ঢাকা , বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কে অ্যান্ড কিউয়ের ৪৯ কোটি টাকার সম্পদের সত্যতা পায়নি নিরীক্ষক

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • 2

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কে অ্যান্ড কিউ কর্তৃপক্ষ ২০২১-২২ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে ৪৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকার (জমি ও ভবন ছাড়া) স্থায়ী সম্পদ আছে বলে উল্লেখ করেছে। কিন্তু স্থায়ী সম্পদের সঠিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অভাবে ওই সম্পদের সত্যতা যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। যা আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)-১৬ এর লঙ্ঘন।

কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এই তথ্য জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

তালিকাভুক্ত এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিচ্ছে না। নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কে অ্যান্ড কিউয়ে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) দায় হিসাবে আগের ৩৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা অন্তর্ভূক্ত আছে।

কিন্তু ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ি, অর্থবছর শেষ হওয়ার ৯ মাসের মধ্যে ফান্ড বিতরনের বিধান রয়েছে। এ হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরের ডব্লিউপিপিএফ ফান্ড ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ওই ফান্ড কর্মীদের মধ্যে বিতরন না করে তাদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন কে অ্যান্ড কিউ কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কে অ্যান্ড কিউয়ের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৮.২৩ শতাংশ। কোম্পানিটির শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২৭০.১০ টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/০৩ ডিসেম্বর, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

কে অ্যান্ড কিউয়ের ৪৯ কোটি টাকার সম্পদের সত্যতা পায়নি নিরীক্ষক

পোস্ট হয়েছে : ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কে অ্যান্ড কিউ কর্তৃপক্ষ ২০২১-২২ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে ৪৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকার (জমি ও ভবন ছাড়া) স্থায়ী সম্পদ আছে বলে উল্লেখ করেছে। কিন্তু স্থায়ী সম্পদের সঠিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অভাবে ওই সম্পদের সত্যতা যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। যা আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)-১৬ এর লঙ্ঘন।

কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এই তথ্য জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

তালিকাভুক্ত এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিচ্ছে না। নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কে অ্যান্ড কিউয়ে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) দায় হিসাবে আগের ৩৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা অন্তর্ভূক্ত আছে।

কিন্তু ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ি, অর্থবছর শেষ হওয়ার ৯ মাসের মধ্যে ফান্ড বিতরনের বিধান রয়েছে। এ হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরের ডব্লিউপিপিএফ ফান্ড ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ওই ফান্ড কর্মীদের মধ্যে বিতরন না করে তাদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন কে অ্যান্ড কিউ কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কে অ্যান্ড কিউয়ের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৮.২৩ শতাংশ। কোম্পানিটির শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২৭০.১০ টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/০৩ ডিসেম্বর, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: