ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেক্সিকোর চেতুমাল উপসাগরে নীল ডুবো গুহার সন্ধান

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩
  • 0

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: মেক্সিকোর ইউকাটান দ্বীপের উপকূলে বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম ব্লু হোল আবিষ্কৃত হয়েছে। এই ব্লু হোল চেতুমাল উপসাগরে অবস্থিত।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির তথ্য অনুসারে, দানব আকৃতির এই ডুবো গুহা প্রায় ৯০০ ফুট গভীর। এর ক্ষেত্রফল ১৪৭,০০০ বর্গফুট। বিশাল এই নীলকান্তমণি সিঙ্কহোলটি মূলত ২০২১ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল তবে সম্প্রতি এটি বৈজ্ঞানিক জার্নাল ফ্রন্টিয়ার্স ইন মেরিন সায়েন্সে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

সমুদ্র তলদেশের এই ডুবো গুহাগুলো চুনাপাথরে পরিপূর্ণ। পতিত গাছ এবং পাতা থেকে মৃত ব্যাকটেরিয়া জমা হওয়ার কারণে, এর অভ্যন্তরীণ অংশ দেখতে কালো এবং আলোহীন। উপর থেকে দেখে মনে হয় এগুলো জলাভূমি ছাড়া আর কিছুই নয়, তবে নীচে যা রয়েছে তা অবিশ্বাস্য!

মায়া ভাষায় এর নাম ‘তাম জা’ যার অর্থ ‘গভীর জল’। এই নীল গুহাগুলোতে সামান্য অক্সিজেন থাকে, সূর্যের আলো কেবল এর পৃষ্ঠকে স্পর্শ করে। এমন অবস্থাতেও এই বিশাল গুহাগুলো সমুদ্রের সাথে মিশে কম অক্সিজেন যুক্ত পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে।

সমীক্ষা অনুসারে, দক্ষিণ চীন সাগরের ড্রাগন হোল বিশ্বের গভীরতম ব্লু হোল যা প্রায় ৯৮০ ফুট নিচে প্রসারিত বলে ধারণা করা হয়। নীল গুহার এই দেয়াল জোয়ার থেকে সমুদ্রের পানিকে রক্ষা করে।

বিজনেস আওয়ার/২৬এপ্রিল, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মেক্সিকোর চেতুমাল উপসাগরে নীল ডুবো গুহার সন্ধান

পোস্ট হয়েছে : ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: মেক্সিকোর ইউকাটান দ্বীপের উপকূলে বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম ব্লু হোল আবিষ্কৃত হয়েছে। এই ব্লু হোল চেতুমাল উপসাগরে অবস্থিত।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির তথ্য অনুসারে, দানব আকৃতির এই ডুবো গুহা প্রায় ৯০০ ফুট গভীর। এর ক্ষেত্রফল ১৪৭,০০০ বর্গফুট। বিশাল এই নীলকান্তমণি সিঙ্কহোলটি মূলত ২০২১ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল তবে সম্প্রতি এটি বৈজ্ঞানিক জার্নাল ফ্রন্টিয়ার্স ইন মেরিন সায়েন্সে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

সমুদ্র তলদেশের এই ডুবো গুহাগুলো চুনাপাথরে পরিপূর্ণ। পতিত গাছ এবং পাতা থেকে মৃত ব্যাকটেরিয়া জমা হওয়ার কারণে, এর অভ্যন্তরীণ অংশ দেখতে কালো এবং আলোহীন। উপর থেকে দেখে মনে হয় এগুলো জলাভূমি ছাড়া আর কিছুই নয়, তবে নীচে যা রয়েছে তা অবিশ্বাস্য!

মায়া ভাষায় এর নাম ‘তাম জা’ যার অর্থ ‘গভীর জল’। এই নীল গুহাগুলোতে সামান্য অক্সিজেন থাকে, সূর্যের আলো কেবল এর পৃষ্ঠকে স্পর্শ করে। এমন অবস্থাতেও এই বিশাল গুহাগুলো সমুদ্রের সাথে মিশে কম অক্সিজেন যুক্ত পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে।

সমীক্ষা অনুসারে, দক্ষিণ চীন সাগরের ড্রাগন হোল বিশ্বের গভীরতম ব্লু হোল যা প্রায় ৯৮০ ফুট নিচে প্রসারিত বলে ধারণা করা হয়। নীল গুহার এই দেয়াল জোয়ার থেকে সমুদ্রের পানিকে রক্ষা করে।

বিজনেস আওয়ার/২৬এপ্রিল, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: