ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাদা বলে তাইজুলের সামনে ‘সুবর্ণ সুযোগ’

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • 3

ক্রীড়া ডেস্ক: মিরপুর শের-ই-বাংলার একাডেমি মাঠে স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথের অধীনে চলছে স্পিন ক্যাম্প। এক প্রান্তে স্পিনার তাইজুল ইসলাম প্রস্তুত হচ্ছিলেন ব্যাটিংয়ের জন্য। তিনি যখন প্যাড পরায় নিমগ্ন, তখন বিসিবি অপারেশন্সের কর্তা ও সাবেক ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিস টিপস দিচ্ছিলেন ব্যাটিংয়ের। মিনিট খানেকের এই সেশনের পর তাইজুল চলে যান ইনডোরে, সেখানে জেমি সিডন্সের অধীনে চলে ব্যাটিং ক্লাস।

৯ বছরে ১২ ম্যাচ খেলা বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছেন। কয়েক বছর ধরে নিয়মিত মুখ নাসুম আহমেদের পরিবর্তে তাইজুলের সুযোগ পাওয়া নিয়ে নানা আলোচনা চলছে এখনো। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানিয়েছেন, স্পিন কোচের প্রস্তাবেই এমন সিদ্ধান্ত।

রোববার স্পিন ক্যাম্প শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন রঙ্গনা হেরাথ। স্পিন ক্যাম্প নিয়ে আলোচনার পরিবর্তে মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায় তাইজুলের সুযোগ পাওয়া নিয়ে। আরো স্পষ্ট করে বললে, গণমাধ্যমকর্মীরা বোঝার চেষ্টা করছিলেন কার ইঙ্গিতে তাইজুল সুযোগ পেয়েছেন সাদা বলের দলে।

দল নির্বাচন নিয়ে পূর্ণ স্বাধীনতা নির্বাচক প্যানেলেরই। তবে গুরুত্বপূর্ণ মতামত থাকে কোচদেরও। মূলত সেটাই করেছেন হেরাথ। নাসুম-তাইজুলের ক্ষেত্রে তার কাছে জানতে চেয়েছিলেন নির্বাচকরা। হেরাথের পাল্লা ভারী ছিল তাইজুলের দিকেই। সেটিই বিবেচনা নিয়ে দলে ডাক পেয়েছেন তাইজুল।

হেরাথ বলেন, ‘হ্যাঁ আমি সবসময় তাইজুলকে অগ্রাধিকার দেই। সে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ভালো করেছে। তো আমি ওয়ানডেতেও তাইজুলের মধ্যে অনেক প্রতিভা দেখতে পাই।’ তবে হেরাথ স্পষ্ট করেছেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মূলত নির্বাচকদেরই। তিনি শুধু তার মতামত দিয়েছেন, ‘বিসিবি বা নির্বাচকদের মধ্যে থেকে কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি অবশ্যই স্পিনারদের পারফরম্যান্স, বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানাবো।’

‘সবকিছু আসলে পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। সাকিব থাকলে আরো দুজন বাঁহাতি স্পিনারের প্রয়োজন নেই। মিরাজও আছে। তো নির্বাচকদের হয়তো তাইজুল বা নাসুমকে নিতে হবে। দুজনের পারফরম্যান্সও এক। তাই আমার মতে নির্বাচকরা সেরাকেই বেছে নিয়েছে।’- আরো যোগ করেন হেরাথ।

২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে আলো ছড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন তাইজুল। লাল বলের নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠা এই স্পিনার সাদা বলে ওই ম্যাচের পর ভালো করতে পারেননি। স্বাভাবিকভাবে সুযোগ হারান। হয়ে পড়েন অনিয়মিত। সবশেষ খেলা দুই সিরিজে অবশ্য তাইজুল নিজের নামের সুবিচার করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ৫ উইকেট নেওয়ার পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ ম্যাচে নেন ৩ উইকেট।

১২ ওয়ানডেতে ২০ উইকেট নেওয়া তাইজুলের মধ্যে এখনো দুর্বার সম্ভাবনা দেখছেন হেরাথ। সেই সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে স্পিনারের সামনে সাদা বলের ক্যারিয়ারকে রাঙানোর সুবর্ণ সুযোগ।

বিজনেস আওয়ার/১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩/এস এম

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সাদা বলে তাইজুলের সামনে ‘সুবর্ণ সুযোগ’

পোস্ট হয়েছে : ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ক্রীড়া ডেস্ক: মিরপুর শের-ই-বাংলার একাডেমি মাঠে স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথের অধীনে চলছে স্পিন ক্যাম্প। এক প্রান্তে স্পিনার তাইজুল ইসলাম প্রস্তুত হচ্ছিলেন ব্যাটিংয়ের জন্য। তিনি যখন প্যাড পরায় নিমগ্ন, তখন বিসিবি অপারেশন্সের কর্তা ও সাবেক ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিস টিপস দিচ্ছিলেন ব্যাটিংয়ের। মিনিট খানেকের এই সেশনের পর তাইজুল চলে যান ইনডোরে, সেখানে জেমি সিডন্সের অধীনে চলে ব্যাটিং ক্লাস।

৯ বছরে ১২ ম্যাচ খেলা বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছেন। কয়েক বছর ধরে নিয়মিত মুখ নাসুম আহমেদের পরিবর্তে তাইজুলের সুযোগ পাওয়া নিয়ে নানা আলোচনা চলছে এখনো। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানিয়েছেন, স্পিন কোচের প্রস্তাবেই এমন সিদ্ধান্ত।

রোববার স্পিন ক্যাম্প শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন রঙ্গনা হেরাথ। স্পিন ক্যাম্প নিয়ে আলোচনার পরিবর্তে মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায় তাইজুলের সুযোগ পাওয়া নিয়ে। আরো স্পষ্ট করে বললে, গণমাধ্যমকর্মীরা বোঝার চেষ্টা করছিলেন কার ইঙ্গিতে তাইজুল সুযোগ পেয়েছেন সাদা বলের দলে।

দল নির্বাচন নিয়ে পূর্ণ স্বাধীনতা নির্বাচক প্যানেলেরই। তবে গুরুত্বপূর্ণ মতামত থাকে কোচদেরও। মূলত সেটাই করেছেন হেরাথ। নাসুম-তাইজুলের ক্ষেত্রে তার কাছে জানতে চেয়েছিলেন নির্বাচকরা। হেরাথের পাল্লা ভারী ছিল তাইজুলের দিকেই। সেটিই বিবেচনা নিয়ে দলে ডাক পেয়েছেন তাইজুল।

হেরাথ বলেন, ‘হ্যাঁ আমি সবসময় তাইজুলকে অগ্রাধিকার দেই। সে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ভালো করেছে। তো আমি ওয়ানডেতেও তাইজুলের মধ্যে অনেক প্রতিভা দেখতে পাই।’ তবে হেরাথ স্পষ্ট করেছেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মূলত নির্বাচকদেরই। তিনি শুধু তার মতামত দিয়েছেন, ‘বিসিবি বা নির্বাচকদের মধ্যে থেকে কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি অবশ্যই স্পিনারদের পারফরম্যান্স, বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানাবো।’

‘সবকিছু আসলে পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। সাকিব থাকলে আরো দুজন বাঁহাতি স্পিনারের প্রয়োজন নেই। মিরাজও আছে। তো নির্বাচকদের হয়তো তাইজুল বা নাসুমকে নিতে হবে। দুজনের পারফরম্যান্সও এক। তাই আমার মতে নির্বাচকরা সেরাকেই বেছে নিয়েছে।’- আরো যোগ করেন হেরাথ।

২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে আলো ছড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন তাইজুল। লাল বলের নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠা এই স্পিনার সাদা বলে ওই ম্যাচের পর ভালো করতে পারেননি। স্বাভাবিকভাবে সুযোগ হারান। হয়ে পড়েন অনিয়মিত। সবশেষ খেলা দুই সিরিজে অবশ্য তাইজুল নিজের নামের সুবিচার করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ৫ উইকেট নেওয়ার পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ ম্যাচে নেন ৩ উইকেট।

১২ ওয়ানডেতে ২০ উইকেট নেওয়া তাইজুলের মধ্যে এখনো দুর্বার সম্ভাবনা দেখছেন হেরাথ। সেই সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে স্পিনারের সামনে সাদা বলের ক্যারিয়ারকে রাঙানোর সুবর্ণ সুযোগ।

বিজনেস আওয়ার/১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩/এস এম

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: