ঢাকা , শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদ্যুৎহীন ভোলা জেলা, নিরাপদে সরতে মাইকিং

  • পোস্ট হয়েছে : ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
  • 14

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: আন্দামান সাগর হয়ে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভোলার দক্ষিণের চরপাতিলা, ঢালচর ও কুকড়িমুকড়ি পানির নিচে ডুবে যাচ্ছে। বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে পুরো ভোলা জেলা।

জোয়ারের আগেই ডুবে গেছে চরপাতিলা। কুকড়িমুকড়ির রাস্তার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় এবং ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চরবাসীদের উদ্ধার করে সরিয়ে আনার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। মনপুরা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঝড়ো বাতাস এভাবে চলতে থাকলে আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নদী ও সাগরের মাঝখানের দুর্গম চরাঞ্চল থেকে লোকদের সরিয়ে আনার কথা বললেও এখনো চরের মধ্যেই অরক্ষিত রয়েছে সেখানকার মানুষজন।

এদিকে চর জহিরুদিন, দক্ষিণ আইচা, ঢালচর, কাকড়িমুকড়ি, চর ডেম্পেয়ার ও মনপুরায় সিডেক এ বেড়িবাঁধ না থাকায় সেখানকার মানুষ আতংকে রয়েছেন। গতকাল সকাল থেকে হালকা বৃষ্টিপাত থাকলেও আজ দুপুর ১২টার পর থেকে বৃষ্টি ও বাতাস বেড়েছে বহুগুণ।

বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে পুরো ভোলাজুড়ে। সকলকে নিরাপদে যেতে জেলা শহরেও মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন। ঢাল চর কুঁকড়িমুকড়ি জহিরুদ্দিনের মানুষদের আশ্রয়ের জন্য সকল তদন্ত কেন্দ্র খুলে দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কর্মস্থলে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার ৭৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র ও এক হাজার ৩০৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলার সাত উপজেলায় খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। ১৩ হাজার ৬০০ জন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। জেলার ৭০টি ইউনিয়ন ও সাতটি উপজেলায় একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে এবং জেলার বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া মানুষদের জন্য শুকনো খাবারের প্যাকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/২৪ অক্টোবর, ২০২২/এসএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বিদ্যুৎহীন ভোলা জেলা, নিরাপদে সরতে মাইকিং

পোস্ট হয়েছে : ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: আন্দামান সাগর হয়ে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভোলার দক্ষিণের চরপাতিলা, ঢালচর ও কুকড়িমুকড়ি পানির নিচে ডুবে যাচ্ছে। বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে পুরো ভোলা জেলা।

জোয়ারের আগেই ডুবে গেছে চরপাতিলা। কুকড়িমুকড়ির রাস্তার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় এবং ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চরবাসীদের উদ্ধার করে সরিয়ে আনার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। মনপুরা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঝড়ো বাতাস এভাবে চলতে থাকলে আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নদী ও সাগরের মাঝখানের দুর্গম চরাঞ্চল থেকে লোকদের সরিয়ে আনার কথা বললেও এখনো চরের মধ্যেই অরক্ষিত রয়েছে সেখানকার মানুষজন।

এদিকে চর জহিরুদিন, দক্ষিণ আইচা, ঢালচর, কাকড়িমুকড়ি, চর ডেম্পেয়ার ও মনপুরায় সিডেক এ বেড়িবাঁধ না থাকায় সেখানকার মানুষ আতংকে রয়েছেন। গতকাল সকাল থেকে হালকা বৃষ্টিপাত থাকলেও আজ দুপুর ১২টার পর থেকে বৃষ্টি ও বাতাস বেড়েছে বহুগুণ।

বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে পুরো ভোলাজুড়ে। সকলকে নিরাপদে যেতে জেলা শহরেও মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন। ঢাল চর কুঁকড়িমুকড়ি জহিরুদ্দিনের মানুষদের আশ্রয়ের জন্য সকল তদন্ত কেন্দ্র খুলে দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কর্মস্থলে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার ৭৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র ও এক হাজার ৩০৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলার সাত উপজেলায় খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। ১৩ হাজার ৬০০ জন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। জেলার ৭০টি ইউনিয়ন ও সাতটি উপজেলায় একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে এবং জেলার বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া মানুষদের জন্য শুকনো খাবারের প্যাকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/২৪ অক্টোবর, ২০২২/এসএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: