ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্রাউন সিমেন্টের ১৬৪ কোটি টাকার বিক্রি বৃদ্ধি সত্ত্বেও মুনাফায় ধস

হোয়াট হ্যাপেনড কুদ্দুস? লুক স্যার ক্রাউন সিমেন্ট, সো? মেড ইন বাংলাদেশ স্যার! ইওর বিল্ডিং মাই কান্ট্রিজ সিমেন্ট স্যার! উই আর ভেরি প্রাউড স্যার! এভাবে প্রবাসিদের নিয়ে গর্বিত করে প্রচারণা চালালেও ক্রাউন সিমেন্ট হতাশ করছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের।

ক্রাউন সিমেন্ট পণ্যের উপর বিশ্ব আস্থা রাখে বলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ দাবি করলেও শেয়ারবাজারে অনাস্থায় ডুবছে। ক্রাউন সিমেন্ট রপ্তানির শীর্ষ ও বাংলাদেশের গ্লোবাল সিমেন্ট বলে দাবি করা কোম্পানিটিই এখন মুনাফায় নিম্নমূখী।

কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসম্বর ২১) পণ্য বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে ২৩ শতাংশ। এসত্ত্বেও কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ৬৩ শতাংশ। কোম্পানিটির এমন ধারাবাহিক পতনে তালিকাভুক্তির ১১ বছরে ক্যাপিটাল এবং লভ্যাংশ, ঊভয় ক্ষেত্রেই লোকসান গুণছে বিনিয়োগকারীরা।

ভালো ব্যবসা দেখিয়ে শেয়ারবাজার থেকে বুক বিল্ডিংয়ে উচ্চ দরে শেয়ার ইস্যু করে এ কোম্পানিটি। তবে কয়েক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) পূর্ব ৬ মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর ২০০৯) শেয়ারপ্রতি ৪.৭৪ টাকার মুনাফা এখন ০.৭৫ টাকা।

দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর ২১) ক্রাউন সিমেন্টের ৮৭২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৭০৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এ হিসাবে বিক্রি বেড়েছে ১৬৪ কোটি টাকার বা ২৩ শতাংশ।

বিক্রি বৃদ্ধি ছাড়াও কোম্পানিটির সুদজনিত ব্যয় কমে এসেছে। তারপরেও কোম্পানিটির নিট মুনাফায় পতন হয়েছে। কোম্পানিটির আগের বছরের প্রথমার্ধের এ খাতের ৩২ কোটি ৯৯ লাখ টাকার সুদজনিত ব্যয় এ বছরে কমে হয়েছে ২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে ব্যয় কমেছে ১২ কোটি ২৬ লাখ টাকার বা ৩৭ শতাংশ।

তারপরেও কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে নিট মুনাফা কমেছে ১৯ কোটি ৪ লাখ টাকার বা ৬৩ শতাংশ। এ কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বিক্রি মূল্য থেকে পরিচালন ব্যয়, সুদজনিত ব্যয় ও কর সঞ্চিতি বিয়োগ এবং অন্যান্য আয় যোগ শেষে নিট মুনাফা দাড়িঁয়েছে ১১ কোটি ৭ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ০.৭৫ টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৩০ কোটি ১১ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ২.০৩ টাকা।

মুনাফায় এই ধসের কারন হিসাবে ক্রাউন সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক বাজারে কাচাঁমালের দাম বৃদ্ধিকে উল্লেখ করে ডিএসইকে জানিয়েছেন। যা ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে একইসময়ে ব্যবসায় উন্নতি হয়েছে সিমেন্ট খাতের আরেক কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের। যে কোম্পানিটির জন্য শুধুমাত্র অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যু করা হয়েছিল। এই কোম্পানিটির ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৪৯ টাকা। যার পরিমাণ আগের বছরের একইসময়ে হয়েছিল ১.৩০ টাকা। বহূজাতিক এই কোম্পানিটির ২০২১ সালে ইপিএস হয়েছে ৩.৩৪ টাকা। যার উপর ভিত্তি করে রেকর্ড ২৫% নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ।

আরও পড়ুন……

ক্রাউন সিমেন্টের প্রত্যেক পরিচালককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা
দীর্ঘদিন ধরে পরিচালকদের ব্যক্তিগত কোম্পানিতে ক্রাউন সিমেন্ট থেকে বিনাসুদে শত শত কোটি টাকার ঋণ প্রদান

স্কয়ার টেক্সটাইলের ৪৬% পণ্য বিক্রি বৃদ্ধিতে নিট মুনাফা বেড়েছে ৪৯৩%

বিএসসির নিট মুনাফা ৩৯৮% বেড়ে ১২৬.৩১ কোটি টাকা
ফরচুন সুজও কোটি কোটি টাকার ফান্ড নিয়ে গেম্বলিং আইটেমে ছুটছে

কিন্তু ভালো ব্যবসা দেখিয়ে শেয়ারবাজার থেকে বুক বিল্ডিংয়ে উচ্চ দরে শেয়ার ইস্যু করা ক্রাউন সিমেন্ট এখন অনেক পিছিয়ে। কোম্পানিটির তালিকাভুক্তির কয়েক বছরের ব্যবধানে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) পূর্ব শেয়ারপ্রতি ২০০৮-০৯ অর্থবছরের ৯.৩৯ টাকার মুনাফা এখন ৬ মাসে ০.৭৫ টাকা। যে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ করে ক্যাপিটাল ও লভ্যাংশ উভয় ক্ষেত্রেই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছে।

কোম্পানিটি ২০১০-১১ অর্থবছরে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজারে আসে। ওইসময় প্রতিটি শেয়ার ১১১.৬০ টাকা করে ইস্যু করে। এতে প্রতিটি শেয়ারে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১০১.৬০ টাকা। কিন্তু সেই কোম্পানি সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরের ব্যবসায় ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। যা ইস্যু মূল্য বিবেচনায় ২ শতাংশেরও কম বা ১.৭৯ শতাংশ।

এ কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে ২০১১ সালে ৩৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেওয়ার পরে প্রতি শেয়ারে ব্যয় (কস্ট) দাড়াঁয় ৮২.৬৭ টাকা। এরপরে ২০১২ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেওয়ার পরে তা নেমে আসে ৭৫.১৫ টাকায়। এখন সেই কস্ট ভ্যালুর বাজার দর আছে ৬১.৮০ টাকা। এতে প্রতিটি শেয়ারে ক্যাপিটাল লোকসান আছে ১৩.৩৫ টাকা।

এদিকে ওই ৭৫.১৫ টাকায় গত ১১ বছরে লভ্যাংশ পাওয়া গেছে ১৯ টাকা। তবে ৭৫.১৫ টাকা ব্যাংকে এফডিআরে ৫ শতাংশ সুদেও বছরে ৩.৭৬ টাকা পাওয়া যেত। যাতে ১১ বছরে আসত ৪১.৩৬ টাকা। একইসঙ্গে ১৩.৩৫ টাকা ক্যাপিটাল লোকসান থেকে রক্ষা হত।

এমআই সিমেন্ট থেকে ২০১৩ সালে ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা হয়। এরপরে ২০১৪ সালে কমিয়ে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়। যা ধারাবাহিকভাবে কমে ২০১৫ সালে ২৫ শতাংশ, ২০১৬ সালে ২০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ২০ শতাংশ, ২০১৮ সালে ১৫ শতাংশ, ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ, ২০২০ সালে ১০ শতাংশ ও ২০২১ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

উল্লেখ্য, ১৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের ক্রাউন সিমেন্টে ৭৬৪ কোটি ৩ লাখ টাকার নিট সম্পদ রয়েছে। যাতে কোম্পানিটির গত ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫১.৪৫ টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

One thought on “ক্রাউন সিমেন্টের ১৬৪ কোটি টাকার বিক্রি বৃদ্ধি সত্ত্বেও মুনাফায় ধস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ক্রাউন সিমেন্টের ১৬৪ কোটি টাকার বিক্রি বৃদ্ধি সত্ত্বেও মুনাফায় ধস

পোস্ট হয়েছে : ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

হোয়াট হ্যাপেনড কুদ্দুস? লুক স্যার ক্রাউন সিমেন্ট, সো? মেড ইন বাংলাদেশ স্যার! ইওর বিল্ডিং মাই কান্ট্রিজ সিমেন্ট স্যার! উই আর ভেরি প্রাউড স্যার! এভাবে প্রবাসিদের নিয়ে গর্বিত করে প্রচারণা চালালেও ক্রাউন সিমেন্ট হতাশ করছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের।

ক্রাউন সিমেন্ট পণ্যের উপর বিশ্ব আস্থা রাখে বলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ দাবি করলেও শেয়ারবাজারে অনাস্থায় ডুবছে। ক্রাউন সিমেন্ট রপ্তানির শীর্ষ ও বাংলাদেশের গ্লোবাল সিমেন্ট বলে দাবি করা কোম্পানিটিই এখন মুনাফায় নিম্নমূখী।

কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসম্বর ২১) পণ্য বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে ২৩ শতাংশ। এসত্ত্বেও কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ৬৩ শতাংশ। কোম্পানিটির এমন ধারাবাহিক পতনে তালিকাভুক্তির ১১ বছরে ক্যাপিটাল এবং লভ্যাংশ, ঊভয় ক্ষেত্রেই লোকসান গুণছে বিনিয়োগকারীরা।

ভালো ব্যবসা দেখিয়ে শেয়ারবাজার থেকে বুক বিল্ডিংয়ে উচ্চ দরে শেয়ার ইস্যু করে এ কোম্পানিটি। তবে কয়েক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) পূর্ব ৬ মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর ২০০৯) শেয়ারপ্রতি ৪.৭৪ টাকার মুনাফা এখন ০.৭৫ টাকা।

দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর ২১) ক্রাউন সিমেন্টের ৮৭২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৭০৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এ হিসাবে বিক্রি বেড়েছে ১৬৪ কোটি টাকার বা ২৩ শতাংশ।

বিক্রি বৃদ্ধি ছাড়াও কোম্পানিটির সুদজনিত ব্যয় কমে এসেছে। তারপরেও কোম্পানিটির নিট মুনাফায় পতন হয়েছে। কোম্পানিটির আগের বছরের প্রথমার্ধের এ খাতের ৩২ কোটি ৯৯ লাখ টাকার সুদজনিত ব্যয় এ বছরে কমে হয়েছে ২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে ব্যয় কমেছে ১২ কোটি ২৬ লাখ টাকার বা ৩৭ শতাংশ।

তারপরেও কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে নিট মুনাফা কমেছে ১৯ কোটি ৪ লাখ টাকার বা ৬৩ শতাংশ। এ কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বিক্রি মূল্য থেকে পরিচালন ব্যয়, সুদজনিত ব্যয় ও কর সঞ্চিতি বিয়োগ এবং অন্যান্য আয় যোগ শেষে নিট মুনাফা দাড়িঁয়েছে ১১ কোটি ৭ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ০.৭৫ টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৩০ কোটি ১১ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ২.০৩ টাকা।

মুনাফায় এই ধসের কারন হিসাবে ক্রাউন সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক বাজারে কাচাঁমালের দাম বৃদ্ধিকে উল্লেখ করে ডিএসইকে জানিয়েছেন। যা ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে একইসময়ে ব্যবসায় উন্নতি হয়েছে সিমেন্ট খাতের আরেক কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের। যে কোম্পানিটির জন্য শুধুমাত্র অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যু করা হয়েছিল। এই কোম্পানিটির ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৪৯ টাকা। যার পরিমাণ আগের বছরের একইসময়ে হয়েছিল ১.৩০ টাকা। বহূজাতিক এই কোম্পানিটির ২০২১ সালে ইপিএস হয়েছে ৩.৩৪ টাকা। যার উপর ভিত্তি করে রেকর্ড ২৫% নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ।

আরও পড়ুন……

ক্রাউন সিমেন্টের প্রত্যেক পরিচালককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা
দীর্ঘদিন ধরে পরিচালকদের ব্যক্তিগত কোম্পানিতে ক্রাউন সিমেন্ট থেকে বিনাসুদে শত শত কোটি টাকার ঋণ প্রদান

স্কয়ার টেক্সটাইলের ৪৬% পণ্য বিক্রি বৃদ্ধিতে নিট মুনাফা বেড়েছে ৪৯৩%

বিএসসির নিট মুনাফা ৩৯৮% বেড়ে ১২৬.৩১ কোটি টাকা
ফরচুন সুজও কোটি কোটি টাকার ফান্ড নিয়ে গেম্বলিং আইটেমে ছুটছে

কিন্তু ভালো ব্যবসা দেখিয়ে শেয়ারবাজার থেকে বুক বিল্ডিংয়ে উচ্চ দরে শেয়ার ইস্যু করা ক্রাউন সিমেন্ট এখন অনেক পিছিয়ে। কোম্পানিটির তালিকাভুক্তির কয়েক বছরের ব্যবধানে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) পূর্ব শেয়ারপ্রতি ২০০৮-০৯ অর্থবছরের ৯.৩৯ টাকার মুনাফা এখন ৬ মাসে ০.৭৫ টাকা। যে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ করে ক্যাপিটাল ও লভ্যাংশ উভয় ক্ষেত্রেই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছে।

কোম্পানিটি ২০১০-১১ অর্থবছরে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজারে আসে। ওইসময় প্রতিটি শেয়ার ১১১.৬০ টাকা করে ইস্যু করে। এতে প্রতিটি শেয়ারে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১০১.৬০ টাকা। কিন্তু সেই কোম্পানি সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরের ব্যবসায় ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। যা ইস্যু মূল্য বিবেচনায় ২ শতাংশেরও কম বা ১.৭৯ শতাংশ।

এ কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে ২০১১ সালে ৩৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেওয়ার পরে প্রতি শেয়ারে ব্যয় (কস্ট) দাড়াঁয় ৮২.৬৭ টাকা। এরপরে ২০১২ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেওয়ার পরে তা নেমে আসে ৭৫.১৫ টাকায়। এখন সেই কস্ট ভ্যালুর বাজার দর আছে ৬১.৮০ টাকা। এতে প্রতিটি শেয়ারে ক্যাপিটাল লোকসান আছে ১৩.৩৫ টাকা।

এদিকে ওই ৭৫.১৫ টাকায় গত ১১ বছরে লভ্যাংশ পাওয়া গেছে ১৯ টাকা। তবে ৭৫.১৫ টাকা ব্যাংকে এফডিআরে ৫ শতাংশ সুদেও বছরে ৩.৭৬ টাকা পাওয়া যেত। যাতে ১১ বছরে আসত ৪১.৩৬ টাকা। একইসঙ্গে ১৩.৩৫ টাকা ক্যাপিটাল লোকসান থেকে রক্ষা হত।

এমআই সিমেন্ট থেকে ২০১৩ সালে ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা হয়। এরপরে ২০১৪ সালে কমিয়ে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়। যা ধারাবাহিকভাবে কমে ২০১৫ সালে ২৫ শতাংশ, ২০১৬ সালে ২০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ২০ শতাংশ, ২০১৮ সালে ১৫ শতাংশ, ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ, ২০২০ সালে ১০ শতাংশ ও ২০২১ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

উল্লেখ্য, ১৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের ক্রাউন সিমেন্টে ৭৬৪ কোটি ৩ লাখ টাকার নিট সম্পদ রয়েছে। যাতে কোম্পানিটির গত ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫১.৪৫ টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: