ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানি ‘রুহ আফজা’ ভারতের বাজারে বিক্রি বন্ধের নির্দেশ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 12

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানি কোম্পানির তৈরি কোমল পানীয় ‘রুহ আফজা’ ভারতের বাজারে বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে নয়াদিল্লির হাইকোর্ট।

দেশটির কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, প্যাকেজিংয়ে রুহ আফজার বিষয়ে বিবরণ না থাকায় ভারতে পাকিস্তানের তৈরি রুহ আফজা বিক্রি বন্ধের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নয়াদিল্লির হাইকোর্ট বলেছে, মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন ভারতের বাজারে পাকিস্তানের তৈরি রুহ আফজা বিক্রি করতে পারবে না।

এই পানীয়টির ভারতীয় প্রস্তুতকারক কোম্পানি হামদর্দ ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন আদালতকে বলেছে, ভারতের ই-কমার্স সাইটে তালিকাভুক্ত কিছু ‘রুহ আফজা’ হামদর্দ ল্যাবরেটরিজের (ভারত) তৈরি নয়। বরং পাকিস্তানি কোম্পানির তৈরি রুহ আফজা ভারতের বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। আর এই পানীয়র ব্যাপারে প্যাকেজিংয়ে বিস্তারিত উল্লেখ থাকে না।

হামদর্দ ন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নয়াদিল্লির আদালত পাকিস্তানি রুহ আফজার বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

অনেকেই বলে থাকেন, ‘রুহ আফজা’ হল এমন পনীয়, যা আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে। বিভিন্ন ধরনের ভেষজ ও ফলের মিশ্রণে তৈরি হয় এটি। ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন প্রদেশে সারা বছর, বিশেষ করে গরমের সময় এই পানীয়র চাহিদা তুমুল বেড়ে যায়। তবে পাকিস্তানে সাধারণত রমজান মাসে ইফতারের সময় এই পানীয় পান করা হয়। বাংলাদেশেও রমজান মাসে রুহ আফজার চাহিদা বৃদ্ধি পায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, হাকিম হাফিজ আব্দুল মজিদ নামের এক ভারতীয় নাগরিক ১৯০৭ সালে প্রথমবারের মতো পুরোনো দিল্লিতে রুহ আফজা বিক্রি করেছিলেন। ১৯৪৭ সালের পর হাকিমের এক ছেলে দিল্লিতে থেকে যান এবং অপর এক ছেলে পাকিস্তানে পাড়ি জমান।

পরে প্রতিবেশী দুই দেশে ‘হামদর্দ ইন্ডিয়া’ এবং ‘হামদর্দ পাকিস্তান’ নামে দু’টি কোম্পানি চালু করেন তারা। তাদের প্রতিষ্ঠিত দুই কোম্পানি উভয় দেশে রুহ আফজার বাজারজাত শুরু করে।

হামদর্দ ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন এবং হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ ইন্ডিয়ার দিল্লি হাই কোর্টে জমা দেওয়া পিটিশনে বলা হয়েছে, মার্কিন ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন আইন লঙ্ঘন করে ভারতের বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির রুহ আফজা বিক্রি করছে। এই পিটিশনের শুনানিতে নয়াদিল্লির হাই কোর্ট অ্যামাজনকে সতর্ক করে দিয়েছে। একই সঙ্গে ভারতের বাজারে পাকিস্তানের তৈরি কোনও কোম্পানির রুহ আফজা বিক্রি করা যাবে না বলে অ্যামাজনকে জানিয়ে দিয়েছে।

তবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বলে দিল্লি হাই কোর্ট জানিয়েছে। একই সঙ্গে আগামী এক মাসের মধ্যে অ্যামাজনকে তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জমার নির্দেশ দিয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/১৪ সেপ্টেম্বর,২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

পাকিস্তানি ‘রুহ আফজা’ ভারতের বাজারে বিক্রি বন্ধের নির্দেশ

পোস্ট হয়েছে : ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানি কোম্পানির তৈরি কোমল পানীয় ‘রুহ আফজা’ ভারতের বাজারে বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে নয়াদিল্লির হাইকোর্ট।

দেশটির কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, প্যাকেজিংয়ে রুহ আফজার বিষয়ে বিবরণ না থাকায় ভারতে পাকিস্তানের তৈরি রুহ আফজা বিক্রি বন্ধের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নয়াদিল্লির হাইকোর্ট বলেছে, মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন ভারতের বাজারে পাকিস্তানের তৈরি রুহ আফজা বিক্রি করতে পারবে না।

এই পানীয়টির ভারতীয় প্রস্তুতকারক কোম্পানি হামদর্দ ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন আদালতকে বলেছে, ভারতের ই-কমার্স সাইটে তালিকাভুক্ত কিছু ‘রুহ আফজা’ হামদর্দ ল্যাবরেটরিজের (ভারত) তৈরি নয়। বরং পাকিস্তানি কোম্পানির তৈরি রুহ আফজা ভারতের বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। আর এই পানীয়র ব্যাপারে প্যাকেজিংয়ে বিস্তারিত উল্লেখ থাকে না।

হামদর্দ ন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নয়াদিল্লির আদালত পাকিস্তানি রুহ আফজার বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

অনেকেই বলে থাকেন, ‘রুহ আফজা’ হল এমন পনীয়, যা আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে। বিভিন্ন ধরনের ভেষজ ও ফলের মিশ্রণে তৈরি হয় এটি। ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন প্রদেশে সারা বছর, বিশেষ করে গরমের সময় এই পানীয়র চাহিদা তুমুল বেড়ে যায়। তবে পাকিস্তানে সাধারণত রমজান মাসে ইফতারের সময় এই পানীয় পান করা হয়। বাংলাদেশেও রমজান মাসে রুহ আফজার চাহিদা বৃদ্ধি পায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, হাকিম হাফিজ আব্দুল মজিদ নামের এক ভারতীয় নাগরিক ১৯০৭ সালে প্রথমবারের মতো পুরোনো দিল্লিতে রুহ আফজা বিক্রি করেছিলেন। ১৯৪৭ সালের পর হাকিমের এক ছেলে দিল্লিতে থেকে যান এবং অপর এক ছেলে পাকিস্তানে পাড়ি জমান।

পরে প্রতিবেশী দুই দেশে ‘হামদর্দ ইন্ডিয়া’ এবং ‘হামদর্দ পাকিস্তান’ নামে দু’টি কোম্পানি চালু করেন তারা। তাদের প্রতিষ্ঠিত দুই কোম্পানি উভয় দেশে রুহ আফজার বাজারজাত শুরু করে।

হামদর্দ ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন এবং হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ ইন্ডিয়ার দিল্লি হাই কোর্টে জমা দেওয়া পিটিশনে বলা হয়েছে, মার্কিন ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন আইন লঙ্ঘন করে ভারতের বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির রুহ আফজা বিক্রি করছে। এই পিটিশনের শুনানিতে নয়াদিল্লির হাই কোর্ট অ্যামাজনকে সতর্ক করে দিয়েছে। একই সঙ্গে ভারতের বাজারে পাকিস্তানের তৈরি কোনও কোম্পানির রুহ আফজা বিক্রি করা যাবে না বলে অ্যামাজনকে জানিয়ে দিয়েছে।

তবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বলে দিল্লি হাই কোর্ট জানিয়েছে। একই সঙ্গে আগামী এক মাসের মধ্যে অ্যামাজনকে তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জমার নির্দেশ দিয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/১৪ সেপ্টেম্বর,২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: