ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বে লিজিংয়ের ইপিএস কেলেঙ্কারিতে বিএসইসির তদন্ত কমিটি গঠন

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 1

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ২০২১ সালের ব্যবসায় প্রান্তিকগুলোর আর্থিক হিসাবে অস্বাভাবিক উত্থান-পতনের কারন অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এল্যক্ষে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিএসইসি এ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

তিন সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন- উপ-পরিচালক কাজী মো: আল-ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক মো: কাউসার আলী ও মো: আতিকুর রহমান।

কমিটিকে আগামী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে কোম্পানিটির ৯ মাসের অনিরীক্ষিত ও ১২ মাসের নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাবের মধ্যে কোন জাগলারি হয়েছে কিনা, ইনসাইডার ট্রেডিং আছে কিনা, ওই অস্বাভাবিক আর্থিক হিসাবের কারনে শেয়ার দরে প্রভাব ও মার্কেট ম্যানুপুলেশন হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে কমিশন।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, বে লিজিংয়ের এই ইপিএস কেলেঙ্কারির পেছনে বর্তমান ও সাবেক উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা শেয়ার কেনা-বেচা করেছেন কিনা, তা গভীরভাবে খতিয়ে দেখা উচিত।

বে লিজিং কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের ১ম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) দেখায় ২.৭৫ টাকা। তবে ১২ মাসে বা ২০২১ সালে এই মুনাফাতো দূরের কথা লোকসান দেখায় ৯৯ পয়সা। অর্থাৎ ১ম ৯ মাসে ২.৭৫ টাকা মুনাফা হয়েছে শেষ ৩ মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২১) লোকসান হয়েছে ৩.৭৪ টাকা।

কোম্পানি কর্তৃপক্ষের এই অস্বাভাবিক আর্থিক হিসাব শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয় এবং নিন্দার ঝড় তোলে। যার আলোকে কমিশন আজ তদন্ত কমিটি গঠন করল।

কোম্পানিটির এমন অস্বাভাবিক আর্থিক হিসাব নিয়ে গত শনিবার ঢাকার হোটেল ওয়েষ্টিনে যৌথভাবে সিএমজেএফ ও বিএমবিএ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজার: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আল-আমিন বলেন, একটি কোম্পানির নয় মাসে ইপিএস ছিল ২.৭৫ টাকা। যা ভালো ব্যবসা এবং বিনিয়োগযোগ্য। কিন্তু ১ বছরের ব্যবসায় কোম্পানিটি ইপিএস দেখালো ৯৯ পয়সা নেগেটিভ। এখন যেসব বিনিয়োগকারী ৯ মাসে ২.৭৫ টাকা দেখে বিনিয়োগ করল, তাকে কি এখানে দোষ দেওয়া যাবে। সেতো ঠিকই ফান্ডামেন্টাল দেখে বিনিয়োগ করেছিল। এ ধরনের অ্যাকাউন্টস যারা প্রকাশ করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিজনেস আওয়ার/২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বে লিজিংয়ের ইপিএস কেলেঙ্কারিতে বিএসইসির তদন্ত কমিটি গঠন

পোস্ট হয়েছে : ০২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ২০২১ সালের ব্যবসায় প্রান্তিকগুলোর আর্থিক হিসাবে অস্বাভাবিক উত্থান-পতনের কারন অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এল্যক্ষে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিএসইসি এ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

তিন সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন- উপ-পরিচালক কাজী মো: আল-ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক মো: কাউসার আলী ও মো: আতিকুর রহমান।

কমিটিকে আগামী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে কোম্পানিটির ৯ মাসের অনিরীক্ষিত ও ১২ মাসের নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাবের মধ্যে কোন জাগলারি হয়েছে কিনা, ইনসাইডার ট্রেডিং আছে কিনা, ওই অস্বাভাবিক আর্থিক হিসাবের কারনে শেয়ার দরে প্রভাব ও মার্কেট ম্যানুপুলেশন হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে কমিশন।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, বে লিজিংয়ের এই ইপিএস কেলেঙ্কারির পেছনে বর্তমান ও সাবেক উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা শেয়ার কেনা-বেচা করেছেন কিনা, তা গভীরভাবে খতিয়ে দেখা উচিত।

বে লিজিং কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের ১ম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) দেখায় ২.৭৫ টাকা। তবে ১২ মাসে বা ২০২১ সালে এই মুনাফাতো দূরের কথা লোকসান দেখায় ৯৯ পয়সা। অর্থাৎ ১ম ৯ মাসে ২.৭৫ টাকা মুনাফা হয়েছে শেষ ৩ মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২১) লোকসান হয়েছে ৩.৭৪ টাকা।

কোম্পানি কর্তৃপক্ষের এই অস্বাভাবিক আর্থিক হিসাব শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয় এবং নিন্দার ঝড় তোলে। যার আলোকে কমিশন আজ তদন্ত কমিটি গঠন করল।

কোম্পানিটির এমন অস্বাভাবিক আর্থিক হিসাব নিয়ে গত শনিবার ঢাকার হোটেল ওয়েষ্টিনে যৌথভাবে সিএমজেএফ ও বিএমবিএ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজার: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আল-আমিন বলেন, একটি কোম্পানির নয় মাসে ইপিএস ছিল ২.৭৫ টাকা। যা ভালো ব্যবসা এবং বিনিয়োগযোগ্য। কিন্তু ১ বছরের ব্যবসায় কোম্পানিটি ইপিএস দেখালো ৯৯ পয়সা নেগেটিভ। এখন যেসব বিনিয়োগকারী ৯ মাসে ২.৭৫ টাকা দেখে বিনিয়োগ করল, তাকে কি এখানে দোষ দেওয়া যাবে। সেতো ঠিকই ফান্ডামেন্টাল দেখে বিনিয়োগ করেছিল। এ ধরনের অ্যাকাউন্টস যারা প্রকাশ করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিজনেস আওয়ার/২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: