ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তেল-ব্রয়লারে দাম কমাতে স্বস্তিতে ক্রেতা

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩
  • 6

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সয়াবিন তেলের দাম কমেছে। বাজারে লিটারে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির কেজিতে কমেছে ২০ টাকা। এতে কিছুটা স্বস্তি রয়েছেন ক্রেতারা। তবে ভয়ও পাচ্ছেন তারা এই ভেবে যে, ঈদকে কেন্দ্র করে ফের দাম বাড়তে পারে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

বাজার ঘুরে জানা যায়, সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ১০ টাকা কেজিতে। আগে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের (প্যাকেট) দাম ছিল ১৯৯ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ছিল ১৭৮ টাকা। দাম কমে তা হয়েছে লিটার প্রতি প্যাকেট সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকা আর খোলা সয়াবিন তেল ১৭০ টাকা। সয়াবিন তেলের দাম কমলেও বেড়েছে জিরার দাম। খুচরা জিরার কেজি ৮৫০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০০ টাকা কেজি। বাজার ভেদে দামের ভিন্নতাও লক্ষ্য করা গেছে।

গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কক মুরগি ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এখন ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ২০ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে। একইভাবে কক মুরগি ও দেশি মুরগিতেও দাম কমেছে। কেজি প্রতি নূন্যতম ২০ টাকা।

দাম প্রসঙ্গে কাপ্তান বাজারের মুরগির বিক্রেতা হাফিজ বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। কমেছে কক মুরগি ও দেশি মুরগিতেও। মুরগি কিনতে আসা রবিন বলেন, দাম কিছুটা কমতি। তবে শুনছি, ঈদের আগে দাম ফের বাড়বে। একই বাজারের বিক্রেতা রহমত বলেন, জিরার দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে যে জিরার কেনা দাম ছিল ৭৮০ টাকা, বিক্রি করেছি ৮০০ টাকায়। বর্তমানে সেই জিরা কেনা ৮৩০ টাকা আর বিক্রি করছি ৮৫০ টাকায়। তবে অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে আগের মতোই রয়েছে।

শুক্রবার কাপ্তান বাজারের চিত্র- মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, খেসারি ডাল ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৯৫ টাকা, ছোলা ৮৫ টাকা, চিনি ১৩০ টাকা, আটা ১৩০ টাকা (২ কেজির প্যাকেটে), খোলা ময়দা ৬৩ টাকা, খোলা সরিষার তেল ২৫০ টাকা লিটার। সবজির দাম অপরিবর্তিত বললে ভূল হবে না। বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, পেঁপে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, পটল ৬৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, সজনে ১১০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি। এছাড়া লাউ ৬০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা (সাউজ প্রতি দামের ভিন্নতা রয়েছে)। এছাড়া আদা ৩০০ টাকা, দেশি রসুন ১৫০-১৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ১৬০-১৭০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা, আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ইলিশ মাছের কেজি ১৬০০ থেকে ২০০০, রুই ৩৬০ থেকে ৪৫০, কাতল ৫০০ থেকে ৬০০, কালিবাউশ ৫০০, চিংড়ি ১০০০, কাঁচকি ৫০০, টেংরা ৬৫০, পাবদা ৫০০ টাকা, শিং ৫০০ টাকা। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ থেকে ১৯৫, কক মুরগি ২১০ থেকে ২৩০, দেশি মুরগি ৬০০, গরুর মাংস ৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/১৬ জুন, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

তেল-ব্রয়লারে দাম কমাতে স্বস্তিতে ক্রেতা

পোস্ট হয়েছে : ০২:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সয়াবিন তেলের দাম কমেছে। বাজারে লিটারে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির কেজিতে কমেছে ২০ টাকা। এতে কিছুটা স্বস্তি রয়েছেন ক্রেতারা। তবে ভয়ও পাচ্ছেন তারা এই ভেবে যে, ঈদকে কেন্দ্র করে ফের দাম বাড়তে পারে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

বাজার ঘুরে জানা যায়, সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ১০ টাকা কেজিতে। আগে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের (প্যাকেট) দাম ছিল ১৯৯ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ছিল ১৭৮ টাকা। দাম কমে তা হয়েছে লিটার প্রতি প্যাকেট সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকা আর খোলা সয়াবিন তেল ১৭০ টাকা। সয়াবিন তেলের দাম কমলেও বেড়েছে জিরার দাম। খুচরা জিরার কেজি ৮৫০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০০ টাকা কেজি। বাজার ভেদে দামের ভিন্নতাও লক্ষ্য করা গেছে।

গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কক মুরগি ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এখন ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ২০ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে। একইভাবে কক মুরগি ও দেশি মুরগিতেও দাম কমেছে। কেজি প্রতি নূন্যতম ২০ টাকা।

দাম প্রসঙ্গে কাপ্তান বাজারের মুরগির বিক্রেতা হাফিজ বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। কমেছে কক মুরগি ও দেশি মুরগিতেও। মুরগি কিনতে আসা রবিন বলেন, দাম কিছুটা কমতি। তবে শুনছি, ঈদের আগে দাম ফের বাড়বে। একই বাজারের বিক্রেতা রহমত বলেন, জিরার দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে যে জিরার কেনা দাম ছিল ৭৮০ টাকা, বিক্রি করেছি ৮০০ টাকায়। বর্তমানে সেই জিরা কেনা ৮৩০ টাকা আর বিক্রি করছি ৮৫০ টাকায়। তবে অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে আগের মতোই রয়েছে।

শুক্রবার কাপ্তান বাজারের চিত্র- মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, খেসারি ডাল ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৯৫ টাকা, ছোলা ৮৫ টাকা, চিনি ১৩০ টাকা, আটা ১৩০ টাকা (২ কেজির প্যাকেটে), খোলা ময়দা ৬৩ টাকা, খোলা সরিষার তেল ২৫০ টাকা লিটার। সবজির দাম অপরিবর্তিত বললে ভূল হবে না। বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, পেঁপে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, পটল ৬৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, সজনে ১১০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি। এছাড়া লাউ ৬০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা (সাউজ প্রতি দামের ভিন্নতা রয়েছে)। এছাড়া আদা ৩০০ টাকা, দেশি রসুন ১৫০-১৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ১৬০-১৭০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা, আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ইলিশ মাছের কেজি ১৬০০ থেকে ২০০০, রুই ৩৬০ থেকে ৪৫০, কাতল ৫০০ থেকে ৬০০, কালিবাউশ ৫০০, চিংড়ি ১০০০, কাঁচকি ৫০০, টেংরা ৬৫০, পাবদা ৫০০ টাকা, শিং ৫০০ টাকা। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ থেকে ১৯৫, কক মুরগি ২১০ থেকে ২৩০, দেশি মুরগি ৬০০, গরুর মাংস ৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/১৬ জুন, ২০২৩/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: