ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেয়ারবাজারে ফিরেছে ২১ হাজার কোটি টাকা

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ অগাস্ট ২০২২
  • 0

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল আজহার পরবর্তী দুই সপ্তাহে শেয়ারবাজার থেকে সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা কমেছে। তবে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক ফ্লোর প্রাইস বেধে দেওয়ায় এক সপ্তাহেই ২১ হাজার কোটি টাকা ফিরেছে শেয়ারবাজারে। বিদায়ী সপ্তাহে শেয়ারবাজারের সব সূচকে বড় উত্থান হয়েছে। সূচকের সাথে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৯২ হাজার ১১৩ কোটি ০৭ লাখ ৭৪ হাজার ৪২১ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৯৫ হাজার ০৫৪ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ২১ হাজার ৩৬৪ কোটি ৩২ লাখ ২০ হাজার ৬৩৩ টাকা বেড়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিন হাজার ১৬৯ কোটি ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৩০১ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল তিন হাজার ১৬৯ কোটি ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৩০১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেনে এক হাজার ৮৮৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭৭৭ টাকা বেড়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৩১.৭৪ পয়েন্ট বা ৫.৫৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩১২.২৫ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬৬.৯৯ পয়েন্ট বা ৫.১২ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১১৯.৯৫ পয়েন্ট বা ৫.৫৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৭৫.১৯ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ২৬৫.২০ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৭৩টির বা ৯৬.১৩ শতাংশের, কমেছে ৭টির বা ১.৮০ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮টির বা ২.০৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৯০ কোটি ৫৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪২ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭৮ কোটি ৭৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭৬৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১১ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ১৭৯ টাকা বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৪৩.৩৭ পয়েন্ট বা ৫.৩৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৪০.৯৩ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৫৬৬.৯৮ পয়েন্ট বা ৫.৩৭ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৫৫৮.১৫ পয়েন্ট বা ৪.৩০ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৬৭.৭০ পয়েন্ট বা ৫.২৩ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ৬১.২৫ পয়েন্ট বা ৫.৫৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ১০৯.৬৭ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৫২৪.৯০ পয়েন্টে, এক হাজার ৩৬০.৯৭ পয়েন্টে এবং এক হাজার ১৬৯.৩৮ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩২৭টির বা ৯৪.৭৮ শতাংশের দর বেড়েছে, ৯টির বা ২.৬১ শতাংশের কমেছে এবং ৯টির বা ২.৬১ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/৫ আগস্ট, ২০২২/পিএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

শেয়ারবাজারে ফিরেছে ২১ হাজার কোটি টাকা

পোস্ট হয়েছে : ১২:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ অগাস্ট ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল আজহার পরবর্তী দুই সপ্তাহে শেয়ারবাজার থেকে সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা কমেছে। তবে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক ফ্লোর প্রাইস বেধে দেওয়ায় এক সপ্তাহেই ২১ হাজার কোটি টাকা ফিরেছে শেয়ারবাজারে। বিদায়ী সপ্তাহে শেয়ারবাজারের সব সূচকে বড় উত্থান হয়েছে। সূচকের সাথে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৯২ হাজার ১১৩ কোটি ০৭ লাখ ৭৪ হাজার ৪২১ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৯৫ হাজার ০৫৪ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ২১ হাজার ৩৬৪ কোটি ৩২ লাখ ২০ হাজার ৬৩৩ টাকা বেড়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিন হাজার ১৬৯ কোটি ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৩০১ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল তিন হাজার ১৬৯ কোটি ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৩০১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেনে এক হাজার ৮৮৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭৭৭ টাকা বেড়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৩১.৭৪ পয়েন্ট বা ৫.৫৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩১২.২৫ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬৬.৯৯ পয়েন্ট বা ৫.১২ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১১৯.৯৫ পয়েন্ট বা ৫.৫৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৭৫.১৯ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ২৬৫.২০ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৭৩টির বা ৯৬.১৩ শতাংশের, কমেছে ৭টির বা ১.৮০ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮টির বা ২.০৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৯০ কোটি ৫৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪২ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭৮ কোটি ৭৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭৬৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১১ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ১৭৯ টাকা বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৪৩.৩৭ পয়েন্ট বা ৫.৩৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৪০.৯৩ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৫৬৬.৯৮ পয়েন্ট বা ৫.৩৭ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৫৫৮.১৫ পয়েন্ট বা ৪.৩০ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৬৭.৭০ পয়েন্ট বা ৫.২৩ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ৬১.২৫ পয়েন্ট বা ৫.৫৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ১০৯.৬৭ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৫২৪.৯০ পয়েন্টে, এক হাজার ৩৬০.৯৭ পয়েন্টে এবং এক হাজার ১৬৯.৩৮ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩২৭টির বা ৯৪.৭৮ শতাংশের দর বেড়েছে, ৯টির বা ২.৬১ শতাংশের কমেছে এবং ৯টির বা ২.৬১ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/৫ আগস্ট, ২০২২/পিএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: