ঢাকা , সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাইকের মাইলেজ বাড়ানোর জাদুকরি ১০ উপায়

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২
  • 9

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: এমনিতেই কোম্পানির দাবির সঙ্গে বাস্তব মাইলেজের মিল নেই। তার ওপর জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর আরও বেশি পকেট খালি হচ্ছে বাইকারদের। অনেকে তো বাইক ঘরের মধ্যে সাজিয়ে রেখে দিয়েছেন। তবে শুধু ১০টি উপায় অবলম্বন করে আপনি আপনার বাইকের মাইলেজ বাড়াতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক উপায়গুলো-

১. মাইলেজ বেশি পাওয়ার পূর্বশর্ত হলো সময়মতো বাইক সার্ভিসিং করা। আমরা অনেকেই বাইক শুধু চালাতেই থাকি, যত্ন নিতে চাই না। এ ছাড়া ছোটোখাটো কোনো সমস্যা হলে খুব একটা গুরুত্ব দিই না। যা একদমই করা ঠিক না। অবশ্যই নিয়মিত বাইক সার্ভিসিং করতে হবে।

২. অকটেন বা পেট্রোল যেটাই ব্যবহার করুন না কেনো, অবশ্যই স্বনামধন্য ফিলিংস্টেশন থেকে জ্বালানি নিতে হবে। যেখানে ভালো মানের তেল পাওয়া যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন অলিগলির দোকান থেকে খোলা তেল কিনে একদমই ব্যবহার করা যাবে না। এসব তেলে ভেজালের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। যার ফলে মাইলেজ কমার পাশাপাশি ইঞ্জিনেরও ক্ষতি হয়।

৩. বাইকের টায়ার প্রেসার ঠিকঠাক রাখুন। ১৫ দিন পর পর টায়ার প্রেসার চেক করুন। প্রয়োজনে হাওয়া ঢুকান। টায়ার প্রেসার কম থাকলে মাইলেজে কমে যায়।

৪. সময়মতো এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করুন। কারণ বাতাসের দূষণ ও ধূলিকণা সহজেই এর মধ্যে ময়লা জমিয়ে দেয়। যা ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এর প্রভাবে মাইলেজ কমে যায়।

৫. বাইকের চেইন, ইঞ্জিন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তেল দেওয়ায় বিশেষ যত্ন নিন। সময়মতো ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন ও চেইন লুব করুন। এছাড়া গিয়ার, ক্লাচ অ্যাডজাস্টমেন্ট ঠিক রাখতে হবে।

৬. অযথা ক্লাচ চাপা থেকে বিরত থাকুন। অনেকেই হাফ ক্লাস ধরে বাইক চালান- এটি করা যাবে না। ক্লাচের ব্যবহার কম হলে মাইলেজ বাড়বে। একইসঙ্গে ক্লাচপ্লেটও দ্রুত নষ্ট হবে না।

৭. অবশ্যই সঠিক গিয়ারে বাইক চালাতে হবে। কম গিয়ারে বেশি পিকাপ দিলে বা স্পিড তোলার চেষ্টা করলে মাইলেজ কম পাবেন। বাইকের স্পিড বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গিয়ারের সমন্বয় করাটা খুব বেশি জরুরি। এতে গিয়ারবক্সও দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।

৮. অনেক সময় বাইক নিয়ে সিগনালে পড়তে হয়। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় সিগনালের অভাব নেই। আর গাড়ির চাপ বেশি থাকায় দীর্ঘক্ষণ সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এই সময়টাতে অনেকেই বাইকের ইঞ্জিন অফ করেন না। ফলে প্রচুর পরিমাণ জ্বালানি অপচয় হয়। তাই সিগনাল ১৫-২০ সেকেন্ডের বেশি হলে অবশ্যই ইঞ্জিন বন্ধ রাখুন। এতে মাইলেজ বেশি পাবেন। এছাড়া ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে চলাচল না করে শর্টকার্টে ফাঁকা রাস্তা দিয়ে চলাচলের চেষ্টা করুন।

৯. বাইকের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী ওজন বহন করুন। অতিরিক্ত লোড নিলে ইঞ্জিনে চাপ বেশি পড়ে। ফলে বাইক দ্রুত সামনে আগায় না। এটি কখনও করবেন না।

১০. অনেকেই বেপরোয়াভাবে বাইক চালান। হুটহাট খুব বেশি গতি তোলেন, আবার কমান। এগুলো করা যাবে না। স্বাভাবিক নিয়মে বাইক চালাতে হবে। তাহলেই বাইকের মাইলেজ বাড়বে।

বিজনেস আওয়ার, ২৩ অক্টোবর, ২০২২/ এসএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বাইকের মাইলেজ বাড়ানোর জাদুকরি ১০ উপায়

পোস্ট হয়েছে : ০৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: এমনিতেই কোম্পানির দাবির সঙ্গে বাস্তব মাইলেজের মিল নেই। তার ওপর জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর আরও বেশি পকেট খালি হচ্ছে বাইকারদের। অনেকে তো বাইক ঘরের মধ্যে সাজিয়ে রেখে দিয়েছেন। তবে শুধু ১০টি উপায় অবলম্বন করে আপনি আপনার বাইকের মাইলেজ বাড়াতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক উপায়গুলো-

১. মাইলেজ বেশি পাওয়ার পূর্বশর্ত হলো সময়মতো বাইক সার্ভিসিং করা। আমরা অনেকেই বাইক শুধু চালাতেই থাকি, যত্ন নিতে চাই না। এ ছাড়া ছোটোখাটো কোনো সমস্যা হলে খুব একটা গুরুত্ব দিই না। যা একদমই করা ঠিক না। অবশ্যই নিয়মিত বাইক সার্ভিসিং করতে হবে।

২. অকটেন বা পেট্রোল যেটাই ব্যবহার করুন না কেনো, অবশ্যই স্বনামধন্য ফিলিংস্টেশন থেকে জ্বালানি নিতে হবে। যেখানে ভালো মানের তেল পাওয়া যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন অলিগলির দোকান থেকে খোলা তেল কিনে একদমই ব্যবহার করা যাবে না। এসব তেলে ভেজালের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। যার ফলে মাইলেজ কমার পাশাপাশি ইঞ্জিনেরও ক্ষতি হয়।

৩. বাইকের টায়ার প্রেসার ঠিকঠাক রাখুন। ১৫ দিন পর পর টায়ার প্রেসার চেক করুন। প্রয়োজনে হাওয়া ঢুকান। টায়ার প্রেসার কম থাকলে মাইলেজে কমে যায়।

৪. সময়মতো এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করুন। কারণ বাতাসের দূষণ ও ধূলিকণা সহজেই এর মধ্যে ময়লা জমিয়ে দেয়। যা ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এর প্রভাবে মাইলেজ কমে যায়।

৫. বাইকের চেইন, ইঞ্জিন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তেল দেওয়ায় বিশেষ যত্ন নিন। সময়মতো ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন ও চেইন লুব করুন। এছাড়া গিয়ার, ক্লাচ অ্যাডজাস্টমেন্ট ঠিক রাখতে হবে।

৬. অযথা ক্লাচ চাপা থেকে বিরত থাকুন। অনেকেই হাফ ক্লাস ধরে বাইক চালান- এটি করা যাবে না। ক্লাচের ব্যবহার কম হলে মাইলেজ বাড়বে। একইসঙ্গে ক্লাচপ্লেটও দ্রুত নষ্ট হবে না।

৭. অবশ্যই সঠিক গিয়ারে বাইক চালাতে হবে। কম গিয়ারে বেশি পিকাপ দিলে বা স্পিড তোলার চেষ্টা করলে মাইলেজ কম পাবেন। বাইকের স্পিড বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গিয়ারের সমন্বয় করাটা খুব বেশি জরুরি। এতে গিয়ারবক্সও দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।

৮. অনেক সময় বাইক নিয়ে সিগনালে পড়তে হয়। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় সিগনালের অভাব নেই। আর গাড়ির চাপ বেশি থাকায় দীর্ঘক্ষণ সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এই সময়টাতে অনেকেই বাইকের ইঞ্জিন অফ করেন না। ফলে প্রচুর পরিমাণ জ্বালানি অপচয় হয়। তাই সিগনাল ১৫-২০ সেকেন্ডের বেশি হলে অবশ্যই ইঞ্জিন বন্ধ রাখুন। এতে মাইলেজ বেশি পাবেন। এছাড়া ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে চলাচল না করে শর্টকার্টে ফাঁকা রাস্তা দিয়ে চলাচলের চেষ্টা করুন।

৯. বাইকের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী ওজন বহন করুন। অতিরিক্ত লোড নিলে ইঞ্জিনে চাপ বেশি পড়ে। ফলে বাইক দ্রুত সামনে আগায় না। এটি কখনও করবেন না।

১০. অনেকেই বেপরোয়াভাবে বাইক চালান। হুটহাট খুব বেশি গতি তোলেন, আবার কমান। এগুলো করা যাবে না। স্বাভাবিক নিয়মে বাইক চালাতে হবে। তাহলেই বাইকের মাইলেজ বাড়বে।

বিজনেস আওয়ার, ২৩ অক্টোবর, ২০২২/ এসএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: