ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিচুয়ানের অবিবাহিত নারীরাও সন্তান জন্ম দিতে পারবে!

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
  • 2

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: গত ৬০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জনসংখ্যা কমেছে এশিয়ার দেশ চীনে। বিষয়টি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন দেশটির সরকার। তাই জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে চীন।

এর অংশ হিসেবে এবার সিচুয়ান প্রদেশে ‘বিয়ে ছাড়া সন্তান জন্ম দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা’ তুলে নিয়েছে চীন। সিচুয়ানে প্রায় ৮ কোটি মানুষ বসবাস করেন। শুধু তাই নয় ওই প্রদেশে এখন যত খুশি তত সন্তান নিতে পারবেন বিবাহিত দম্পতিরা।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সিচুয়ানের স্বাস্থ্য কমিশন ঘোষণা দিয়েছে, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাদেশিক সরকারের তালিকায় যে কেউ জন্মনিবন্ধন করাতে পারবেন। আগে বিবাহিত নারী-পুরুষ সর্বোচ্চ দু’টি সন্তানের জন্মনিবন্ধন করাতে পারতেন।

সিচুয়ানের প্রাদেশিক সরকার জানিয়েছে, এ নিয়ম আগামী পাঁচ বছর বলবৎ থাকবে।

চীনের জন্ম নীতিতে অবশ্য অবিবাহিত নারীদের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। এ ব্যাপারে স্পষ্টভাবে কোনো নিষেধাজ্ঞাও নেই। তবে কোনো নারী যখন জন্মপূর্বকালীন সরকারি সেবা, মাতৃত্বকালীন ছুটির বেতনের সুবিধা নিতে যান তখন তাদের বিয়ের প্রমাণ দেখাতে হয়।

এছাড়া যেসব নারী বিয়ে ছাড়া সন্তান জন্ম দিতে চান তাদের ‘হুকোও’ নামের একটি সেবা পাওয়ার জন্য বড় অংকের জরিমানা গুণতে হয়। এই হুকোওর মাধ্যমে শিশুরা শিক্ষা ও সামাজিক সেবা পেয়ে থাকে।

আশির দশকে চীনে এক সন্তান নীতি গ্রহণ করা হয়। কেউ যদি এ নীতি ভঙ্গ করতেন তাহলে তাকে পেতে হতো কঠোর শাস্তি। মূলত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশটি। তবে পরবর্তীতে এটি ভুল প্রমাণিত হয়। আর সেই ভুল বুঝতে পেরে ২০১৬ সালে এই নীতি থেকে সরে আসে চীন।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

বিজনেস আওয়ার/৩১ জানুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সিচুয়ানের অবিবাহিত নারীরাও সন্তান জন্ম দিতে পারবে!

পোস্ট হয়েছে : ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: গত ৬০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জনসংখ্যা কমেছে এশিয়ার দেশ চীনে। বিষয়টি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন দেশটির সরকার। তাই জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে চীন।

এর অংশ হিসেবে এবার সিচুয়ান প্রদেশে ‘বিয়ে ছাড়া সন্তান জন্ম দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা’ তুলে নিয়েছে চীন। সিচুয়ানে প্রায় ৮ কোটি মানুষ বসবাস করেন। শুধু তাই নয় ওই প্রদেশে এখন যত খুশি তত সন্তান নিতে পারবেন বিবাহিত দম্পতিরা।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সিচুয়ানের স্বাস্থ্য কমিশন ঘোষণা দিয়েছে, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাদেশিক সরকারের তালিকায় যে কেউ জন্মনিবন্ধন করাতে পারবেন। আগে বিবাহিত নারী-পুরুষ সর্বোচ্চ দু’টি সন্তানের জন্মনিবন্ধন করাতে পারতেন।

সিচুয়ানের প্রাদেশিক সরকার জানিয়েছে, এ নিয়ম আগামী পাঁচ বছর বলবৎ থাকবে।

চীনের জন্ম নীতিতে অবশ্য অবিবাহিত নারীদের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। এ ব্যাপারে স্পষ্টভাবে কোনো নিষেধাজ্ঞাও নেই। তবে কোনো নারী যখন জন্মপূর্বকালীন সরকারি সেবা, মাতৃত্বকালীন ছুটির বেতনের সুবিধা নিতে যান তখন তাদের বিয়ের প্রমাণ দেখাতে হয়।

এছাড়া যেসব নারী বিয়ে ছাড়া সন্তান জন্ম দিতে চান তাদের ‘হুকোও’ নামের একটি সেবা পাওয়ার জন্য বড় অংকের জরিমানা গুণতে হয়। এই হুকোওর মাধ্যমে শিশুরা শিক্ষা ও সামাজিক সেবা পেয়ে থাকে।

আশির দশকে চীনে এক সন্তান নীতি গ্রহণ করা হয়। কেউ যদি এ নীতি ভঙ্গ করতেন তাহলে তাকে পেতে হতো কঠোর শাস্তি। মূলত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশটি। তবে পরবর্তীতে এটি ভুল প্রমাণিত হয়। আর সেই ভুল বুঝতে পেরে ২০১৬ সালে এই নীতি থেকে সরে আসে চীন।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

বিজনেস আওয়ার/৩১ জানুয়ারি, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: