1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : user : user
  3. [email protected] : Admin : Admin
  4. [email protected] : Nayan Babu : Nayan Babu
কস্ট প্রাইসকে বিনিয়োগ সীমা গণনায় মন্ত্রণালয়ের সম্মতি
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন

কস্ট প্রাইসকে বিনিয়োগ সীমা গণনায় মন্ত্রণালয়ের সম্মতি

  • পোস্ট হয়েছে : মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২
print sharing button

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠির আলোকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সীমা গণনায় বাজার দরের পরিবর্তে ক্রয় মূল্যকে (কস্ট প্রাইস) বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে বলে মতামত দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘদিনের চাহিদা বাস্তবে রূপ পাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার।

মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) উপসচিব মো: জেহাদ উদ্দিন সাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা নির্ধারনে ক্রয়কৃত মূল্যকে (কস্ট প্রাইস) বাজার মূল্য হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

এর আগে গত ১৭ জুলাই বিনিয়োগ সীমা গণনায় বাজার দরের পরিবর্তে ক্রয় মূল্যকে (কস্ট প্রাইস) বিবেচনায় নেওয়ার বিষয়ে মতামত চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

বর্তমানে ব্যাংকগুলো ইক্যুইটির ২৫% শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। যা বাজার দরে গণনা করা হয়। এরফলে কোন ব্যাংক ২৫% কেনার পরে বাজার দর বেড়ে গেলে, তখন বিক্রি করতে বাধ্য হয়। ফলে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যে কারনে দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়ো সীমা গণনায় বাজার দরের পরিবর্তে ক্রয় মূল্যকে বিবেচনায় নেওয়ার দাবি ছিল।

শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগ সীমা গণনায় বাজার দরের পরিবর্তে ক্রয় মূল্যকে বিবেচনায় নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসা হচ্ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক তাতে সাড়াঁ দেয়নি। তবে আব্দুর রউফ তালুকদারকে গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর থেকেই সেই সমস্যা সমাধানের আশা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে জাগে।

যোগদানের এক সপ্তাহের মধ্যেই শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বিনিয়োগ সীমা সমাধানের উদ্যোগ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এলক্ষ্যে বিনিয়োগ সীমা গণনায় বাজার দরের পরিবর্তে ক্রয় মূল্যকে (কস্ট প্রাইস) বিবেচনায় নেওয়ার জন্য মতামত চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

দীর্ঘদিনের চাহিদা বিনিয়োগ সীমার সমস্যাটি সমাধানের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সঙ্গে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও ঘনিষ্ঠতায় নতুন গভর্নর শেয়ারবাজারের উন্নয়নে আরও পদক্ষেপ নেবেন বলে বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন।

বিনিয়োগকারীদের এই আশার পেছনে রয়েছে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম কমিশনে যোগদানের পর থেকেই শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সাবেক সিনিয়র অর্থ সচিব আব্দুর রউফের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ। যাদের মধ্যে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সর্ম্পক্য খুবই ভালো। যে কারনে বিএসইসি চেয়ারম্যানের ডাকে সহযোগিতার সর্বোচ্চ চেষ্টাও করেছেন আব্দুর রউফ। তবে তার গভর্নরের নিয়োগের মাধ্যমে আগের চেয়ে অনেক বেশি উপকৃত হবে শেয়ারবাজার।

আব্দুর রউফ তালুকদার সিনিয়র সচিব পদে থাকাকালীনই সর্বদা শেয়ারবাজারবান্ধব নেতৃত্ব প্রদান করেছেন। দেশের শেয়ারবাজারের ক্রমবর্ধমান বিকাশে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তিনি ‘বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্স- ২০২১’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ও প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রেখে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

আব্দুর রউফ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারসহ অর্থনৈতিক বিভিন্ন খাতের সম্ভাবনা তুলে ধরার পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডে আয়োজিত রোড শো’তে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিজনেস আওয়ার/০২ আগস্ট, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের আরো সংবাদ