ঢাকা , রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে অবন্টিত লভ্যাংশ প্রদানের শেষ সময় ১০ জুন

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জুন ২০২২
  • 0

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়্যাল ফান্ডের অবণ্টিত নগদ এবং বোনাস লভ্যাংশ ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) প্রদানের লক্ষ্যে একাধিকবার সময় দিলেও এখনও বেশ কিছু কোম্পানি তা দেয়নি। তাই আগামী ১০ জুন পর্যন্ত শেষবারের মতো কোম্পানিগুলোকে অবণ্টিত লভ্যাংশ সিএমএসএফে প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।

রবিবার (৫ জুন) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সকল তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠিয়েছে বিএসইসি।

নতুন এ বর্ধিত সময়ের মধ্যে অবণ্টিত লভ্যাংশ সিএমএসএফে প্রদান করা না হলে ওইসব বিও হিসাব নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ব্লকড করা হবে। কমিশনের অনুমোদন ছাড়া সেই বিও হিসাব আর চালু করা যাবে না। আর সর্বশেষ এ সময়ের মধ্যে অবণ্টিত লভ্যাংশ স্থিতিশীল তহবিলে স্থানান্তর না করলে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ফের হুশিয়ারি দিয়েছে কমিশন।

একইসঙ্গে বিষয়টি ক্যাপিটাল মার্কেট স্টেবিলাইজেশন ফান্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি, ক্যাপিটাল মার্কেট স্টেবিলাইজেশন ফান্ডের চিফ অফ অপারেশন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে।

বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইতোপূর্বে এ বিষয়ে কমিশন কর্তৃক একাধিক চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিএসইসির ওই নির্দেশনা অনুযায়ী আপনাদের ক্যাপিটাল মার্কেট স্টেবিলাইজেশন ফান্ডে নগদ ও স্টক বা বোনাস লভ্যাংশ বা যেকোন তহবিল বা অবণ্টিত শেয়ার বা অমীমাংসিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত দাবিহীন বা ফেরত না হওয়া পাবলিক সাবস্ক্রিপশনের অর্থ গত ৩০ মের মধ্যে হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, কিছু কোম্পানি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে উল্লিখিত বিধি এবং কমিশনের নির্দেশের বিধান অনুযায়ী অবণ্টিত নগদ ও স্টক বা বোনাস শেয়ার হস্তান্তর সম্পন্ন করেনি। তাই ওই কোম্পানিগুলোকে তাদের অবণ্টিত লভ্যাংশ আগামী ১০ জুনের মধ্যে ক্যাপিটাল মার্কেট স্টেবিলাইজেশন ফান্ডের ব্যাংক ও বিও হিসাবে স্থানান্তর করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। আর এ নির্দেশনা পরিপালনে ব্যর্থ হলে সিকিউরিটিজ আইনানুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড পরিচালনার জন্য ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস, ২০২১’ বিএসইসি প্রণয়ন করেছে। গত বছরের ২৭ জুন রুলসটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী, ফান্ডটি ব্যবস্থাপনার জন্য ১১ সদস্যের বোর্ড অব গভর্নস রয়েছে। গত ২৬ মে পর্যন্ত সিএমএসএফে এ পর্যন্ত জমা হয়েছে মাত্র ৭৯৮ কোটি টাকা জমা হয়েছে, যা সর্বমোট ফান্ডের মাত্র ৯.১৫ শতাংশ। অথচ জমা হওয়ার কথা ছিল ৮ হাজার ৭১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

বিজনেস আওয়ার/০৬ জুন, ২০২২/পিএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে অবন্টিত লভ্যাংশ প্রদানের শেষ সময় ১০ জুন

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জুন ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়্যাল ফান্ডের অবণ্টিত নগদ এবং বোনাস লভ্যাংশ ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) প্রদানের লক্ষ্যে একাধিকবার সময় দিলেও এখনও বেশ কিছু কোম্পানি তা দেয়নি। তাই আগামী ১০ জুন পর্যন্ত শেষবারের মতো কোম্পানিগুলোকে অবণ্টিত লভ্যাংশ সিএমএসএফে প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।

রবিবার (৫ জুন) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সকল তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠিয়েছে বিএসইসি।

নতুন এ বর্ধিত সময়ের মধ্যে অবণ্টিত লভ্যাংশ সিএমএসএফে প্রদান করা না হলে ওইসব বিও হিসাব নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ব্লকড করা হবে। কমিশনের অনুমোদন ছাড়া সেই বিও হিসাব আর চালু করা যাবে না। আর সর্বশেষ এ সময়ের মধ্যে অবণ্টিত লভ্যাংশ স্থিতিশীল তহবিলে স্থানান্তর না করলে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ফের হুশিয়ারি দিয়েছে কমিশন।

একইসঙ্গে বিষয়টি ক্যাপিটাল মার্কেট স্টেবিলাইজেশন ফান্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি, ক্যাপিটাল মার্কেট স্টেবিলাইজেশন ফান্ডের চিফ অফ অপারেশন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে।

বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইতোপূর্বে এ বিষয়ে কমিশন কর্তৃক একাধিক চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিএসইসির ওই নির্দেশনা অনুযায়ী আপনাদের ক্যাপিটাল মার্কেট স্টেবিলাইজেশন ফান্ডে নগদ ও স্টক বা বোনাস লভ্যাংশ বা যেকোন তহবিল বা অবণ্টিত শেয়ার বা অমীমাংসিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত দাবিহীন বা ফেরত না হওয়া পাবলিক সাবস্ক্রিপশনের অর্থ গত ৩০ মের মধ্যে হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, কিছু কোম্পানি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে উল্লিখিত বিধি এবং কমিশনের নির্দেশের বিধান অনুযায়ী অবণ্টিত নগদ ও স্টক বা বোনাস শেয়ার হস্তান্তর সম্পন্ন করেনি। তাই ওই কোম্পানিগুলোকে তাদের অবণ্টিত লভ্যাংশ আগামী ১০ জুনের মধ্যে ক্যাপিটাল মার্কেট স্টেবিলাইজেশন ফান্ডের ব্যাংক ও বিও হিসাবে স্থানান্তর করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। আর এ নির্দেশনা পরিপালনে ব্যর্থ হলে সিকিউরিটিজ আইনানুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড পরিচালনার জন্য ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস, ২০২১’ বিএসইসি প্রণয়ন করেছে। গত বছরের ২৭ জুন রুলসটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী, ফান্ডটি ব্যবস্থাপনার জন্য ১১ সদস্যের বোর্ড অব গভর্নস রয়েছে। গত ২৬ মে পর্যন্ত সিএমএসএফে এ পর্যন্ত জমা হয়েছে মাত্র ৭৯৮ কোটি টাকা জমা হয়েছে, যা সর্বমোট ফান্ডের মাত্র ৯.১৫ শতাংশ। অথচ জমা হওয়ার কথা ছিল ৮ হাজার ৭১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

বিজনেস আওয়ার/০৬ জুন, ২০২২/পিএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: