ঢাকা , শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে ভাঙ্গার কারণ জানালেন ‘মমতা শঙ্কর’

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • 7

বিনোদন ডেস্ক: টলিউড থেকে বলিউডে একাই রাজ করেছেন তিনি। সে সময় মিঠুনের প্রেমে পাগল ছিল সবাই। বহু অভিনেত্রীও ভালোবেসে ফেলেছিলেন তাকে। এসব নিয়ে অনেক তথ্যই জানেন তার ভক্তরা।

ভারতীয় বাংলা সিনেমার গুণী অভিনেত্রী মমতা শঙ্করের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মিঠুন। বিয়ের দিন-তারিখও চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাতপাকে বাঁধা পড়েননি এই যুগল। কিন্তু কী কারণে এই বিয়ে ভেঙে যায়, তা এতদিন আড়ালেই ছিল! অবশেষে এ বিষয়ে মুখ খুললেন মমতা শঙ্কর নিজেই।

দীর্ঘ ৪৭ বছর পর ফের একসঙ্গে কাজ করছেন মিঠুন-মমতা। ‘প্রজাপতি’ সিনেমায় তাদের একসঙ্গে দেখা যাবে। এ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে প্রায় পাঁচ দশক আগে ফিরে যান মমতা। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নানা কথাই বলেছেন তিনি।

বিরতি ভেঙে মিঠুনের সঙ্গে কাজের অনুভূতি ব্যক্ত করে মমতা শঙ্কর বলেন— ‘‘১৯৭৫ সালে ‘মৃগয়া’ সিনেমার শুটিং করেছিলাম। তারপর ৪৭ বছর কেটে গেছে। কিন্তু ৪৭ বছর পর যে কাজ করছি, সেটা একবারও মনে হয়নি। মনে হচ্ছিল, এই তো সে দিন শুটিং করলাম! যেখান থেকে ছেড়েছিলাম, মনে হলো সেখান থেকেই আবার আরম্ভ করলাম।’’

মিঠুনের সঙ্গে এখনো নিয়মিত যোগাযোগ হয় মমতা শঙ্করের। তা জানিয়ে এই শিল্পী বলেন, ‘আমাদের এখনো সবসময়ই যোগাযোগ হয়। ওর বাড়ির সঙ্গে আমার খুবই ভালো যোগাযোগ ছিল। ওর বোনেদের সঙ্গে, মাসিমার (মিঠুনের মা) সঙ্গে নিয়মিত আমার কথা হয়; বোনেদের সঙ্গেই বেশি। মিঠুনের সঙ্গেও তাই। দেখা হলেই যেখানে শেষবার কথা ছেড়েছিলাম সেখান থেকে শুরু করি। ও আমাকে খুব খেপায়, মজা করে। আসলে একসঙ্গে সিনেমাটাই শুধু করিনি।’

মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে মমতা শঙ্কর বলেন, ‘ওটা জীবনের একটা অধ্যায়। সেটা হওয়াতে বোধহয় আমি চন্দ্রোদয়কে (মমতার স্বামী) আরো ভালোভাবে চিনেছি, বুঝেছি। আরো বেশি ভালোবাসতে পেরেছি। মানে, এটাই বোধহয় ঈশ্বরের প্ল্যান। তাই এ দিকেও কোনোরকম তিক্ততা হয়নি। সেই অধ্যায়টা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমাদের বন্ধুত্বটা সুন্দরভাবে রয়ে গিয়েছে। আমরা খুব ভালো বন্ধু। এখন মনে হয়, এইটাই হওয়ার ছিল।’

কী কারণে মিঠুনের সঙ্গে আপনার বিয়ে ভেঙেছিল? এ প্রশ্নের জবাব দিতে প্রথমে আপত্তি জানিয়ে মমতা বলেন, ‘সে অনেক গল্প। এ বিষয়ে বলতে গেলে একটা বই লেখা হয়ে যাবে।’ তারপর মমতা বলেন, ‘মোট কথা ওটা হওয়ারই ছিল, তাই হয়েছে। চন্দ্রোদয়ের সঙ্গেও মিঠুনের খুব ভালো বন্ধুত্ব। ফোনে কথা হয়। এবারও কথা হয়েছে। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর খোলামেলা একটা সম্পর্ক সবার মধ্যে।’

বিয়ে ভাঙার কিছু কারণ জানিয়ে মমতা বলেন, ‘মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে না হয়ে ভালো হয়েছে। মিঠুন খুবই ভালো মানুষ। কিন্তু আমার নাচ, আমার সিনেমায় অভিনয় করা— এগুলো বন্ধ হয়ে যেত। ও সেটা পছন্দ করত না। ওর মতে, ‘তুই শিখছিস শিখ’। কিন্তু বউ হলে বাড়িতে থাকতে হবে। যোগীতার (মিঠুনের স্ত্রী) বেলায়ও যেটা হয়েছে। ওর জন্য যোগীতাই ঠিক ছিল। আমার জন্য চন্দ্রোদয় ঠিক।’

উল্লেখ্য, খুব শীঘ্রই বড় পর্দায় ৪৭ বছর পর অভিনেতা দেবের ‘প্রজাপতি’ ছবিতে একসঙ্গে ফিরছেন তারকা জুটি।

বিজনেস আওয়ার/১৪ ডিসেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে ভাঙ্গার কারণ জানালেন ‘মমতা শঙ্কর’

পোস্ট হয়েছে : ০৪:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

বিনোদন ডেস্ক: টলিউড থেকে বলিউডে একাই রাজ করেছেন তিনি। সে সময় মিঠুনের প্রেমে পাগল ছিল সবাই। বহু অভিনেত্রীও ভালোবেসে ফেলেছিলেন তাকে। এসব নিয়ে অনেক তথ্যই জানেন তার ভক্তরা।

ভারতীয় বাংলা সিনেমার গুণী অভিনেত্রী মমতা শঙ্করের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মিঠুন। বিয়ের দিন-তারিখও চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাতপাকে বাঁধা পড়েননি এই যুগল। কিন্তু কী কারণে এই বিয়ে ভেঙে যায়, তা এতদিন আড়ালেই ছিল! অবশেষে এ বিষয়ে মুখ খুললেন মমতা শঙ্কর নিজেই।

দীর্ঘ ৪৭ বছর পর ফের একসঙ্গে কাজ করছেন মিঠুন-মমতা। ‘প্রজাপতি’ সিনেমায় তাদের একসঙ্গে দেখা যাবে। এ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে প্রায় পাঁচ দশক আগে ফিরে যান মমতা। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নানা কথাই বলেছেন তিনি।

বিরতি ভেঙে মিঠুনের সঙ্গে কাজের অনুভূতি ব্যক্ত করে মমতা শঙ্কর বলেন— ‘‘১৯৭৫ সালে ‘মৃগয়া’ সিনেমার শুটিং করেছিলাম। তারপর ৪৭ বছর কেটে গেছে। কিন্তু ৪৭ বছর পর যে কাজ করছি, সেটা একবারও মনে হয়নি। মনে হচ্ছিল, এই তো সে দিন শুটিং করলাম! যেখান থেকে ছেড়েছিলাম, মনে হলো সেখান থেকেই আবার আরম্ভ করলাম।’’

মিঠুনের সঙ্গে এখনো নিয়মিত যোগাযোগ হয় মমতা শঙ্করের। তা জানিয়ে এই শিল্পী বলেন, ‘আমাদের এখনো সবসময়ই যোগাযোগ হয়। ওর বাড়ির সঙ্গে আমার খুবই ভালো যোগাযোগ ছিল। ওর বোনেদের সঙ্গে, মাসিমার (মিঠুনের মা) সঙ্গে নিয়মিত আমার কথা হয়; বোনেদের সঙ্গেই বেশি। মিঠুনের সঙ্গেও তাই। দেখা হলেই যেখানে শেষবার কথা ছেড়েছিলাম সেখান থেকে শুরু করি। ও আমাকে খুব খেপায়, মজা করে। আসলে একসঙ্গে সিনেমাটাই শুধু করিনি।’

মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে মমতা শঙ্কর বলেন, ‘ওটা জীবনের একটা অধ্যায়। সেটা হওয়াতে বোধহয় আমি চন্দ্রোদয়কে (মমতার স্বামী) আরো ভালোভাবে চিনেছি, বুঝেছি। আরো বেশি ভালোবাসতে পেরেছি। মানে, এটাই বোধহয় ঈশ্বরের প্ল্যান। তাই এ দিকেও কোনোরকম তিক্ততা হয়নি। সেই অধ্যায়টা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমাদের বন্ধুত্বটা সুন্দরভাবে রয়ে গিয়েছে। আমরা খুব ভালো বন্ধু। এখন মনে হয়, এইটাই হওয়ার ছিল।’

কী কারণে মিঠুনের সঙ্গে আপনার বিয়ে ভেঙেছিল? এ প্রশ্নের জবাব দিতে প্রথমে আপত্তি জানিয়ে মমতা বলেন, ‘সে অনেক গল্প। এ বিষয়ে বলতে গেলে একটা বই লেখা হয়ে যাবে।’ তারপর মমতা বলেন, ‘মোট কথা ওটা হওয়ারই ছিল, তাই হয়েছে। চন্দ্রোদয়ের সঙ্গেও মিঠুনের খুব ভালো বন্ধুত্ব। ফোনে কথা হয়। এবারও কথা হয়েছে। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর খোলামেলা একটা সম্পর্ক সবার মধ্যে।’

বিয়ে ভাঙার কিছু কারণ জানিয়ে মমতা বলেন, ‘মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে না হয়ে ভালো হয়েছে। মিঠুন খুবই ভালো মানুষ। কিন্তু আমার নাচ, আমার সিনেমায় অভিনয় করা— এগুলো বন্ধ হয়ে যেত। ও সেটা পছন্দ করত না। ওর মতে, ‘তুই শিখছিস শিখ’। কিন্তু বউ হলে বাড়িতে থাকতে হবে। যোগীতার (মিঠুনের স্ত্রী) বেলায়ও যেটা হয়েছে। ওর জন্য যোগীতাই ঠিক ছিল। আমার জন্য চন্দ্রোদয় ঠিক।’

উল্লেখ্য, খুব শীঘ্রই বড় পর্দায় ৪৭ বছর পর অভিনেতা দেবের ‘প্রজাপতি’ ছবিতে একসঙ্গে ফিরছেন তারকা জুটি।

বিজনেস আওয়ার/১৪ ডিসেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: