ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বছর ব্যবধানে সঞ্চয়পত্রে বিক্রি কমেছে

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ অগাস্ট ২০২০
  • 1

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : গেল অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪৯ হাজার ৯৩৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ফলে এক বছরের ব্যবধানে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমেছে ৩৫ হাজার ১১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাড়ছিল। সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে লাগাম টানতে বেশ কিছু শর্ত ও বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। ফলে ২০১৯ সালে প্রতিমাসেই কমে আসছিল সঞ্চয়পত্রের বিক্রি। বছর শেষে সঞ্চয়পত্র বিক্রি তলানীতে নেমে আসে। এদিকে করোনা মাহামারিতে সঞ্চয় তো দূরের কথা উল্টো সঞ্চয় তুলে নিচ্ছেন অনেক গ্রাহক।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষকে সঞ্চয় করার চাইতে বরং সঞ্চয় তুলে জীবিকা নির্বাহ করতে হবে। এর ফলে সামনের মাসগুলোতে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের চাইতে তুলে নেওয়ার পরিমাণ আরও বেশি বাড়তে পারে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এবং অর্থনীতিতে প্রত্যাশিত গতি না আসলে আগামী দিনে সঞ্চয়পত্র থেকে টাকা তুলে নেওয়ার হার আরও বাড়বে।

বিজনেস আওয়ার/০৩ আগস্ট, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বছর ব্যবধানে সঞ্চয়পত্রে বিক্রি কমেছে

পোস্ট হয়েছে : ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ অগাস্ট ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : গেল অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪৯ হাজার ৯৩৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ফলে এক বছরের ব্যবধানে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমেছে ৩৫ হাজার ১১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাড়ছিল। সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে লাগাম টানতে বেশ কিছু শর্ত ও বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। ফলে ২০১৯ সালে প্রতিমাসেই কমে আসছিল সঞ্চয়পত্রের বিক্রি। বছর শেষে সঞ্চয়পত্র বিক্রি তলানীতে নেমে আসে। এদিকে করোনা মাহামারিতে সঞ্চয় তো দূরের কথা উল্টো সঞ্চয় তুলে নিচ্ছেন অনেক গ্রাহক।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষকে সঞ্চয় করার চাইতে বরং সঞ্চয় তুলে জীবিকা নির্বাহ করতে হবে। এর ফলে সামনের মাসগুলোতে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের চাইতে তুলে নেওয়ার পরিমাণ আরও বেশি বাড়তে পারে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এবং অর্থনীতিতে প্রত্যাশিত গতি না আসলে আগামী দিনে সঞ্চয়পত্র থেকে টাকা তুলে নেওয়ার হার আরও বাড়বে।

বিজনেস আওয়ার/০৩ আগস্ট, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: