ঢাকা , শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয়করণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির স্মারকলিপি প্রদান

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
  • 7

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণও শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি। পরে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি দেন। একইসাথে আগামী ২০ মার্চ সকালে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মহাসমাবেশের ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (১৩ মার্চ) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতারা এ মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি কর্মসূচি পালন করেন।

সমাবেশে সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক মাত্র ২৫% উৎসব ভাতা, ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে দেওয়া হয়। এছাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল না দেওয়ায় উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান হওয়ায় সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।

সমাবেশে শিক্ষক নেতারা বলেন, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষক/কর্মচারীরা টাকা পাওয়ার পূর্বেই অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছেন। এছাড়া কয়েক বছর ধরে কোনো প্রকার সুবিধা না দিয়েই অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন করা হয় যা অত্যন্ত অমানবিক। তাই অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলসহ অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট অফিস ঘেরাও করতে বাধ্য হয়েছিলাম আমরা। কিন্তু অদ্যাবধি কোনো প্রতিকার পাইনি।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদের সঞ্চালনায় এবং সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য বাবু রঞ্জিত কুমার সাহা, দাশগুপ্ত আশিষ কুমার, সহ-সভাপতি আলী আসগর হাওলাদার ও বেগম নূরুন্নাহার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু জামিল মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, অর্থ সম্পাদক মোস্তফা জামান খান, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহানা বেগম, অধ্যক্ষ মো. ফজলুল হক সহ অনেকে।

বিজনেস আওয়ার/১৩ মার্চ, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

জাতীয়করণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির স্মারকলিপি প্রদান

পোস্ট হয়েছে : ০১:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণও শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি। পরে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি দেন। একইসাথে আগামী ২০ মার্চ সকালে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মহাসমাবেশের ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (১৩ মার্চ) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতারা এ মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি কর্মসূচি পালন করেন।

সমাবেশে সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক মাত্র ২৫% উৎসব ভাতা, ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে দেওয়া হয়। এছাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল না দেওয়ায় উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান হওয়ায় সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।

সমাবেশে শিক্ষক নেতারা বলেন, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষক/কর্মচারীরা টাকা পাওয়ার পূর্বেই অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছেন। এছাড়া কয়েক বছর ধরে কোনো প্রকার সুবিধা না দিয়েই অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন করা হয় যা অত্যন্ত অমানবিক। তাই অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলসহ অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট অফিস ঘেরাও করতে বাধ্য হয়েছিলাম আমরা। কিন্তু অদ্যাবধি কোনো প্রতিকার পাইনি।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদের সঞ্চালনায় এবং সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য বাবু রঞ্জিত কুমার সাহা, দাশগুপ্ত আশিষ কুমার, সহ-সভাপতি আলী আসগর হাওলাদার ও বেগম নূরুন্নাহার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু জামিল মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, অর্থ সম্পাদক মোস্তফা জামান খান, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহানা বেগম, অধ্যক্ষ মো. ফজলুল হক সহ অনেকে।

বিজনেস আওয়ার/১৩ মার্চ, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: