩০ জুন প্রতিটি শেয়ারের গড় দর ছিল ৩৬.৭৬ টাকা ও গড় ইউনিট দর ছিল ৫.৩৩ টাকা। যা বেড়ে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ার দর ৫৯.১২ টাকায় ও ইউনিট দর ৭.৩১ টাকায় দাড়িঁয়েছে। এ হিসাবে গত দেড় বছরে গড়ে প্রতিটি শেয়ারের দর বেড়েছে ২২.৩৬ টাকা বা ৬১ শতাংশ ও ইউনিট দর বেড়েছে ১.৯৮ টাকা বা ৩৭ শতাংশ।

গত ৩১ ডিসেম্বর তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৮৬ কোটি ২ লাখ। এগুলোর ওইসময় প্রতিটির গড় ৫৯.১২ টাকা করে মোট দর ছিল ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৬৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর মিউচ্যুয়াল ফান্ডের গড় ইউনিট দর দাড়াঁয় ৭.৩১ টাকা। ওইসময় ৫৫৩ কোটি ৪৭ লাখ ইউনিটের দর ছিল ৪ হাজার ৪৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

এর আগে ২০২০ সালের ৩০ জুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সব শেয়ারের দাম দাড়িঁয়েছিল ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ কোটি টাকায়। যাতে প্রতিটি শেয়ারের গড় দর ছিল ৩৬.৭৬ টাকা। আর ২ হাজার ৯৫০ কোটি ৯০ লাখ টাকার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের প্রতিটি ইউনিটের গড় দর দাড়িঁয়েছিল ৫.৩৩ টাকায়।

বর্তমানে কোম্পানিগুলোর (মিউচুয়াল ফান্ড ছাড়া) পরিশোধিত মূলধন দাড়িঁয়েছে ৮০ হাজার ৮৬০ কোটি ২০ লাখ টাকায়। যা ৩৪৫টি কোম্পানির গড়ে রয়েছে ২৩৪ কোটি ৩৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। আর ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পরিশোধিত মূলধন দাড়িঁয়েছে ৫ হাজার ৫৩৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। যা গড়ে প্রতিটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পরিশোধিত মূলধন দাড়িঁয়েছে ১৪৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকায়।

আরও পড়ুন……
মুনাফা সর্বোচ্চ বেড়েছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের, কমেছে জাহিন স্পিনিংয়ের

বিজনেস আওয়ার/৩০ জানুয়ারি, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

দেড় বছরে গড়ে প্রতিটি শেয়ারের দর বেড়েছে ৬১ শতাংশ

পোস্ট হয়েছে : ০২:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২২

ইব্রাহিম হোসাইন (রেজোয়ান) : করোনাভাইরাসের শুরুতে দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধস নামে। যাতে করে শেয়ার ও ইউনিট দর তলানিতে নেমে যায়। তবে সেই পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে কাটিয়ে তুলেছেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন। যাতে করে গত দেড় বছরে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর গড়ে প্রতিটি শেয়ারের দর ৬১ শতাংশ করে বেড়েছে। আর মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর বেড়েছে ৩৭ শতাংশ হারে।

বিশ্বব্যাপি করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে পতন হতে শুরু করে। তবে দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ করোনা শনাক্ত হওয়ার পরে ভয়াবহ ধস নামে। ওই ধসে সিকিউরিটিজ দর তলানিতে নেমে আসে। এরমধ্যেই একই বছরের মে মাসে শেয়ারবাজারের দায়িত্বভার পান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। যার নেতৃত্বাধীন কমিশন তলানিতে থাকা বাজারকে এগিয়ে নিয়ে নানামূখী উদ্যোগ নেয়। যার আলোকে শেয়ারবাজার ঘুরে দাড়াঁয়।

দেখা গেছে, ২০২০ সালের ৩০ জুন প্রতিটি শেয়ারের গড় দর ছিল ৩৬.৭৬ টাকা ও গড় ইউনিট দর ছিল ৫.৩৩ টাকা। যা বেড়ে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ার দর ৫৯.১২ টাকায় ও ইউনিট দর ৭.৩১ টাকায় দাড়িঁয়েছে। এ হিসাবে গত দেড় বছরে গড়ে প্রতিটি শেয়ারের দর বেড়েছে ২২.৩৬ টাকা বা ৬১ শতাংশ ও ইউনিট দর বেড়েছে ১.৯৮ টাকা বা ৩৭ শতাংশ।

গত ৩১ ডিসেম্বর তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৮৬ কোটি ২ লাখ। এগুলোর ওইসময় প্রতিটির গড় ৫৯.১২ টাকা করে মোট দর ছিল ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৬৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর মিউচ্যুয়াল ফান্ডের গড় ইউনিট দর দাড়াঁয় ৭.৩১ টাকা। ওইসময় ৫৫৩ কোটি ৪৭ লাখ ইউনিটের দর ছিল ৪ হাজার ৪৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

এর আগে ২০২০ সালের ৩০ জুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সব শেয়ারের দাম দাড়িঁয়েছিল ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ কোটি টাকায়। যাতে প্রতিটি শেয়ারের গড় দর ছিল ৩৬.৭৬ টাকা। আর ২ হাজার ৯৫০ কোটি ৯০ লাখ টাকার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের প্রতিটি ইউনিটের গড় দর দাড়িঁয়েছিল ৫.৩৩ টাকায়।

বর্তমানে কোম্পানিগুলোর (মিউচুয়াল ফান্ড ছাড়া) পরিশোধিত মূলধন দাড়িঁয়েছে ৮০ হাজার ৮৬০ কোটি ২০ লাখ টাকায়। যা ৩৪৫টি কোম্পানির গড়ে রয়েছে ২৩৪ কোটি ৩৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। আর ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পরিশোধিত মূলধন দাড়িঁয়েছে ৫ হাজার ৫৩৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। যা গড়ে প্রতিটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পরিশোধিত মূলধন দাড়িঁয়েছে ১৪৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকায়।

আরও পড়ুন……
মুনাফা সর্বোচ্চ বেড়েছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের, কমেছে জাহিন স্পিনিংয়ের

বিজনেস আওয়ার/৩০ জানুয়ারি, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: