ঢাকা , রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজানে মাসের নয় সপ্তাহের বাজার করুন

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩
  • 0

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আসন্ন পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা ফায়দা লুটার চেষ্টা করতে পারে। তাই একবারে পুরো মাসের বাজার না করে প্রয়োজনে এক সপ্তাহের বাজার করার অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিশেষ তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এই অনুরোধ করেন।

ভোক্তাদের উদ্দেশে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, সামনে রোজা, দয়া করে আপনারা এক মাসের বাজার একসঙ্গে কিনতে যাবেন না। আপনারা ১০ দিনের বা এক সপ্তাহের বাজার করেন। হঠাৎ বেশি পণ্য কিনলে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়। তখন কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা ফায়দা লুটার চেষ্টা করে। এ কারণে অনুরোধ করবো, আপনারা একসঙ্গে পুরো মাসের বাজার করবেন না।

আরও বলেন, রোজার আগের দিন আপনারা বেগুন কিনতে যাবেন না। আমরা যদি এক সঙ্গে অনেক মানুষ বেগুন কিনতে চান, তাহলে উৎপাদন-সরবরাহের থেকে চাহিদা বেড়ে যাবে। আর চাহিদা বেড়ে গেলে ব্যবসায়ীরা মুনাফা লাভের চেষ্টা করেন। তাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অনুরোধ করছি, আপনারা দেখে, শুনে, বুঝে পণ্য কিনুন। পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখুন।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছে জানিয়ে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, আমরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিত্যপণ্যের বাজার, বিশেষ করে রমজান কেন্দ্রিক পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ ঠিক আছে কিনা তা দেশব্যাপী যাচাই করছি। আজকে কারওয়ান বাজারের মুদি ও মুরগির বাজার তদারকি করা হয়েছে। তদারকিতে দেখা গেছে, রমজান কেন্দ্রিক যেসব পণ্য রয়েছে, যেমন ছোলা, চালের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়েনি। আরও বলেন, চিনির বিষয়ে কয়েকজন দোকানদার অভিযোগ করেছেন। দুই একটি কোম্পানি চিনির সঙ্গে অন্য পণ্য ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এটি ঠিক নয়। আমরা এ বিষয়ে সেসব কোম্পানির সঙ্গে আজকেই কথা বলবো।

এবার এফবিসিসিআই থেকে শুরু করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সবাই সমন্বিত হয়ে কাজ করছি জানিয়ে আরও বলেন, আমরা সবাইকে অনুরোধ করেছি, যার যার অবস্থান থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করার। পাশাপাশি কোনো বাজারে বা কোনো মার্কেটে আমরা যদি কোনো রকম অনিয়ম পাই, তাহলে ওই মার্কেটের বা বাজারের ব্যবসায়ী সমিতিকে ধরা হবে। কারণ ব্যবসায়ী সমিতিগুলোর দায়বদ্ধতা রয়েছে। ইতোমধ্যে একটি বাজারে অনিয়ম পাওয়ার পর আমরা সেই বাজারের ব্যবসায়ী সমিতিকে শোকজ দিয়েছি। তারা আর অনিয়ম হবে না মর্মে মুচলেকা দিয়েছে।

সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করলে রমজানে কষ্ট হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, আমাদের সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই। মূল্যে কেউ কারসাজি করলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। উপস্থিত ছিলেনজাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান আব্দুল জব্বার মণ্ডলসহ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ।

এর আগে কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের চাল, ফল ও মুরগির দোকানে তদারকি করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্তারা। এ সময় চেরি ফলের নামে রং দেওয়া করমচা বিক্রি, প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন তারিখ, মেয়াদ, মূল্য ও প্রস্তুতকারকের নাম না থাকায় এবং কাসুন্দির বোতলে উৎপাদনকারীর নাম না থাকায় আল্লার দান ফল বিতান নামে একটি দোকানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন তারা।

বিজনেস আওয়ার/১৭ মার্চ, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রমজানে মাসের নয় সপ্তাহের বাজার করুন

পোস্ট হয়েছে : ০৩:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আসন্ন পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা ফায়দা লুটার চেষ্টা করতে পারে। তাই একবারে পুরো মাসের বাজার না করে প্রয়োজনে এক সপ্তাহের বাজার করার অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিশেষ তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এই অনুরোধ করেন।

ভোক্তাদের উদ্দেশে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, সামনে রোজা, দয়া করে আপনারা এক মাসের বাজার একসঙ্গে কিনতে যাবেন না। আপনারা ১০ দিনের বা এক সপ্তাহের বাজার করেন। হঠাৎ বেশি পণ্য কিনলে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়। তখন কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা ফায়দা লুটার চেষ্টা করে। এ কারণে অনুরোধ করবো, আপনারা একসঙ্গে পুরো মাসের বাজার করবেন না।

আরও বলেন, রোজার আগের দিন আপনারা বেগুন কিনতে যাবেন না। আমরা যদি এক সঙ্গে অনেক মানুষ বেগুন কিনতে চান, তাহলে উৎপাদন-সরবরাহের থেকে চাহিদা বেড়ে যাবে। আর চাহিদা বেড়ে গেলে ব্যবসায়ীরা মুনাফা লাভের চেষ্টা করেন। তাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অনুরোধ করছি, আপনারা দেখে, শুনে, বুঝে পণ্য কিনুন। পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখুন।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছে জানিয়ে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, আমরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিত্যপণ্যের বাজার, বিশেষ করে রমজান কেন্দ্রিক পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ ঠিক আছে কিনা তা দেশব্যাপী যাচাই করছি। আজকে কারওয়ান বাজারের মুদি ও মুরগির বাজার তদারকি করা হয়েছে। তদারকিতে দেখা গেছে, রমজান কেন্দ্রিক যেসব পণ্য রয়েছে, যেমন ছোলা, চালের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়েনি। আরও বলেন, চিনির বিষয়ে কয়েকজন দোকানদার অভিযোগ করেছেন। দুই একটি কোম্পানি চিনির সঙ্গে অন্য পণ্য ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এটি ঠিক নয়। আমরা এ বিষয়ে সেসব কোম্পানির সঙ্গে আজকেই কথা বলবো।

এবার এফবিসিসিআই থেকে শুরু করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সবাই সমন্বিত হয়ে কাজ করছি জানিয়ে আরও বলেন, আমরা সবাইকে অনুরোধ করেছি, যার যার অবস্থান থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করার। পাশাপাশি কোনো বাজারে বা কোনো মার্কেটে আমরা যদি কোনো রকম অনিয়ম পাই, তাহলে ওই মার্কেটের বা বাজারের ব্যবসায়ী সমিতিকে ধরা হবে। কারণ ব্যবসায়ী সমিতিগুলোর দায়বদ্ধতা রয়েছে। ইতোমধ্যে একটি বাজারে অনিয়ম পাওয়ার পর আমরা সেই বাজারের ব্যবসায়ী সমিতিকে শোকজ দিয়েছি। তারা আর অনিয়ম হবে না মর্মে মুচলেকা দিয়েছে।

সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করলে রমজানে কষ্ট হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, আমাদের সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই। মূল্যে কেউ কারসাজি করলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। উপস্থিত ছিলেনজাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান আব্দুল জব্বার মণ্ডলসহ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ।

এর আগে কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের চাল, ফল ও মুরগির দোকানে তদারকি করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্তারা। এ সময় চেরি ফলের নামে রং দেওয়া করমচা বিক্রি, প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন তারিখ, মেয়াদ, মূল্য ও প্রস্তুতকারকের নাম না থাকায় এবং কাসুন্দির বোতলে উৎপাদনকারীর নাম না থাকায় আল্লার দান ফল বিতান নামে একটি দোকানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন তারা।

বিজনেস আওয়ার/১৭ মার্চ, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: