ঢাকা , বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অভিমানে ফুটবল থেকে আচমকা অবসরের ঘোষণা সাফজয়ী স্বপ্নার

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
  • 2

স্পোর্টস ডেস্ক: ২২ বছর বয়সী এ নারী ফুটবলারের হতাশা, অভিমান আর অবসাদের কারণও আছে বৈকি? গেল বছর নেপালের মাটিতে স্বাগতিকদের হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসর সাফ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সেই সাফজয়ী দলের অন্যতম সদস্য সিরাত জাহান স্বপ্না। জাতীয় দলের এই ফরোয়ার্ড গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বাফুফের ক্যাম্প ত্যাগ করে নিজ জেলা রংপুরে চলে গেছেন। জাতীয় দলের তার সতীর্থরা ক্যাম্পে থাকলেও অবসাদ ও অভিমানে তিনি ক্যাম্প ত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।

স্বপ্নার অবসাদের কারণ এই ফুটবলই। গত সেপ্টেম্বরে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসার পর নারী ফুটবলাররা এখনো কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি। দুই দফা প্রীতি ম্যাচের আয়োজনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বাফুফে। মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাইয়ে খেলতে পাঠায়নি। অনেকের দেশের বাইরে খেলার প্রস্তাব ছিল। নারী ফ্রাঞ্চাইজ লিগের জন্য সেই প্রস্তাবও সাড়া দিতে পারেননি। নারী ফ্রাঞ্চাইজ লিগ কবে হবে এ নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। সব কিছু মিলিয়ে স্বপ্না হতাশ ছিল বলে জানা গেছে।

অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্বপ্না বলেন, “আমি নিজ ইচ্ছায় পেশাদার ফুটবল থেকে বিদায় নিলাম। প্রায় আট বছর পেশাদার ফুটবল খেলার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। ফুটবল ক্যারিয়ারে আসার পর আমি অনেক কিছু পেয়েছি।”

এ নারী স্ট্রাইকার আরও বলেন, “সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই মহান আল্লাহতায়ালার প্রতি। খেলার সুবাদে অনেকের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে। তাই জেনে বা না জেনে যদি কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকি দয়া করে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।”

তবে স্বপ্নার ফুটবল ছাড়ার বিষয়টি জানা নেই কোচিং স্টাফ এবং বাফুফের কারো। জাতীয় দলের হেড কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন এবং সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু দুইজনই স্বপ্নার ক্যাম্প ত্যাগের বিষয়ে বলেন, ‘স্বপ্নার কিছু দিন যাবত খারাপ লাগছিল। বাড়ি যেতে চেয়েছে সে তাই আমরা তাকে ৪-৫ দিন বাড়িতে কাটিয়ে আবার ক্যাম্পে ফিরতে বলেছি’। তবে এই বিষয়ে স্বপ্নার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

স্বপ্নার অবসাদের কারণ এই ফুটবলই। গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসার পর নারী ফুটবলাররা এখনো কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি। দুই দফা প্রীতি ম্যাচের আয়োজনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বাফুফে। মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাইয়ে খেলতে পাঠায়নি। অনেকের দেশের বাইরে খেলার প্রস্তাব ছিল। নারী ফ্রাঞ্চাইজ লিগের জন্য সেই প্রস্তাবও সাড়া দিতে পারেননি। নারী ফ্রাঞ্চাইজ লিগ কবে হবে এ নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। সব কিছু মিলিয়ে স্বপ্না হতাশ ছিল বলে জানা গেছে।

এর আগে সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের দুই সদস্য ফুটবল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা অবশ্য বাফুফের ক্যাম্প থেকে বাদ পড়েছিলেন পারফরম্যান্সের জন্য। জাতীয় দলের ক্যাম্পে না থাকতে পারলে তাদের আর ফুটবলে কিছু করার সুযোগ নেই এই ভেবে তারা অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

তবে স্বপ্নার বিষয়টি ভিন্ন। তিনি ক্যাম্পে থেকেও খেলার সুযোগ না পাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে এমনটি ভাবছেন। বিভিন্ন সূত্রের খবর, স্বপ্নার মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের অনেকেরই একই মনোঃকষ্ট। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আট মাসের মধ্যেও একটি ম্যাচ খেলতে পারেননি তারা। আবার কবে খেলবেন সেটিরও কোনো নিশ্চয়তা নেই।

বিজনেস আওয়ার/২৭ মে, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সর্বাধিক পঠিত

অভিমানে ফুটবল থেকে আচমকা অবসরের ঘোষণা সাফজয়ী স্বপ্নার

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক: ২২ বছর বয়সী এ নারী ফুটবলারের হতাশা, অভিমান আর অবসাদের কারণও আছে বৈকি? গেল বছর নেপালের মাটিতে স্বাগতিকদের হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসর সাফ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সেই সাফজয়ী দলের অন্যতম সদস্য সিরাত জাহান স্বপ্না। জাতীয় দলের এই ফরোয়ার্ড গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বাফুফের ক্যাম্প ত্যাগ করে নিজ জেলা রংপুরে চলে গেছেন। জাতীয় দলের তার সতীর্থরা ক্যাম্পে থাকলেও অবসাদ ও অভিমানে তিনি ক্যাম্প ত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।

স্বপ্নার অবসাদের কারণ এই ফুটবলই। গত সেপ্টেম্বরে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসার পর নারী ফুটবলাররা এখনো কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি। দুই দফা প্রীতি ম্যাচের আয়োজনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বাফুফে। মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাইয়ে খেলতে পাঠায়নি। অনেকের দেশের বাইরে খেলার প্রস্তাব ছিল। নারী ফ্রাঞ্চাইজ লিগের জন্য সেই প্রস্তাবও সাড়া দিতে পারেননি। নারী ফ্রাঞ্চাইজ লিগ কবে হবে এ নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। সব কিছু মিলিয়ে স্বপ্না হতাশ ছিল বলে জানা গেছে।

অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্বপ্না বলেন, “আমি নিজ ইচ্ছায় পেশাদার ফুটবল থেকে বিদায় নিলাম। প্রায় আট বছর পেশাদার ফুটবল খেলার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। ফুটবল ক্যারিয়ারে আসার পর আমি অনেক কিছু পেয়েছি।”

এ নারী স্ট্রাইকার আরও বলেন, “সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই মহান আল্লাহতায়ালার প্রতি। খেলার সুবাদে অনেকের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে। তাই জেনে বা না জেনে যদি কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকি দয়া করে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।”

তবে স্বপ্নার ফুটবল ছাড়ার বিষয়টি জানা নেই কোচিং স্টাফ এবং বাফুফের কারো। জাতীয় দলের হেড কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন এবং সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু দুইজনই স্বপ্নার ক্যাম্প ত্যাগের বিষয়ে বলেন, ‘স্বপ্নার কিছু দিন যাবত খারাপ লাগছিল। বাড়ি যেতে চেয়েছে সে তাই আমরা তাকে ৪-৫ দিন বাড়িতে কাটিয়ে আবার ক্যাম্পে ফিরতে বলেছি’। তবে এই বিষয়ে স্বপ্নার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

স্বপ্নার অবসাদের কারণ এই ফুটবলই। গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসার পর নারী ফুটবলাররা এখনো কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি। দুই দফা প্রীতি ম্যাচের আয়োজনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বাফুফে। মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাইয়ে খেলতে পাঠায়নি। অনেকের দেশের বাইরে খেলার প্রস্তাব ছিল। নারী ফ্রাঞ্চাইজ লিগের জন্য সেই প্রস্তাবও সাড়া দিতে পারেননি। নারী ফ্রাঞ্চাইজ লিগ কবে হবে এ নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। সব কিছু মিলিয়ে স্বপ্না হতাশ ছিল বলে জানা গেছে।

এর আগে সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের দুই সদস্য ফুটবল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা অবশ্য বাফুফের ক্যাম্প থেকে বাদ পড়েছিলেন পারফরম্যান্সের জন্য। জাতীয় দলের ক্যাম্পে না থাকতে পারলে তাদের আর ফুটবলে কিছু করার সুযোগ নেই এই ভেবে তারা অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

তবে স্বপ্নার বিষয়টি ভিন্ন। তিনি ক্যাম্পে থেকেও খেলার সুযোগ না পাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে এমনটি ভাবছেন। বিভিন্ন সূত্রের খবর, স্বপ্নার মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের অনেকেরই একই মনোঃকষ্ট। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আট মাসের মধ্যেও একটি ম্যাচ খেলতে পারেননি তারা। আবার কবে খেলবেন সেটিরও কোনো নিশ্চয়তা নেই।

বিজনেস আওয়ার/২৭ মে, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: