ঢাকা , মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২
  • 7

স্পোর্টস ডেস্ক: বৃষ্টির পর নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ৩০ বলে ৭৩ রান। কিন্তু সহসাই ম্যাচের লাগাম টেনে ধরে পাকিস্তান এবং শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতেও বাধা দিতে সক্ষম হয় তারা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডিএল মেথডে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৩ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখলো পাকিস্তান।

ইফতিখার আহমেদ ও শাদাব খানের হাফ সেঞ্চুরি, সঙ্গে মোহাম্মদ হারিস ও মোহাম্মদ নওয়াজের ছোটখাটো ঝড়। এই চার ইনিংসে পুঁজি করে পাকিস্তান করে ফেলে ৯ উইকেটে ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ।

লক্ষ্যে নেমে ১৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। শাহীন শাহ আফ্রিদি তার প্রথম দুই ওভারে কুইন্টন ডি কক ও রাইলি রুসোকে সরান। ওই ধাক্কা টেম্বা বাভুমা ও এইডেন মার্করাম ঝড় তুলে কাটিয়ে ওঠেন। কিন্তু শাদাব খান বল হাতে নিয়েই পথের এই দুই কাঁটাকে সরিয়ে ফেলেন।

ব্যস, চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৬৯ রান তাদের, তখনই নামে বৃষ্টি। আর খেলা না হলে ১৬ রানে জিতে যেতো পাকিস্তান। কিন্তু এক ঘণ্টা পর আবারও মাঠে নামলেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। তখন বৃষ্টি আইনে কাটছাঁট করে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য দাঁড়ালো ১৪ ওভারে ১৪২ রান।

বিরতির পর প্রথম ওভারেই শাদাবকে ছয় ও চার মেরে ১৪ রান তুলে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেন ট্রিস্টান স্টাবস ও হেনরিখ ক্লাসেন। পরের ওভারে দুটি চার মেরে ক্লাসেন প্রোটিয়াদের আশার আলো জ্বালিয়ে রাখেন। কিন্তু আফ্রিদি আর এগোতে দেননি তাকে। দুটি চার হজমের পর শর্ট থার্ডে তাকে মোহাম্মদ ওয়াসিমের ক্যাচ বানান। ৯ বলে তিনটি চারে ১৫ রানে আউট ক্লাসেন।

এরপর খোলসবন্দি হয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়াসিম নতুন ব্যাটসম্যান ওয়েন পার্নেলকে এলবিডব্লিউ করেন। শেষ দুই ওভারে ৪৩ রান প্রয়োজন, হাতে চার উইকেট।

এই কঠিন পথ পাড়ি দিতে আর পারেনি প্রোটিয়ারা। পরের ১২ বলে আরও তিনটি উইকেট হারিয়ে ৯ রান করে তারা।

নাসিম শাহ ফেরান স্টাবসকে (১৮)। ডিপ স্কয়ার লেগে নওয়াজের ক্যাচ হন তিনি। হারিস রউফের শেষ ওভারে কাগিসো রাবাদা (১) রান আউট হন। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে হারিসকে ক্যাচ দেন আনরিখ নর্কিয়ে (১)।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদেরই মাটিতে নামিয়ে পাকিস্তান বাঁচিয়ে রাখলো সেমিফাইনালের আশা।

চার ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে তিনে উঠে গেলো পাকিস্তান। ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে ভারত। দুই নম্বরে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৫ পয়েন্ট।

পাকিস্তানের এই জয়ে জমে উঠলো গ্রুপ-২ এর লড়াই। ভারত জিম্বাবুয়েকে আর দক্ষিণ আফ্রিকা নেদারল্যান্ডসকে হারাতে পারলে সেমিফাইনালে উঠবে। আর যদি দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত শেষ ম্যাচ হারে তাহলে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে শেষ চারের টিকিট পাবে পাকিস্তান। তখন ভারত হবে তাদের সঙ্গী, বিদায় নেবে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর যদি দক্ষিণ আফ্রিকা জেতে এবং ভারত হারে, তাহলে বাংলাদেশকে হারাতে পারলে প্রোটিয়াদের সঙ্গে সেমিফাইনালে যাবেন বাবর আজমরা। বিদায় নেবেন রোহিত শর্মারা।

বিজনেস আওয়ার/০৩ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান

পোস্ট হয়েছে : ০৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২

স্পোর্টস ডেস্ক: বৃষ্টির পর নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ৩০ বলে ৭৩ রান। কিন্তু সহসাই ম্যাচের লাগাম টেনে ধরে পাকিস্তান এবং শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতেও বাধা দিতে সক্ষম হয় তারা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডিএল মেথডে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৩ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখলো পাকিস্তান।

ইফতিখার আহমেদ ও শাদাব খানের হাফ সেঞ্চুরি, সঙ্গে মোহাম্মদ হারিস ও মোহাম্মদ নওয়াজের ছোটখাটো ঝড়। এই চার ইনিংসে পুঁজি করে পাকিস্তান করে ফেলে ৯ উইকেটে ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ।

লক্ষ্যে নেমে ১৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। শাহীন শাহ আফ্রিদি তার প্রথম দুই ওভারে কুইন্টন ডি কক ও রাইলি রুসোকে সরান। ওই ধাক্কা টেম্বা বাভুমা ও এইডেন মার্করাম ঝড় তুলে কাটিয়ে ওঠেন। কিন্তু শাদাব খান বল হাতে নিয়েই পথের এই দুই কাঁটাকে সরিয়ে ফেলেন।

ব্যস, চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৬৯ রান তাদের, তখনই নামে বৃষ্টি। আর খেলা না হলে ১৬ রানে জিতে যেতো পাকিস্তান। কিন্তু এক ঘণ্টা পর আবারও মাঠে নামলেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। তখন বৃষ্টি আইনে কাটছাঁট করে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য দাঁড়ালো ১৪ ওভারে ১৪২ রান।

বিরতির পর প্রথম ওভারেই শাদাবকে ছয় ও চার মেরে ১৪ রান তুলে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেন ট্রিস্টান স্টাবস ও হেনরিখ ক্লাসেন। পরের ওভারে দুটি চার মেরে ক্লাসেন প্রোটিয়াদের আশার আলো জ্বালিয়ে রাখেন। কিন্তু আফ্রিদি আর এগোতে দেননি তাকে। দুটি চার হজমের পর শর্ট থার্ডে তাকে মোহাম্মদ ওয়াসিমের ক্যাচ বানান। ৯ বলে তিনটি চারে ১৫ রানে আউট ক্লাসেন।

এরপর খোলসবন্দি হয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়াসিম নতুন ব্যাটসম্যান ওয়েন পার্নেলকে এলবিডব্লিউ করেন। শেষ দুই ওভারে ৪৩ রান প্রয়োজন, হাতে চার উইকেট।

এই কঠিন পথ পাড়ি দিতে আর পারেনি প্রোটিয়ারা। পরের ১২ বলে আরও তিনটি উইকেট হারিয়ে ৯ রান করে তারা।

নাসিম শাহ ফেরান স্টাবসকে (১৮)। ডিপ স্কয়ার লেগে নওয়াজের ক্যাচ হন তিনি। হারিস রউফের শেষ ওভারে কাগিসো রাবাদা (১) রান আউট হন। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে হারিসকে ক্যাচ দেন আনরিখ নর্কিয়ে (১)।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদেরই মাটিতে নামিয়ে পাকিস্তান বাঁচিয়ে রাখলো সেমিফাইনালের আশা।

চার ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে তিনে উঠে গেলো পাকিস্তান। ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে ভারত। দুই নম্বরে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৫ পয়েন্ট।

পাকিস্তানের এই জয়ে জমে উঠলো গ্রুপ-২ এর লড়াই। ভারত জিম্বাবুয়েকে আর দক্ষিণ আফ্রিকা নেদারল্যান্ডসকে হারাতে পারলে সেমিফাইনালে উঠবে। আর যদি দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত শেষ ম্যাচ হারে তাহলে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে শেষ চারের টিকিট পাবে পাকিস্তান। তখন ভারত হবে তাদের সঙ্গী, বিদায় নেবে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর যদি দক্ষিণ আফ্রিকা জেতে এবং ভারত হারে, তাহলে বাংলাদেশকে হারাতে পারলে প্রোটিয়াদের সঙ্গে সেমিফাইনালে যাবেন বাবর আজমরা। বিদায় নেবেন রোহিত শর্মারা।

বিজনেস আওয়ার/০৩ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: