বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: এসো গেল জাদুকরি জ্যাকেট। যা পরিধান করলে অদৃশ্য হওয়া যাবে সেই মানুষটি। কল্পবিজ্ঞানের এই জ্যাকেট এবার এলো বাস্তবেও। এই বিশেষ জ্যাকেট উদ্ভাবন করেছে ভলিবাক নামের একটি প্রযুক্তি-নির্ভর পোশাক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি এমনটাই দাবি করছে প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানীরা, তারা অদৃশ্য হওয়ার জ্যাকেটের প্রোটোটাইপ তৈরি করেছেন। এমনই আশ্চর্য জ্যাকেট, যা গায়ে পরলেই গায়েব হয়ে যাবেন সকলের চোখের সামনেই। অর্থাৎ প্রকাশ্যে ঘুরলে ফিরলে কেউই দেখতে পাবে না আপনাকে। আগামী দুই বছরের মধ্যে যা বাজারে আসবে। এই পোশাক ফাঁকি দিতে পারবে ইনফ্রারেড প্রযুক্তিকে।
রূপকথার গল্পে পড়া এই জাদু জ্যাকেট আকর্ষণ কে-ই বা এড়াতে পেরেছে! জনমানসের এই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এবার সেইরকম জ্যাকেট আবিষ্কারের দিকে ঝুঁকলেন বিজ্ঞানীরা। আর শুধু উদ্যোগ নেয়াই নয়, এরই মধ্যে সে পথে নাকি অনেকখানি অগ্রসরও হয়েছেন তারা।
ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সঙ্গে যৌথভাবে একটি জ্যাকেট তৈরি করেছেন তারা। তাতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘গ্রাফিন’ নামের এক প্রকার নরম, স্বচ্ছ ও উচ্চপরিবাহী পদার্থ। দেহের তাপমাত্রা ঢেকে রাখতে ৪২টি গ্রাফিনের পট্টি বসানো হয়েছে জ্যাকেটে। বলা যেতে পারে, ফোনের পর্দায় যেভাবে আলো কমানো কিংবা বাড়ানো যায়, তেমনভাবেই, দৈহিক তাপমাত্রার কতটুকু পোশাকের বাইরে আসবে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এই জ্যাকেটে। আর এই জ্যাকেট ভবিষ্যতে অদৃশ্য জামা তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে বলে মত গবেষকদের একাংশের।
আসলে রাতের অন্ধকারে কোনো মানুষকে খুঁজে পেতে অবলোহিত তরঙ্গ বা ইনফ্রারেড প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এই ইনফ্রারেড ক্যামেরায় মানুষের দেহের উষ্ণতা ধরা পড়ে। পোশাক পরেও দেহের তাপমাত্রা যেহেতু লুকিয়ে রাখা যায় না, তাই লুকিয়ে থাকা মানুষকে খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির তুলনা মেলা ভার।
এদিকে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার করা ওই জ্যাকেটে দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ফেলা সম্ভব হচ্ছে বলেই দাবি। সেক্ষেত্রে ইনফ্রারেড ক্যামেরায় ওই জামা পরা মানুষের অস্তিত্ব ধরা পড়বে না। আর সেই কারণেই, বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, অদৃশ্য হওয়ার জ্যাকেট তৈরি করার থেকে খুব বেশি পিছিয়ে নেই তারা।
বিজনেস আওয়ার/ ০৮ অক্টোবর,২০২২/এএইচএ