ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গরমিল করে মুরগির দাম বাড়াচ্ছে

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩
  • 4

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ক্রয় রশিদের গরমিলে বাড়ানো হচ্ছে মুরগির দাম হচ্ছে জানিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, রাতে বাজারে যে মুরগিটা আসে, সেটির ক্রয় রশিদে আমরা কিছু অনিয়ম পেয়েছি। শুক্রবার কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিকারের পরিদর্শন শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

দামের গলমিল থাকলে আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, অচিরেই রাতের বেলাতে বাজার তদারকির জন্য ভোক্তা অধিকার থেকে টিম কাজ করবে। ব্যবসায়ীদের জন্য সতর্কবাণী থাকবে। মুরগির ক্রয়মূল্য এবং বিক্রয়মূল্যের মাঝে যদি বেশি গরমিল থাকলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

আরও বলেন, ভোক্তারা দুই ধরনের পণ্য কিনে থাকেন। মুদিপণ্য ও কাঁচা সবজি। মুদি পণ্যের ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। তেলের দাম কমতির দিকে রয়েছে। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছিলেন, মুরগির দাম ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা পড়বে। তাহলে খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২১০ টাকা দাম পড়তে পারে। কিন্তু আজ বাজারে দেখলাম কোনো ব্যবসায়ী মুরগির কেজি ২১৫ টাকায় বিক্রি করছেন। তাদের রশিদে ক্রয়মূল্য দেখানো হয়েছে ১৯২ থেকে ১৯৩ টাকা।

খামারিরা যে ক্ষতিমুখে না পড়ে মন্তব্য করে তিনি বলেন, একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, মুরগির দাম খুব বেশি কমলে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বর্তমানে খামারে মুরগির উৎপাদন খরচ ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকার মধ্যে। আমরা চাই উৎপাদন যেন ব্যাহত না হয়। আরও বলেন, আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে বাস মালিক ও কসমেটিকস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমাদের মিটিং রয়েছে। কসেমটিকস পণ্যের দাম যদি বেশি রাখা হয় তাহলে সে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর বাস মালিকদের প্রতি নির্দেশনা থাকবে ঈদযাত্রায় সঠিক ভাড়া যেন তারা নিশ্চিত করেন।

বিজনেস আওয়ার/৩১ মার্চ, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

গরমিল করে মুরগির দাম বাড়াচ্ছে

পোস্ট হয়েছে : ১২:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ক্রয় রশিদের গরমিলে বাড়ানো হচ্ছে মুরগির দাম হচ্ছে জানিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, রাতে বাজারে যে মুরগিটা আসে, সেটির ক্রয় রশিদে আমরা কিছু অনিয়ম পেয়েছি। শুক্রবার কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিকারের পরিদর্শন শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

দামের গলমিল থাকলে আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, অচিরেই রাতের বেলাতে বাজার তদারকির জন্য ভোক্তা অধিকার থেকে টিম কাজ করবে। ব্যবসায়ীদের জন্য সতর্কবাণী থাকবে। মুরগির ক্রয়মূল্য এবং বিক্রয়মূল্যের মাঝে যদি বেশি গরমিল থাকলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

আরও বলেন, ভোক্তারা দুই ধরনের পণ্য কিনে থাকেন। মুদিপণ্য ও কাঁচা সবজি। মুদি পণ্যের ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। তেলের দাম কমতির দিকে রয়েছে। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছিলেন, মুরগির দাম ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা পড়বে। তাহলে খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২১০ টাকা দাম পড়তে পারে। কিন্তু আজ বাজারে দেখলাম কোনো ব্যবসায়ী মুরগির কেজি ২১৫ টাকায় বিক্রি করছেন। তাদের রশিদে ক্রয়মূল্য দেখানো হয়েছে ১৯২ থেকে ১৯৩ টাকা।

খামারিরা যে ক্ষতিমুখে না পড়ে মন্তব্য করে তিনি বলেন, একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, মুরগির দাম খুব বেশি কমলে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বর্তমানে খামারে মুরগির উৎপাদন খরচ ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকার মধ্যে। আমরা চাই উৎপাদন যেন ব্যাহত না হয়। আরও বলেন, আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে বাস মালিক ও কসমেটিকস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমাদের মিটিং রয়েছে। কসেমটিকস পণ্যের দাম যদি বেশি রাখা হয় তাহলে সে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর বাস মালিকদের প্রতি নির্দেশনা থাকবে ঈদযাত্রায় সঠিক ভাড়া যেন তারা নিশ্চিত করেন।

বিজনেস আওয়ার/৩১ মার্চ, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: