ঢাকা , শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মন্দায় মূলধন কমেছে ৩ হাজার কোটি টাকা

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • 24

মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান : দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার) লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। ওই সময় লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১১১ কোটি টাকা। মোট লেনদেনের ৪৪ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। ওই কোম্পানিগুলোতে লেনদেন হয়েছে ৯২৬ কোটি টাকা।

কিন্তু গেল সপ্তায় পুঁজিবাজারে মূলধন পরিমাণ ৩ হাজার ২০১ কোটি টাকা কমেছে । সব ধরনের সূচক কমেছে। বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। এরপরও সিকিউরিটিজ হাউজগুলোতে বিক্রেতার চাপে ছিল হিড়িক। ফলে ডিএসইতে কোম্পানির শেয়ার দর উত্থান তুলনায় পতন ৫ দশমিক ৫৯ গুন বেশি।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র মতে, গত ১০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। এরপরের ৪ কার্যদিবস ডিএসইতে ২৫০ বন্ডের লেনদেন হয়। এতে ডিএসইর বাজার মূলধন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেড়ে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। এরপর গত ২৭ অক্টোবর বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ কোটি ১৫ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার ২০১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

সূত্রমতে, গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১১১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ২৪৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৩৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৬৪৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২৭টির, দর কমেছে ১৫১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯৭টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ২৫টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহে ডিএসইর সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৭ দশমিক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৪৬ দশমিক ২১ পয়েন্টে। এছাড়া শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৫ দশমিক ২৭ পয়েন্ট এবং ডিএসই৩০ সূচক ১১ দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩৬৬ দশমিক ৬২ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ২২৪ দশমিক ২০ পয়েন্টে।

এদিকে গেল সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে। যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ১৪ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও কমেছে দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে কোনো কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৫ পয়েন্ট ছাড়ালেই তা বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। সেই হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসাবে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে।

গেল সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৮০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। এছাড়া বি ক্যাটাগরির ২০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর টপটেন লেনদেনে রয়েছে। সপ্তাহটিতে মোট লেনদেনের ৪৩ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (এ ক্যাটাগরি) শেয়ারে। একাই মোট শেয়ারের ৬ দশমিক ৮১ শতাংশ লেনদেন করেছে।

এছাড়া জেনেক্স ইনফোসিস (এ ক্যাটাগরি) ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ, শাইনপুকুর সিরামিকস (বি ক্যাটাগরি) ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ (এ ক্যাটাগরি) ৪ দশমিক ৫১ শতাংশ, সোনালী পেপার (এ ক্যাটাগরি) ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ, সী পাল বিচ (এ ক্যাটাগরি) ৪ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, এপেক্স ফুটওয়্যার (এ ক্যাটাগরি) ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ, জেমিনি সী ফুড (বি ক্যাটাগরি) ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশন (এ ক্যাটাগরি) ৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ এবং আমরা নেটওয়ার্কস (এ ক্যাটাগরি) ২ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারের এ ক্যাটাগরির শেয়ার বি ও জেড ক্যাটাগরির থেকে তুলনামূলক ভালো কোম্পানি। নিয়ম অনুসারে, যেসব কোম্পানি বছর শেষে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে তার ঊর্ধ্বে লভ্যাংশ (নগদ বা বোনাস) দেয় তারাই এ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার। যেসব কোম্পানি বছর শেষে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নিচে থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ লভ্যাংশ (নগদ বা বোনাস) দেয় তারা বি-ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার। যেসব কোম্পানি বছর শেষে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নিচে থেকে শুরু জিরো লভ্যাংশ (নগদ বা বোনাস) দেয় তারাই জেড ক্যাটাগরি কোম্পানির শেয়ার। এছাড়া এন ক্যাটাগরি নতুন কোম্পানির শেয়ার। যেগুলোর পুঁজিবাজারের লেনদেন শুরু হয়েছে কিন্তু বছর পার হয়নি, সেইগুলো এন ক্যাটাগরিতে রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মন্দায় মূলধন কমেছে ৩ হাজার কোটি টাকা

পোস্ট হয়েছে : ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান : দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার) লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। ওই সময় লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১১১ কোটি টাকা। মোট লেনদেনের ৪৪ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। ওই কোম্পানিগুলোতে লেনদেন হয়েছে ৯২৬ কোটি টাকা।

কিন্তু গেল সপ্তায় পুঁজিবাজারে মূলধন পরিমাণ ৩ হাজার ২০১ কোটি টাকা কমেছে । সব ধরনের সূচক কমেছে। বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। এরপরও সিকিউরিটিজ হাউজগুলোতে বিক্রেতার চাপে ছিল হিড়িক। ফলে ডিএসইতে কোম্পানির শেয়ার দর উত্থান তুলনায় পতন ৫ দশমিক ৫৯ গুন বেশি।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র মতে, গত ১০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। এরপরের ৪ কার্যদিবস ডিএসইতে ২৫০ বন্ডের লেনদেন হয়। এতে ডিএসইর বাজার মূলধন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেড়ে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। এরপর গত ২৭ অক্টোবর বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ কোটি ১৫ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার ২০১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

সূত্রমতে, গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১১১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ২৪৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৩৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৬৪৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২৭টির, দর কমেছে ১৫১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯৭টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ২৫টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহে ডিএসইর সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৭ দশমিক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৪৬ দশমিক ২১ পয়েন্টে। এছাড়া শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৫ দশমিক ২৭ পয়েন্ট এবং ডিএসই৩০ সূচক ১১ দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩৬৬ দশমিক ৬২ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ২২৪ দশমিক ২০ পয়েন্টে।

এদিকে গেল সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে। যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ১৪ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও কমেছে দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে কোনো কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৫ পয়েন্ট ছাড়ালেই তা বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। সেই হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসাবে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে।

গেল সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৮০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। এছাড়া বি ক্যাটাগরির ২০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর টপটেন লেনদেনে রয়েছে। সপ্তাহটিতে মোট লেনদেনের ৪৩ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (এ ক্যাটাগরি) শেয়ারে। একাই মোট শেয়ারের ৬ দশমিক ৮১ শতাংশ লেনদেন করেছে।

এছাড়া জেনেক্স ইনফোসিস (এ ক্যাটাগরি) ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ, শাইনপুকুর সিরামিকস (বি ক্যাটাগরি) ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ (এ ক্যাটাগরি) ৪ দশমিক ৫১ শতাংশ, সোনালী পেপার (এ ক্যাটাগরি) ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ, সী পাল বিচ (এ ক্যাটাগরি) ৪ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, এপেক্স ফুটওয়্যার (এ ক্যাটাগরি) ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ, জেমিনি সী ফুড (বি ক্যাটাগরি) ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশন (এ ক্যাটাগরি) ৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ এবং আমরা নেটওয়ার্কস (এ ক্যাটাগরি) ২ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারের এ ক্যাটাগরির শেয়ার বি ও জেড ক্যাটাগরির থেকে তুলনামূলক ভালো কোম্পানি। নিয়ম অনুসারে, যেসব কোম্পানি বছর শেষে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে তার ঊর্ধ্বে লভ্যাংশ (নগদ বা বোনাস) দেয় তারাই এ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার। যেসব কোম্পানি বছর শেষে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নিচে থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ লভ্যাংশ (নগদ বা বোনাস) দেয় তারা বি-ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার। যেসব কোম্পানি বছর শেষে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নিচে থেকে শুরু জিরো লভ্যাংশ (নগদ বা বোনাস) দেয় তারাই জেড ক্যাটাগরি কোম্পানির শেয়ার। এছাড়া এন ক্যাটাগরি নতুন কোম্পানির শেয়ার। যেগুলোর পুঁজিবাজারের লেনদেন শুরু হয়েছে কিন্তু বছর পার হয়নি, সেইগুলো এন ক্যাটাগরিতে রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: