ঢাকা , শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে বৈশিষ্টের কারণে কেউ আপনার প্রেমে পরেনা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২
  • 4

Young is girl is rejecting boy on the street

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: বিখ্যাত কন্ঠ শিল্পী এন্ড্রু কিশোর একটি গান ভালোবাসি তোমোকে ছবিতে আমরা শুনেছি , “প্রেমহীন এ জীবন মৃত্যুর চেয়ে আরও যন্ত্রণাময় আমার মরণ হলে ভালো হয়”। আসলেই প্রেমহীন জীবনটা এমনি। এমন পুরুষ খুব কমই আছে যারা চাইনা মনের মতো কোনো প্রেমিক, যে তাকে সারা জীবন পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিবে। কিন্তু এই সুপার ইম্পোজের যুগে মনের মতো কাউকে পাওয়া সহজ বিষয় নয়। প্রয়োজন ইম্প্রেস করার মতো কিছু বৈশিষ্ট্য।

অনেকেই প্রবল ইচ্ছা পোষন করে, কারো সাথে দীর্ঘ মেয়াদী প্রেমে জড়াতে কিন্তু নিজের কিছু বদঅভ্যাসের কারণে তা হয়ে উঠে না ।তখন ভাগ্যকে অন্তরায় হিসেবে দাড় করায় । আসুন আমরা জেনে নেই খারাপ বৈশিষ্ট্য গুলো কী?

অতিরিক্ত বা আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা

অনেক সময় সিনেমা বা বই থেকে প্রেম সম্পর্কে কিছু ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে আমরা মনে মনে আদর্শ সঙ্গীর ছবি তৈরি করে ফেলি। কিন্তু কোনো মানুষই পুরোপুরি নিখুঁত নয়। যেসব বৈশিষ্ট্য আপনি মনে এঁকে রাখা আদর্শ সঙ্গীর ছবিতে রেখেছেন, সেগুলো কিন্তু বাস্তবজীবনে বিপিরীত লিঙ্গের একজন মানুষের মাঝে নাই থাকতে পারে।

কাজেই সঙ্গীর কোন গুণকে প্রাধান্য দেবেন, তা আগেই ঠিক করে নিন। মনে রাখবেন, আপনার নিজের মাঝেও কমবেশি খামতি রয়েছে। পূর্ণতা-অপূর্ণতা মিলিয়েই একজন মানুষ। সুতরাং সঙ্গী নিয়ে মনের গহীনে আকাশ সমান প্রত্যাশা তৈরি করে ফেলবেন না।

অবিশ্বাস

আগে কোনো প্রেমের সম্পর্ক থেকে থাকলে এবং তাতে প্রতারিত হয়ে মন ভেঙে থাকলে যে কারও পক্ষেই সহজে অন্য কাউকে বিশ্বাস করা বেশ কঠিন। পরবর্তীতে নতুন যে কোনো সম্পর্কে জড়াতে গেলেও এর প্রভাব থাকে। যার কারণে নতুন কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে অনেক দ্বিধা তৈরি হয়।

এ কারণে অনেকেই নতুন সম্পর্কেও মন ভাঙা নিয়ে ভয়ে থাকেন। ফলে সঙ্গী পেতেও বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়। তবে সঙ্গী আলাদা এবং সব মানুষ একরকম না হওয়ায় আবারও আপানার একই অভিজ্ঞতা হবে- এমনটা ভাববার কোনো কারণ নেই।

অতীতের পিছুটান

পুরোনো সম্পর্ক ছেড়ে এলেও মনে সেটির দাগ থেকেই যায়। এমনকি অতীত প্রায়ই আপনাকে পেছনে টেনে নিতে প্রলুব্ধ করতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন- অতীত দিনশেষে অতীতই, বর্তমানে সেটির কোনো জায়গা নেই।

নিজের কিংবা সঙ্গীর পুরোনো সম্পর্ক বা অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করবেন না বা তুলনা টেনে আনবেন না। অতীতকে পেছনে ফেলে বর্তমানকে উপভোগ করুন। তাতেই আপনি দিনশেষে মনের মতো সঙ্গীর মধ্যে সুখ খুঁজে পাবেন।

আত্মবিশ্বাসের অভাব

আপনার ভুলে অতীতে কোনো সম্পর্ক ভেঙে গেলে সারাক্ষণ নিজেকে দোষারোপ করবেন না কিংবা হীনমন্যতায় ভুগবেন না। কারণ এতে যেমন আপনি সামনে এগোতে পারবেন না, তেমনি নতুন কোনো সম্পর্কেও জড়ানোর সাহস পাবেন না।

কাজেই নিজেকে সময় দিন এবং মনের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলুন। আত্মবিশ্বাস না থাকলে কোনো দিনও সঙ্গীর সঙ্গে আপনার সুস্থ এবং স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে না। কাজেই আত্মবিশ্বাসের বিকল্প নেই।

সম্পর্কে চালকের আসনে থাকার প্রবণতা

অনেকেই ভাবেন সঙ্গীর সম্পর্কে জড়ানোর প্রথম দিন থেকেই তিনি সেই সম্পর্কের চালকের আসনে বসবেন। কিন্তু এতে আপনার ক্ষতিই বেশি। হয়ত মনে হবে সঙ্গী বুঝি আপনার কাছেই রয়েছে, কিন্তু মন থেকে তিনি ততক্ষণে আপনার থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছেন।

কাজেই সঙ্গীকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসুন। বরং দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তোলার দিকে জোর দিন। কারণ তাতেই সম্পর্ক দুজনের জন্য সুখকর হবে। তাই একে অপরের ব্যক্তিত্বকে সম্মান করে সম্পর্কের চাবি দুজনের হাতে থাকাই শ্রেয়।

বিজনেস আওয়ার/ ৩১ আগস্ট,২০২২/ এস এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

যে বৈশিষ্টের কারণে কেউ আপনার প্রেমে পরেনা

পোস্ট হয়েছে : ০৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: বিখ্যাত কন্ঠ শিল্পী এন্ড্রু কিশোর একটি গান ভালোবাসি তোমোকে ছবিতে আমরা শুনেছি , “প্রেমহীন এ জীবন মৃত্যুর চেয়ে আরও যন্ত্রণাময় আমার মরণ হলে ভালো হয়”। আসলেই প্রেমহীন জীবনটা এমনি। এমন পুরুষ খুব কমই আছে যারা চাইনা মনের মতো কোনো প্রেমিক, যে তাকে সারা জীবন পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিবে। কিন্তু এই সুপার ইম্পোজের যুগে মনের মতো কাউকে পাওয়া সহজ বিষয় নয়। প্রয়োজন ইম্প্রেস করার মতো কিছু বৈশিষ্ট্য।

অনেকেই প্রবল ইচ্ছা পোষন করে, কারো সাথে দীর্ঘ মেয়াদী প্রেমে জড়াতে কিন্তু নিজের কিছু বদঅভ্যাসের কারণে তা হয়ে উঠে না ।তখন ভাগ্যকে অন্তরায় হিসেবে দাড় করায় । আসুন আমরা জেনে নেই খারাপ বৈশিষ্ট্য গুলো কী?

