ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুলের রং নষ্ট হওয়ার যত কারণ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 1

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: চুল মানুষের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। তাই চুলকে পছন্দনীয় ও আকর্শণীয় করতে চেষ্টার কোন ত্রুটি থাকে না। তবে প্রতিদিনের কিছু ভুল এ চুলের সৌন্দর্যকে বিলিন করে দিতে পারে। তাই নির্দিষ্ট সে ভুল থেকে দূরে থাকায় ভালো।

চুল ডাই করার পর পরই শ্যাম্পু করা: এই ভুলটি বেশিরভাগ মানুষই করে থাকেন। চুল পার্লারে ডাই করা হোক বা বাসায়, অনেকেই ডাইয়ের গন্ধটা সহ্য করতে পারেন না এবং কয়েক ঘণ্টা পরেই শ্যাম্পু করে ফেলেন। এই কাজটি করা যাবে না মোটেই। চুল ডাই করার পর অন্তত ৭২ ঘণ্টা চুলে শ্যাম্পু করা হতে বিরত থাকুন। এতে দীর্ঘদিন আপনার ডাই অক্ষত থাকবে।

পার্লারে ডাই করার পর আবার নিজে নিজে ডাই করা: পার্লারে ডাই করে এসেছেন, অথচ রংটা ঠিক পছন্দ হচ্ছে না। এমন অবস্থায় অনেকেই হেয়ার ডাই কিনে নিজে নিজেই আবার চুলে রং করতে বসে যান। এ কাজটি করলে চুলে স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। খরচ কিছুটা বেশি হলেও পার্লারে গিয়েই চুলের রংটা ঠিক করে নিন।

ঘন ঘন চুল ধোয়া: ডাই করা চুলে প্রতিদিন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করলে রং মলিন হয়ে যাবে দ্রুত। এছাড়া হেয়ার ডাইয়ে থাকা রাসায়নিকের কারণে ডাই করা চুল প্রতিদিন ধোয়া হলে তা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তারমানে এই নয় যে নিয়মিত গোসল করা যাবে না। প্রতিদিন শ্যাম্পু না করে ২-৩ দিন পর পর শ্যাম্পু করুন। শ্যাম্পু করার সময়ে চুল বেশি ঘষাঘষি করবেন না। এছাড়া মাঝে মাঝে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।

গরম পানিতে চুল ধোয়া: গরম পানিতে গোসল করলেও এই পানি মাথায় দেবেন না। স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করুন। গরম পানিতে চুল ধোয়ার ফলে একদিনেই রং মলিন হয়ে যেতে পারে।

বিশেষ কন্ডিশনার ব্যবহার না করা: ডাই করা চুল খুব সহজেই শুষ্ক এবং ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। তাই ডাই করা চুলের জন্য বিশেষ কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। এসব কন্ডিশনার চুলের ওপরে একটি বিশেষ প্রতিরোধী স্তর তৈরি করে এবং রং বেশিদিন ধরে রাখে। প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর এই কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুলের গোড়ায় নয়, আগায় কন্ডিশনার মাখুন।

তোয়ালে দিয়ে ঘষে চুল মোছা: ডাই করা চুল এমনিতেই দুর্বল হয়ে যায়। চুল ধোয়ার পর তোয়ালে দিয়ে ঘষাঘষি করলে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে, রংটাও হালকা হয়ে যেতে পারে। চুল আলতো করে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন এবং বাতাসে শুকিয়ে নিন।

কার্লার, স্ট্রেইটনার এবং ড্রায়ারের অতিরিক্ত ব্যবহার: ডাই করা চুলে তাপ দিলে ক্ষতি বেশি হয়। চুল নষ্ট হয়ে যাওয়া রোধ করতে প্রতিবার এসব যন্ত্র ব্যবহারের আগে চুলে হিট প্রটেকশন স্প্রে ব্যবহার করুন। এসব যন্ত্রের ব্যবহার যথাসম্ভব কমিয়ে দিন।

চুলের বাড়তি যত্ন না করা: ডাই করা চুল যত্নের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়, বিশেষ করে গরমকালে। এ সময়ে চুলে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন বা হেয়ার ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন। এছাড়া চুলে রোদ লাগলে রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই রোদে গেলে ছাতা ব্যবহার করুন বা চুল ঢেকে রাখুন।

ঘন ঘন চুলে কালার করা: অনেকেই ভাবেন চুলে যত ঘন ঘন ডাই করানো যায়, চুল তত সুন্দর থাকবে। আসলে কিন্তু তা নয়! প্রতিবার কালার করার জন্য অন্তত ছয় সপ্তাহ অপেক্ষা করুন। এতে চুলের ক্ষতি অনেক কম হয়, চুল থাকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

বিজনেস আওয়ার/১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

চুলের রং নষ্ট হওয়ার যত কারণ

পোস্ট হয়েছে : ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: চুল মানুষের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। তাই চুলকে পছন্দনীয় ও আকর্শণীয় করতে চেষ্টার কোন ত্রুটি থাকে না। তবে প্রতিদিনের কিছু ভুল এ চুলের সৌন্দর্যকে বিলিন করে দিতে পারে। তাই নির্দিষ্ট সে ভুল থেকে দূরে থাকায় ভালো।

চুল ডাই করার পর পরই শ্যাম্পু করা: এই ভুলটি বেশিরভাগ মানুষই করে থাকেন। চুল পার্লারে ডাই করা হোক বা বাসায়, অনেকেই ডাইয়ের গন্ধটা সহ্য করতে পারেন না এবং কয়েক ঘণ্টা পরেই শ্যাম্পু করে ফেলেন। এই কাজটি করা যাবে না মোটেই। চুল ডাই করার পর অন্তত ৭২ ঘণ্টা চুলে শ্যাম্পু করা হতে বিরত থাকুন। এতে দীর্ঘদিন আপনার ডাই অক্ষত থাকবে।

পার্লারে ডাই করার পর আবার নিজে নিজে ডাই করা: পার্লারে ডাই করে এসেছেন, অথচ রংটা ঠিক পছন্দ হচ্ছে না। এমন অবস্থায় অনেকেই হেয়ার ডাই কিনে নিজে নিজেই আবার চুলে রং করতে বসে যান। এ কাজটি করলে চুলে স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। খরচ কিছুটা বেশি হলেও পার্লারে গিয়েই চুলের রংটা ঠিক করে নিন।

ঘন ঘন চুল ধোয়া: ডাই করা চুলে প্রতিদিন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করলে রং মলিন হয়ে যাবে দ্রুত। এছাড়া হেয়ার ডাইয়ে থাকা রাসায়নিকের কারণে ডাই করা চুল প্রতিদিন ধোয়া হলে তা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তারমানে এই নয় যে নিয়মিত গোসল করা যাবে না। প্রতিদিন শ্যাম্পু না করে ২-৩ দিন পর পর শ্যাম্পু করুন। শ্যাম্পু করার সময়ে চুল বেশি ঘষাঘষি করবেন না। এছাড়া মাঝে মাঝে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।

গরম পানিতে চুল ধোয়া: গরম পানিতে গোসল করলেও এই পানি মাথায় দেবেন না। স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করুন। গরম পানিতে চুল ধোয়ার ফলে একদিনেই রং মলিন হয়ে যেতে পারে।

বিশেষ কন্ডিশনার ব্যবহার না করা: ডাই করা চুল খুব সহজেই শুষ্ক এবং ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। তাই ডাই করা চুলের জন্য বিশেষ কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। এসব কন্ডিশনার চুলের ওপরে একটি বিশেষ প্রতিরোধী স্তর তৈরি করে এবং রং বেশিদিন ধরে রাখে। প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর এই কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুলের গোড়ায় নয়, আগায় কন্ডিশনার মাখুন।

তোয়ালে দিয়ে ঘষে চুল মোছা: ডাই করা চুল এমনিতেই দুর্বল হয়ে যায়। চুল ধোয়ার পর তোয়ালে দিয়ে ঘষাঘষি করলে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে, রংটাও হালকা হয়ে যেতে পারে। চুল আলতো করে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন এবং বাতাসে শুকিয়ে নিন।

কার্লার, স্ট্রেইটনার এবং ড্রায়ারের অতিরিক্ত ব্যবহার: ডাই করা চুলে তাপ দিলে ক্ষতি বেশি হয়। চুল নষ্ট হয়ে যাওয়া রোধ করতে প্রতিবার এসব যন্ত্র ব্যবহারের আগে চুলে হিট প্রটেকশন স্প্রে ব্যবহার করুন। এসব যন্ত্রের ব্যবহার যথাসম্ভব কমিয়ে দিন।

চুলের বাড়তি যত্ন না করা: ডাই করা চুল যত্নের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়, বিশেষ করে গরমকালে। এ সময়ে চুলে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন বা হেয়ার ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন। এছাড়া চুলে রোদ লাগলে রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই রোদে গেলে ছাতা ব্যবহার করুন বা চুল ঢেকে রাখুন।

ঘন ঘন চুলে কালার করা: অনেকেই ভাবেন চুলে যত ঘন ঘন ডাই করানো যায়, চুল তত সুন্দর থাকবে। আসলে কিন্তু তা নয়! প্রতিবার কালার করার জন্য অন্তত ছয় সপ্তাহ অপেক্ষা করুন। এতে চুলের ক্ষতি অনেক কম হয়, চুল থাকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

বিজনেস আওয়ার/১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: