ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তামাক সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
  • 7

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: তামাকজাত কোম্পানিসহ যারা তামাক নিয়ে কাজ করবে তাদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রোববার (১১ জুন) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব ঘোষণা দেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, প্রতি বছর তামাকের কারণে প্রায় দেড় লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। তাই, এই তামাক সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখব না।

জাহিদ মালেক বলেন, তামাক থেকে যে রেভেনিউ সরকার পায় তার থেকে বেশি ক্ষতি চিকিৎসা ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় মেটাতেই হয়ে যায়। এজন্য যেকোনো মূল্যে আগামী ২০৪০ সালের মধ্যেই দেশ থেকে তামাক পুরোপুরি নির্মূল করতে হবে। দেশে বর্তমানে মোট মৃত্যুর সত্তর শতাংশই ঘটে অসংক্রামক রোগের কারণে। আর এই অসংক্রামক রোগের অন্যতম একটি বাহক হচ্ছে তামাকের ব্যবহার।

সভায় বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ বছর ৯টি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ১০টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা ২০২৩ প্রদান করা হয়। ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান’ ক্যাটাগরিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়, ‘জেলা টাস্কফোর্স কমিটি’ ক্যাটাগরিতে খুলনা টাস্কফোর্স কমিটি, ‘উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি’ ক্যাটাগরিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি, ‘শ্রেষ্ঠ মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী কর্মকর্তা’ ক্যাটাগরিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম, ‘কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম ও মো. আল আমিন রহমান, ‘স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান’ ক্যাটাগরিতে ঝিনাইদহ পৌরসভা, ‘বেসরকারি সংস্থা’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং, ‘সাংবাদিক (প্রিন্ট মিডিয়া)’ ক্যাটাগরিতে এহসানুল হক জসীম এবং ‘সাংবাদিক (ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া)’ ক্যাটাগরিতে সুশান্ত সিনহা তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা-২০২৩ অর্জন করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) মো. সাইদুর রহমান। এছাড়াও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনটিসিসি’র সমন্বয়কারী ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদীয় কমিটির প্রতিনিধি সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবীর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বার্দান জং রানা প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলান’ প্রতিপাদ্যে গত ৩১ মে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় শোভাযাত্রা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের বাণীসহ বিশেষ ক্রোড়পত্র বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, এছাড়া পোস্টার প্রকাশ, গুরুত্বপূর্ণ সড়কদ্বীপ সজ্জাসহ বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম পালন করা হয়।

এ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের পরিচালকবৃন্দ, ঢাকা সিভিল সার্জন অফিস, নার্স/ মিডওয়াইফ, বাংলাদেশ স্কাউটস, গার্ল গাইডস এবং তামাকবিরোধী বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিসহ প্রায় ৭ শতাধিক মানুষ এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

বিজনেস আওয়ার/১১ জুন, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

তামাক সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: তামাকজাত কোম্পানিসহ যারা তামাক নিয়ে কাজ করবে তাদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রোববার (১১ জুন) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব ঘোষণা দেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, প্রতি বছর তামাকের কারণে প্রায় দেড় লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। তাই, এই তামাক সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখব না।

জাহিদ মালেক বলেন, তামাক থেকে যে রেভেনিউ সরকার পায় তার থেকে বেশি ক্ষতি চিকিৎসা ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় মেটাতেই হয়ে যায়। এজন্য যেকোনো মূল্যে আগামী ২০৪০ সালের মধ্যেই দেশ থেকে তামাক পুরোপুরি নির্মূল করতে হবে। দেশে বর্তমানে মোট মৃত্যুর সত্তর শতাংশই ঘটে অসংক্রামক রোগের কারণে। আর এই অসংক্রামক রোগের অন্যতম একটি বাহক হচ্ছে তামাকের ব্যবহার।

সভায় বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ বছর ৯টি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ১০টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা ২০২৩ প্রদান করা হয়। ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান’ ক্যাটাগরিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়, ‘জেলা টাস্কফোর্স কমিটি’ ক্যাটাগরিতে খুলনা টাস্কফোর্স কমিটি, ‘উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি’ ক্যাটাগরিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি, ‘শ্রেষ্ঠ মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী কর্মকর্তা’ ক্যাটাগরিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম, ‘কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম ও মো. আল আমিন রহমান, ‘স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান’ ক্যাটাগরিতে ঝিনাইদহ পৌরসভা, ‘বেসরকারি সংস্থা’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং, ‘সাংবাদিক (প্রিন্ট মিডিয়া)’ ক্যাটাগরিতে এহসানুল হক জসীম এবং ‘সাংবাদিক (ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া)’ ক্যাটাগরিতে সুশান্ত সিনহা তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা-২০২৩ অর্জন করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) মো. সাইদুর রহমান। এছাড়াও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনটিসিসি’র সমন্বয়কারী ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদীয় কমিটির প্রতিনিধি সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবীর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বার্দান জং রানা প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলান’ প্রতিপাদ্যে গত ৩১ মে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় শোভাযাত্রা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের বাণীসহ বিশেষ ক্রোড়পত্র বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, এছাড়া পোস্টার প্রকাশ, গুরুত্বপূর্ণ সড়কদ্বীপ সজ্জাসহ বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম পালন করা হয়।

এ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের পরিচালকবৃন্দ, ঢাকা সিভিল সার্জন অফিস, নার্স/ মিডওয়াইফ, বাংলাদেশ স্কাউটস, গার্ল গাইডস এবং তামাকবিরোধী বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিসহ প্রায় ৭ শতাধিক মানুষ এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

বিজনেস আওয়ার/১১ জুন, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: