বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: কক্সবাজারের উখিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবারের আরও ১৪ সদস্য কানাডা চলে গেলেন। এর আগে গত ৩১ মার্চ মুহিবুল্লাহর স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের ১১ সদস্য ইউএনএইচসিআরের তত্ত্বাবধানে কানাডায় পাড়ি দেন।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ঢাকায় আসেন মুহিবুল্লাহর পরিবারের সদস্যরা, সোমবার রাতে তারা কানাডার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় তার মাসহ দুই ভাইয়ের পরিবারের ১৪ জন কানাডায় পাড়ি জমালেন। এর আগে গত ৩১ মার্চ তার পরিবারের ১১ জন দেশটিতে গেছেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তত্ত্বাবধানে মুহিবুল্লাহর পরিবারের ১৪ সদস্যকে গত রোববার ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তারা কানাডার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন। নিহত মুহিবুল্লাহর মা উম্মা ফজল (৬০) এবং তার দুই ভাই হাবিব উল্লাহ, আহমাদ উল্লাহ এবং তাদের স্ত্রী ও সন্তানেরাসহ ১৪ সদস্য।
উল্লেখ্য, গতবছর ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজারের কুতুপালং-১ (ইস্ট) লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি-৮ ব্লকে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ। মিয়ানমারের মংডুতে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন বলে রোহিঙ্গাদের কাছে তিনি ‘মুহিবুল্লাহ মাস্টার’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই মুহিবুল্লাহর স্বজন ও অনুসারীরা হন্যে হয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন তারা।
বাংলাদেশের বাইরে তৃতীয় কোনো দেশে যাওয়ার কথা বলেছিলেন রশিদুল্লাহ। তাদের এই ইচ্ছার কথা জাতিসংঘের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় তারা জানিয়েছেন।
এরই পরিপেক্ষিতে ইউএনএইচসিআরের তত্ত্বাবধানে কানাডায় পাড়ি জমালেন তারা।
বিজনেস আওয়ার/ ২৭ সেপ্টেম্বর,২০২২/এএইচএ