1. [email protected] : Anissuzzaman : Anissuzzaman
  2. [email protected] : anjuman : anjuman
  3. [email protected] : Admin : Admin
  4. [email protected] : mujahid : mujahid
  5. [email protected] : Nayan Babu : Nayan Babu
  6. [email protected] : Rajowan : Rajowan
আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স হলেন আমিরাতের প্রেসিডেন্টের ছেলে
সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন

আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স হলেন আমিরাতের প্রেসিডেন্টের ছেলে

  • পোস্ট হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩
print sharing button

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান তার বড় ছেলে শেখ খালেদ বিন মোহাম্মদ আল নাহিয়ানকে দেশটির রাজধানী আবুধাবির যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) ঘোষণা করেছেন।

বুধবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, যুবরাজ নিয়োগের পাশাপাশি আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিজের ভাই শেখ মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নাম ঘোষণা করেছেন তিনি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের অন্যতম শীর্ষ এই পদটির মর্যাদা দুবাইয়ের শাসকের সমতুল্য। কারণ এতদিন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম।

এর বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং আবুধাবির উপ শাসক (ডেপুটি রুলার) পদেও নিজের অপর দুই ভাইয়ের নাম ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট। এরা হলেন যথাক্রমে তাহনুন বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং হাজ্জা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।

তাহনুন বিন জায়েদ আল নাহিয়ান সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন শীর্ষ ব্যবসায়ী। দেশটির বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণও এতদিন তার হাতে ছিল।

বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ব সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছে এসব তথ্য।

মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত মূলত আরব উপদ্বীপের দক্ষিণপূর্ব কোণে অবস্থিতি ৭টি ছোটো ছোটো স্বাধীন রাষ্ট্রের একটি সংঘরাষ্ট্র (কনফেডারেশন)। ‘আমিরাত’ বলে পরিচিতি পাওয়া এই রাষ্ট্রগুলো একসময় চুক্তিবদ্ধ রাষ্ট্র বা ট্রুশিয়াল স্টেটস নামে পরিচিত ছিল। ৭টি আমিরাতের নাম হলো— আবুধাবি, আজমান, দুবাই, আল ফুজাইরাহ, রা’স আল খাইমাহ, শারজাহ এবং উম্ম আল ক্বাইওয়াইন।

১৯৭১ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতালাভের পর এই ৭ রাষ্ট্রের শাসকরা সংযুক্ত আরব আমিরাত নামের কনফেডারেশন গঠন করেন। এই কনফেডারেশেনের রাজধানী আবুধাবি এবং দুবাই দেশটির বৃহত্তম শহর।

গত শতকের পঞ্চাশের দশকে পেট্রোলিয়াম আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাত মূলত ব্রিটিশ সরকারের অধীন কতগুলি অনুন্নত এলাকার সমষ্টি ছিল। খনিজ তেল শিল্পের বিকাশের সাথে সাথে এগুলির দ্রুত উন্নতি ও আধুনিকায়ন ঘটে, ফলে সত্তরের দশকের শুরুর দিকেই আমিরাতগুলো ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে আসতে সক্ষম হয়। দেশটির খনিজ তেলের অধিকাংশই পাওয়া যায় আবুধাবির খনিগুলোতে, ফলে এটি সাতটি আমিরাতের মধ্যে সবচেয়ে ধনী ও শক্তিশালী।

আর তার ভিত্তিতেই স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত আবুধাবির শাসক সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানও আবুধাবির শাসক এবং বর্তমানে দেশটির ডি ফ্যাক্টো নেতা। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তিনি এমবিজেড নামেও পরিচিত।

প্রেসিডেন্টের বড় ছেলে শেখ খালেদ নিজে একজন ব্যবসায়ী। পাশাপাশি, ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের অন্যতম শীর্ষ দল ম্যানচেস্টার সিটির মালিকও তিনি। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ভবিষ্যতে শেখ খালেদকে দেশের শীর্ষ পদে আনতে চান শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। এ কারণেই ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করা হয়েছে তাকে।

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের আয়তন মাত্র ৮৩ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমটির, লোকসংখ্যা ১ কোটিরও কম। কিন্তু মাথাপিছু আয়ের হিসেবে একদিকে যেমন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর কাতারে আছে আমিরাত, তেমনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যাওয়া লাখ লাখ অভিবাসীর ঠিকানাও এই দেশটি।

সম্প্রতি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে দেশটি। ২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু এবং ইরানের সঙ্গে পুরনো বিবাদ মিটিয়ে ফেলেছে আমিরাত। রাশিয়া ও চীনের সঙ্গেও সম্পর্ক দৃঢ় করতেও উদ্যোগী হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/৩০ মার্চ, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের আরো সংবাদ