ঢাকা , রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সম্রাটের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • 0

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী সহসভাপতি এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ায় প্রায় ২০০ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অনুসন্ধান শুরুর আট মাস পর রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) রমনা থানায় তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে মামলা করেছে সংস্থাটি।

সিআইডি জানিয়েছে, এ অর্থপাচারের জন্য ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় ৩ বার, দুবাইতে দুইবার এবং হংকংয়ে একবার ভ্রমণ করেছেন। তার সহযোগী এনামুল হক আরমান এই সময়ে সিঙ্গাপুরে ২৩ বার ভ্রমণ করেছেন। সম্রাটের ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত ছিলেন আরমান। ওই সময়ের মধ্যে সম্রাট ও আরমান মোট ৫৮ বার সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জিসানুল হক বলেন, সম্রাট ও তার সহযোগী আরমান সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়ায় প্রায় ২০০ কোটি টাকা পাচার করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়ার পর মামলা করা হয়েছে। সম্রাট ও আরমান অবৈধ অর্থ দিয়ে যৌথভাবে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে।

সিআইডি সূত্র জানায়, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মেসার্স হিস মুভিজ নামে কাকরাইলের একটি অফিসে অবস্থান করে অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে সম্রাট। সহযোগী আরমানের মাধ্যমে এসব অর্থ সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেন তিনি। রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, ফকিরাপুল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে উপার্জিত এসব অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৯৫ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট আত্মগোপনে চলে যান। এরপর ৭ আগস্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

এরপর তার বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকও তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। মানি লন্ডারিং আইনের নতুন এই মামলাসহ তার বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হলো।

বিজনেস আওয়ার/১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সম্রাটের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি

পোস্ট হয়েছে : ১১:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী সহসভাপতি এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ায় প্রায় ২০০ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অনুসন্ধান শুরুর আট মাস পর রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) রমনা থানায় তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে মামলা করেছে সংস্থাটি।

সিআইডি জানিয়েছে, এ অর্থপাচারের জন্য ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় ৩ বার, দুবাইতে দুইবার এবং হংকংয়ে একবার ভ্রমণ করেছেন। তার সহযোগী এনামুল হক আরমান এই সময়ে সিঙ্গাপুরে ২৩ বার ভ্রমণ করেছেন। সম্রাটের ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত ছিলেন আরমান। ওই সময়ের মধ্যে সম্রাট ও আরমান মোট ৫৮ বার সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জিসানুল হক বলেন, সম্রাট ও তার সহযোগী আরমান সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়ায় প্রায় ২০০ কোটি টাকা পাচার করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়ার পর মামলা করা হয়েছে। সম্রাট ও আরমান অবৈধ অর্থ দিয়ে যৌথভাবে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে।

সিআইডি সূত্র জানায়, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মেসার্স হিস মুভিজ নামে কাকরাইলের একটি অফিসে অবস্থান করে অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে সম্রাট। সহযোগী আরমানের মাধ্যমে এসব অর্থ সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেন তিনি। রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, ফকিরাপুল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে উপার্জিত এসব অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৯৫ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট আত্মগোপনে চলে যান। এরপর ৭ আগস্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

এরপর তার বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকও তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। মানি লন্ডারিং আইনের নতুন এই মামলাসহ তার বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হলো।

বিজনেস আওয়ার/১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: