স্পোর্টস ডেস্ক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ক্রিকেট বন্ধ। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা নানাভাবে ক্রিকেটসংশ্লিষ্ট সবার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। মাশরাফি-মুশফিক ছাড়াও কয়েকজন ক্রিকেটার তাদের স্মারক নিলামে তুলেছেন করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করতে।
মাশরাফি তার দেড় যুগের সঙ্গী ব্রেসলেট নিলামে তুলেছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সফলতম অধিনায়কের ব্রেসলেটটি বিক্রি হয়েছে ৪২ লাখ টাকায়। এই তারকা পেসারের প্রিয় জিনিসটি কিনেছে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বিএলএফসিএ।
প্রাপ্ত অর্থের পুরোটা চলে গেছে মাশরাফির ‘নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন’-এ। মাশরাফি জানিয়েছিলেন গরীব ও দুস্থ মানুষদের সহায়তায় তা কাজে লাগানো হবে। শুক্রবার রাতে তামিমের সঙ্গে লাইভ আড্ডায় মাশরাফির কাছে এই অর্থ কিভাবে কাজে লাগানো হবে, সেই সম্পর্কে জানতে চান তামিম।
মাশরাফি বলেন, এখনও আসলে পুরোপুরি পরিকল্পনা করিনি। তবে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন’-এ যেহেতু টাকাটা এসেছে, আমাদের নড়াইলেই বেশি অর্থ ব্যয় করা হবে। নড়াইলে ২৫ লাখ টাকা এবং নড়াইলের বাইরে ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করার ইচ্ছা।
নড়াইলের বাইরে কিভাবে খরচ হবে, সেটারও ধারণা দিলেন মাশরাফি, ঢাকার ভেতর ৮০ জন ক্রিকেট কোচ আছে। কারা খারাপ অবস্থার মধ্যে আছে, আস্তে আস্তে আমি সেগুলো বের করছি। সবকিছু নিয়ে নড়াইলে মিটিং হচ্ছে। নড়াইল ফাউন্ডেশনের কর্মীরা সুন্দর কিছু পরিকল্পনা করার চেষ্টা করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য বিশেষ একটি পরিকল্পনা আছে। এর বাইরে করোনার জন্য প্লাজমা তৈরি করছে। ওখানে কিছু করা যায় কিনা, সেটাও ভাবছি। তবে এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
মাশরাফির ব্রেসলেটটি যে এত দামে বিক্রি হবে কল্পনাও করেননি তামিম, মাশরাফি ভাই, শুরুতে আপনাকে অভিনন্দন। আপনার এই ব্রেসলেটটি যে এত দামে বিক্রি হবে আমি কল্পনাও করিনি। আপনাকে ধন্যবাদ, আপনি নিজের পছন্দের জিনিসটি নিলামে তুলেছেন এবং সবার জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছেন।
মাশরাফি বলেন, যারা যারা এগিয়ে আসছে সবাইকে ধন্যবাদ। মুশফিককে ধন্যবাদ। আমাদের যা উদ্দেশ্য ছিল তা আমরা করতে পেরেছি, সেটাই তো বড় কথা।
বিজনেস আওয়ার/২৪ মে, ২০২০/এ