অতিরিক্ত বা আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা

অনেক সময় সিনেমা বা বই থেকে প্রেম সম্পর্কে কিছু ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে আমরা মনে মনে আদর্শ সঙ্গীর ছবি তৈরি করে ফেলি। কিন্তু কোনো মানুষই পুরোপুরি নিখুঁত নয়। যেসব বৈশিষ্ট্য আপনি মনে এঁকে রাখা আদর্শ সঙ্গীর ছবিতে রেখেছেন, সেগুলো কিন্তু বাস্তবজীবনে বিপিরীত লিঙ্গের একজন মানুষের মাঝে নাই থাকতে পারে।

কাজেই সঙ্গীর কোন গুণকে প্রাধান্য দেবেন, তা আগেই ঠিক করে নিন। মনে রাখবেন, আপনার নিজের মাঝেও কমবেশি খামতি রয়েছে। পূর্ণতা-অপূর্ণতা মিলিয়েই একজন মানুষ। সুতরাং সঙ্গী নিয়ে মনের গহীনে আকাশ সমান প্রত্যাশা তৈরি করে ফেলবেন না।

অবিশ্বাস

আগে কোনো প্রেমের সম্পর্ক থেকে থাকলে এবং তাতে প্রতারিত হয়ে মন ভেঙে থাকলে যে কারও পক্ষেই সহজে অন্য কাউকে বিশ্বাস করা বেশ কঠিন। পরবর্তীতে নতুন যে কোনো সম্পর্কে জড়াতে গেলেও এর প্রভাব থাকে। যার কারণে নতুন কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে অনেক দ্বিধা তৈরি হয়।

এ কারণে অনেকেই নতুন সম্পর্কেও মন ভাঙা নিয়ে ভয়ে থাকেন। ফলে সঙ্গী পেতেও বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়। তবে সঙ্গী আলাদা এবং সব মানুষ একরকম না হওয়ায় আবারও আপানার একই অভিজ্ঞতা হবে- এমনটা ভাববার কোনো কারণ নেই।

অতীতের পিছুটান

পুরোনো সম্পর্ক ছেড়ে এলেও মনে সেটির দাগ থেকেই যায়। এমনকি অতীত প্রায়ই আপনাকে পেছনে টেনে নিতে প্রলুব্ধ করতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন- অতীত দিনশেষে অতীতই, বর্তমানে সেটির কোনো জায়গা নেই।

নিজের কিংবা সঙ্গীর পুরোনো সম্পর্ক বা অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করবেন না বা তুলনা টেনে আনবেন না। অতীতকে পেছনে ফেলে বর্তমানকে উপভোগ করুন। তাতেই আপনি দিনশেষে মনের মতো সঙ্গীর মধ্যে সুখ খুঁজে পাবেন।

আত্মবিশ্বাসের অভাব

আপনার ভুলে অতীতে কোনো সম্পর্ক ভেঙে গেলে সারাক্ষণ নিজেকে দোষারোপ করবেন না কিংবা হীনমন্যতায় ভুগবেন না। কারণ এতে যেমন আপনি সামনে এগোতে পারবেন না, তেমনি নতুন কোনো সম্পর্কেও জড়ানোর সাহস পাবেন না।

কাজেই নিজেকে সময় দিন এবং মনের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলুন। আত্মবিশ্বাস না থাকলে কোনো দিনও সঙ্গীর সঙ্গে আপনার সুস্থ এবং স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে না। কাজেই আত্মবিশ্বাসের বিকল্প নেই।

সম্পর্কে চালকের আসনে থাকার প্রবণতা

অনেকেই ভাবেন সঙ্গীর সম্পর্কে জড়ানোর প্রথম দিন থেকেই তিনি সেই সম্পর্কের চালকের আসনে বসবেন। কিন্তু এতে আপনার ক্ষতিই বেশি। হয়ত মনে হবে সঙ্গী বুঝি আপনার কাছেই রয়েছে, কিন্তু মন থেকে তিনি ততক্ষণে আপনার থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছেন।

কাজেই সঙ্গীকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসুন। বরং দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তোলার দিকে জোর দিন। কারণ তাতেই সম্পর্ক দুজনের জন্য সুখকর হবে। তাই একে অপরের ব্যক্তিত্বকে সম্মান করে সম্পর্কের চাবি দুজনের হাতে থাকাই শ্রেয়।

বিজনেস আওয়ার/ ৩১ আগস্ট,২০২২/ এস এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: