1. [email protected] : Anissuzzaman : Anissuzzaman
  2. [email protected] : anjuman : anjuman
  3. [email protected] : Admin : Admin
  4. [email protected] : mujahid : mujahid
  5. [email protected] : Nayan Babu : Nayan Babu
  6. [email protected] : Rajowan : Rajowan
গার্মেন্টস শ্রমিকরা বাড়ি গেলেই চাকরি হারাবেন
সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন

গার্মেন্টস শ্রমিকরা বাড়ি গেলেই চাকরি হারাবেন

  • পোস্ট হয়েছে : শনিবার, ২৩ মে, ২০২০
print sharing button

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বেকায়দায় পড়েছেন পোশাক শ্রমিকরা। যেসব শ্রমিক বাড়ি চলে গেছেন, বা যাচ্ছেন তারা হয়তো নিজের কর্মস্থলে আর যোগ দিতে পারবেন না। বাড়িতে যাওয়া শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের জন্য বিকল্প চিন্তা করতে হবে। গার্মেন্টস মালিকরা এমন তথ্য জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, কর্মস্থল এলাকা ছেড়ে চলে না যাওয়ার জন্য সব শ্রমিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের বলা হয়েছে, ঈদের ছুটিতে যেন কেউ বাড়িতে চলে না যান। কাজেই যারা এই নির্দেশ মানবে না, তারা আর আগের কর্মস্থলে যোগ দিতে পারবেন না। তারা চাকরি হারাবেন।

তিনি বলেন, যেসব শ্রমিক ইতোমধ্যে বাড়ি চলে গেছেন, বা যাচ্ছেন তারা আর এই সেক্টরে চাকরি পাবেন না। ঈদের পর চালু থাকা অধিকাংশ কারখানা ৫ থেকে ১০ শতাংশ, বা কোনও কোনও কারখানা ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত শ্রমিক ছাটাই করবে। আর যেসব কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, সেসব কারখানার শ্রমিকরা ইতোমধ্যে চাকরি হারিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, সরকারের নির্দেশে আমরা এপ্রিল ও মে— এই দুই মাস শ্রমিকদের বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিয়েছি। কিন্তু কোনও মালিকই সারাবছর বসিয়ে বসিয়ে শ্রমিকদের বেতন দেবে না। কাজেই যেসব কারখানা ক্রয় আদেশ পাচ্ছে না, তারা শ্রমিক ছাটাই করতে বাধ্য হবেন।

তৈরী পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, যেসব শ্রমিক নির্দেশনা অমান্য করে ঈদে বাড়ি যাচ্ছেন, তারা চাকরি হারাবেন।

নাম প্রকাশ না করে বিজিএমইএ’র এক নেতা বলেন, শ্রমিকদের ডাটাবেইজ তৈরি হচ্ছে। কাজেই যেসব শ্রমিক কর্মস্থল এলাকায় থাকবে, কেবল তারাই চাকরিতে থাকতে পারবেন।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদ-উল ইসলাম খান বলেন, ঈদের ছুটিতে কোনও শ্রমিক বাড়ি গেলে কেন তিনি ফিরে এসে যোগ দিতে পারবে না। এটা কোনও মগের মুল্লুক নয়। একদিন পর ঈদ, অথচ এখনও প্রায় ৩০ শতাংশ শ্রমিক বেতন-বোনাস পাননি। শ্রমিকরা এখনও রাস্তায় রয়েছেন। বেতন- বোনাসের জন্য তারা এখনও আন্দোলন করছেন।

এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) গবেষক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সিপিডি’র পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেন কারখানাগুলো শ্রমিকদের ন্যূনতম আয় নিরাপত্তা দেয়। তাদের যেন ছাঁটাই না করে। তবে যেসব কারখানা ক্রয় আদেশ পাচ্ছে না, তারা হয়তো বাধ্য হয়েই শ্রমিক ছাঁটাইয়ের পথে হাটবে।

বিজনেস আওয়ার/২৩ মে, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের আরো সংবাদ