বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী তৃপ্তি পাল। দীর্ঘদিন ধরে তার বাবা অসুস্থ হয়ে আছেন। বাবার চিকিৎসা করাতে গিয়ে সহায় সম্বল যা ছিল তা সবই হারিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বাবার চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়ার জন্য সকলের সহযোগীতা চায় তৃপ্তি।
তৃপ্তি বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। গরিব পরিবারে তিন ভাই বোনের মধ্যে আমিই সবার বড়। আমার মা একজন গৃহিণী। আমার ছোট বোনটা এবার এসএসসি পরিক্ষা দিচ্ছে আর ছোত ভাইটা তিন বছর। আমাদের পরিবারে উপার্জন করা মতো কেউ নেই।
তৃপ্তি জানান, প্রথমে বাবার হৃদরোগ ছিল, তারপর ওষুধ খেয়ে কমেও গিয়েছিল, কিন্তু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় শরীর ফুলে যায়। কিছু দিন পর পর পেট-পা ফুলে গেলে শরীর থেকে পানি বের করতে হয়। এখন কিডনির অবস্থাও ভালো না, বিকল প্রায়। রক্ত উৎপাদন ক্ষমতাও অনেক কমে গেছে। এ অবস্থায় প্রতি মাসে তাকে রক্ত দেওয়া লাগে।
প্রতিদিন অনেক টাকার ওষুধ, ইনজেকশন লাগে। ডাক্তারের খরচ, ওষুধের খরচ, রক্তের খরচসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। প্রতি সপ্তাহে প্রায় ২৪-৩০ হাজার টাকা বাবার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন হয়। সব মিলিয়ে খরচ এত বেশি যে আমাদের পক্ষে খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এই মুহূর্তে আমাদের সাহায্যের প্রয়োজন। সবাই একটু সাহায্য করলে বাবার চিকিৎসাটা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। বর্তমানে বাবা ময়মনসিংহয়ের সায়েম ডায়াগনোকমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
আমার মা অনেক কষ্ট করে আমার লেখাপড়া করিয়েছেন। এলাকার শিক্ষকদের সহযোগীতায় পড়াশোনা করে এতদুর এসেছি। বাবা অনেক খুব অল্প বয়সে অক্ষম হয়ে যান। আমার মামারা আর্থিকভাবে অনেক সাহায্য করেছেন, এখন ওনারাও ক্লান্ত। কি করবো, না করবো বুঝে উঠতে পারছিনা।
এই বিষয়ে তৃপ্তির মামা বলেন, আমার বোন জন্মের পর থেকেই কষ্ট করে বড় হয়েছে। সে অনেক ইতিহাস। বিয়ের পর তৃপ্তি পাল সহ ২ সন্তানকে নিয়ে সংগ্রাম করেছেন। অনেক কষ্ট করে মেয়েদের পড়াশোনা করিয়েছেন। আমরা শুরু থেকেই অনেক সহযোগীতা করে আসছি। কিন্তু আমাদের পক্ষে এখন তাকে আর্থিক ভাবে সহযোগীতা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সকলের সাহায্য কামনা করছি।
সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করুন:
বিকাশঃ 01911284279, 01945-141175
বিজনেস আওয়ার/ ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২/ এসএস