জুয়েল হাসান : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত শ্যামপুর সুগার মিলসের উৎপাদন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। কোম্পানির নিয়মিত লোকসান, উচ্চ উৎপাদন ব্যয় ও মূলধন ঘাটতির জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার আলোকে ২০২১-২২ অর্থবছরে কোম্পানির কোন উৎপাদন করা হয়নি। তারপরেও কোম্পানিটির শেয়ার দর অনেক এগিয়ে। অথচ কোম্পানিটির এখন নিট সম্পদ বলতে কিছুই নেই।
কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষক এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিরীক্ষক জনিয়েছেন, নিয়মিত লোকসানের মাধ্যমে কোম্পানিটির মূলধন ঘাটতি হয়ে গেছে ৫৮৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এরফলে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ ঋণাত্মক দাঁড়িয়েছে ১১৬৭.৫৭ টাকায়।
শ্যামপুর সুগার কর্তৃপক্ষ স্টোর রেকর্ড রিপোর্টের তুলনায় ২৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকার অতিরিক্ত মজুদ পণ্য দেখিয়েছে। যা সমন্বয়ে কোম্পানির ২০২১-২২ অর্থবছরে লোকসান ও পুঞ্জীভুত লোকসানের পরিমাণ বাড়বে।
কোম্পানিটির ২০২২ সালের ৩০ জুন দীর্ঘমেয়াদি ৩১ কোটি ১১ লাখ টাকা ও স্বল্পমেয়াদি ১৭৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা ঋণ দাঁড়িয়েছে। যা প্রদান না করার কারনে খেলাপি হয়ে গেছে বলে নিরীক্ষক জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন…..
২১৫ কোম্পানির ৮৫৬৫ কোটি টাকার নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)-১২ অনুযায়ি প্রযোজ্য হলেও শ্যামপুর সুগার কর্তৃপক্ষ ডেফার্ড টেক্স গণনা করেনি।
উল্লেখ্য, শ্যামপুর সুগারের অধিকাংশ মালিকানা ও নিয়ন্ত্রন রয়েছে সরকারের অধীনে। ৫ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটিতে সরকারের মালিকানা ৫১ শতাংশ।
কোম্পানিটি নিয়মিত লোকসানের মাধ্যমে ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলেও শেয়ার দরে পিছিয়ে নেই। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারটি শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দাঁড়িয়েছে ৯৮.২০ টাকায়। যে কোম্পানিটির ২০২১-২২ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৫৩.০৩ টাকা লোকসান হয়েছে।
বিজনেস আওয়ার/১০ ডিসেম্বর, ২০২২/আরএ