ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্যটকদের চন্দ্রপৃষ্ঠে ভ্রমণের অনুভূতি দিতে রিসোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা দুবাই’য়ের

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 6

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। এবার এই শহরে শিগগিরই বিশাল চন্দ্রাকৃতির রিসোর্ট তৈরি হতে যাচ্ছে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতেই এটি বানানো হচ্ছে। সেখানে চন্দ্রপৃষ্ঠে ভ্রমণের অনুভূতি পাওয়া যাবে।

পর্যটকদের সাশ্রয়ী মূল্যে মহাকাশ ভ্রমণের অনুভূতি দিতে রিসোর্টটি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে কানাডার স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট (এমডব্লিউআর)।

অতি-বিলাসবহুল এই রিসোর্টে অবিকল চন্দ্রপৃষ্ঠের মতো করে একটি রেপ্লিকা থাকবে। ৭৩৫ ফুট উচ্চতার এই রিসোর্ট আগামী ৪৮ মাসের মধ্যে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ‘মুন দুবাই’ নামের বিলাসবহুল রিসোর্টটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতিতে পর্যটন, বিনোদন, শিক্ষা, প্রযুক্তি, পরিবেশসহ মহাকাশ পর্যটন খাতের মতো একই ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে আশা করছে কানাডার এই স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান।

মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্টের প্রতিষ্ঠাতা স্যান্দ্রা জি ম্যাথিউস এবং মাইকেল আর হেন্ডারসন বলেছেন, পুরো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং সফল আধুনিক পর্যটন প্রকল্প হবে ‘মুন দুবাই।’ বিশ্বজুড়ে আমিরাতের ব্র্যান্ড এবং অনন্য স্থাপনার আকর্ষণ তুলে ধরবে এই রিসোর্ট। এর ফলে দুবাই-ভিত্তিক পর্যটকের সংখ্যাও দ্বিগুণ হবে। বছরে অন্তত এক কোটি মানুষ চন্দ্রাকৃতির এই রিসোর্ট ভ্রমণ করতে পারবেন।

উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, বিলাসবহুল রিসোর্টটিতে আসা অতিথিদের জন্য স্পা এবং ব্যায়ামাগার, নাইটক্লাব, ইভেন্ট সেন্টার, সম্মেলন কক্ষ, লাউঞ্জ এবং ইন-হাউস ‘মুন শাটল’ সুবিধা থাকবে। রিসোর্টটিতে বিভিন্ন মহাকাশ সংস্থার মহাকাশচারীদের জন্য প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা থাকবে।

অ্যারাবিয়ান বিজনেসের তথ্য অনুযায়ী, কানাডীয় স্থাপত্য এই সংস্থাটি সেখানে ‘স্কাই ভিলা’ তৈরিরও পরিকল্পনা করছে; যা চাঁদের আবাসন এলাকার মতো হবে। অর্থাৎ এই ভিলায় চাঁদের আবাসন এলাকায় বসবাসের মতো অনুভূতি মিলবে।

হেন্ডারসন বলেছেন, স্কাই ভিলায় ৩০০টি ইউনিট কিনে নিতে পারবেন যে কেউ। আর এর মাধ্যমে স্কাই ভিলার মালিকরা চন্দ্রাকৃতির এই রিসোর্টের বিশেষ প্রাইভেট মেম্বার ক্লাবের সদস্য হবেন।

আমিরাতের আরেক দৈনিক দ্য ন্যাশনাল বলেছে, মুন দুবাইয়ের নির্মাণকাজে ব্যয় হবে প্রায় ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। রিসোর্টটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে সেখান থেকে প্রত্যেক বছর ১৮০ কোটি মার্কিন ডলারের রাজস্ব আসবে।

কানাডীয় ওই স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান কোম্পানির লাইসেন্স সংগ্রহ এবং সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য রোড শো করার পরিকল্পনা করছে। এরপরই কোম্পানিটি এক বছর ধরে প্রাক-নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু করবে। পরের চার বছরে বিলাসবহুল এই রিসোর্টের নির্মাণকাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছে এমডব্লিউআর।

আমিরাত ছাড়াও বিশ্বের চারটি গন্তব্য— উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং উত্তর আফ্রিকা ও এশিয়ায় চন্দ্রাকৃতির রিসোর্ট নির্মাণ করবে কোম্পানিটি।

বিজনেস আওয়ার/১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

পর্যটকদের চন্দ্রপৃষ্ঠে ভ্রমণের অনুভূতি দিতে রিসোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা দুবাই’য়ের

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। এবার এই শহরে শিগগিরই বিশাল চন্দ্রাকৃতির রিসোর্ট তৈরি হতে যাচ্ছে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতেই এটি বানানো হচ্ছে। সেখানে চন্দ্রপৃষ্ঠে ভ্রমণের অনুভূতি পাওয়া যাবে।

পর্যটকদের সাশ্রয়ী মূল্যে মহাকাশ ভ্রমণের অনুভূতি দিতে রিসোর্টটি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে কানাডার স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট (এমডব্লিউআর)।

অতি-বিলাসবহুল এই রিসোর্টে অবিকল চন্দ্রপৃষ্ঠের মতো করে একটি রেপ্লিকা থাকবে। ৭৩৫ ফুট উচ্চতার এই রিসোর্ট আগামী ৪৮ মাসের মধ্যে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ‘মুন দুবাই’ নামের বিলাসবহুল রিসোর্টটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতিতে পর্যটন, বিনোদন, শিক্ষা, প্রযুক্তি, পরিবেশসহ মহাকাশ পর্যটন খাতের মতো একই ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে আশা করছে কানাডার এই স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান।

মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্টের প্রতিষ্ঠাতা স্যান্দ্রা জি ম্যাথিউস এবং মাইকেল আর হেন্ডারসন বলেছেন, পুরো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং সফল আধুনিক পর্যটন প্রকল্প হবে ‘মুন দুবাই।’ বিশ্বজুড়ে আমিরাতের ব্র্যান্ড এবং অনন্য স্থাপনার আকর্ষণ তুলে ধরবে এই রিসোর্ট। এর ফলে দুবাই-ভিত্তিক পর্যটকের সংখ্যাও দ্বিগুণ হবে। বছরে অন্তত এক কোটি মানুষ চন্দ্রাকৃতির এই রিসোর্ট ভ্রমণ করতে পারবেন।

উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, বিলাসবহুল রিসোর্টটিতে আসা অতিথিদের জন্য স্পা এবং ব্যায়ামাগার, নাইটক্লাব, ইভেন্ট সেন্টার, সম্মেলন কক্ষ, লাউঞ্জ এবং ইন-হাউস ‘মুন শাটল’ সুবিধা থাকবে। রিসোর্টটিতে বিভিন্ন মহাকাশ সংস্থার মহাকাশচারীদের জন্য প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা থাকবে।

অ্যারাবিয়ান বিজনেসের তথ্য অনুযায়ী, কানাডীয় স্থাপত্য এই সংস্থাটি সেখানে ‘স্কাই ভিলা’ তৈরিরও পরিকল্পনা করছে; যা চাঁদের আবাসন এলাকার মতো হবে। অর্থাৎ এই ভিলায় চাঁদের আবাসন এলাকায় বসবাসের মতো অনুভূতি মিলবে।

হেন্ডারসন বলেছেন, স্কাই ভিলায় ৩০০টি ইউনিট কিনে নিতে পারবেন যে কেউ। আর এর মাধ্যমে স্কাই ভিলার মালিকরা চন্দ্রাকৃতির এই রিসোর্টের বিশেষ প্রাইভেট মেম্বার ক্লাবের সদস্য হবেন।

আমিরাতের আরেক দৈনিক দ্য ন্যাশনাল বলেছে, মুন দুবাইয়ের নির্মাণকাজে ব্যয় হবে প্রায় ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। রিসোর্টটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে সেখান থেকে প্রত্যেক বছর ১৮০ কোটি মার্কিন ডলারের রাজস্ব আসবে।

কানাডীয় ওই স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান কোম্পানির লাইসেন্স সংগ্রহ এবং সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য রোড শো করার পরিকল্পনা করছে। এরপরই কোম্পানিটি এক বছর ধরে প্রাক-নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু করবে। পরের চার বছরে বিলাসবহুল এই রিসোর্টের নির্মাণকাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছে এমডব্লিউআর।

আমিরাত ছাড়াও বিশ্বের চারটি গন্তব্য— উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং উত্তর আফ্রিকা ও এশিয়ায় চন্দ্রাকৃতির রিসোর্ট নির্মাণ করবে কোম্পানিটি।

বিজনেস আওয়ার/১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: