ঢাকা , শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাদে বৃষ্টিতে ভিজে টিকটকের সময় বজ্রপাতের কবলে তরুণী (ভিডিও)

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩
  • 10

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: শরীয়তপুরে ভবনের ছাদে উঠে বৃষ্টিতে ভিজে টিকটকের ভিডিও বানানোর সময় বজ্রপাতে দুই তরুণী আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে শরীয়তপুর শহরের জেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবনের ছাদে এ ঘটনা ঘটে।বৃষ্টিতে ভিজে টিকটকের ভিডিও করার সময় বজ্রপাতের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মেঘলা নাচছেন আর জিয়াসমিন ভিডিও করছেন। এমন সময় বিকট শব্দ। বজ্রপাতের আগুনের ঝলক তাদের ওপর এসে পড়লে তারা চিৎকার করে লুটিয়ে পড়েন।

আহতরা হলেন—মেঘলা আক্তার (২২) ও জিয়াসমিন আক্তার (১৮)। তাঁদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মেঘলা সদর উপজেলার চিতলিয়া সমিতির হাট এলাকার সুলতান আহমদের মেয়ে এবং জিয়াসমিনের বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায়। তারা দু’জন ওই ভবনের নিচতলায় অবস্থিত ইসলামি চক্ষু হাসপাতালের কর্মচারী।

হাসপাতালের ম্যানেজার ওমর ফারুক অনিক জানান, প্রায় দুই বছর যাবৎ মেঘলা ও জিয়াসমিন শরীয়তপুর জেলা শহরের জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নিচতলায় অবস্থিত ইসলামি চক্ষু হাসপাতালে কাজ করছেন। মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের প্রায় সব স্টাফ খাবার খেতে চলে যান। এ সময় বৃষ্টি শুরু হলে মেঘলা ও জিয়াসমিন ওই ভবনের ছাদে গিয়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে নাচের ভিডিও করছিলেন। মেঘলা নাচছিলেন আর জিয়াসমিন মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করছিলেন। এমন সময় বজ্রপাত হয়। বজ্রপাতে আগুনের লেলিহান শিখা তাদের ওপর দিয়ে বয়ে যায়। এতে তারা দু’জনই অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়েন। টের পেয়ে হাসপাতালের ম্যানেজারসহ অন্যরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। জিয়াসমিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালে মেঘলার চিকিৎসা চলছে।

ম্যানেজার আরও বলেন, ‘বৃষ্টি শুরু হলে মেঘলা ও জিয়াসমিন ছাদে যান, সেটা আমি দেখেছি। হঠাৎ বজ্রপাত হলে আমার আশঙ্কা হয়, তাদের ক্ষতি হতে পারে। আমি দ্রুত ছাদে উঠে দেখি দুজন অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছেন। তখন আরও লোকজন নিয়ে তাদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি।’

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রোকসানা বিনতে আকবর বলেন, ‘বজ্রপাতের শব্দ ও আগুনের আতঙ্কে তারা অজ্ঞান হয়ে যান। পরে তাদের জ্ঞান ফেরে। বজ্রপাতে তাদের শরীরের কোনো ক্ষতি হয়নি। তারা শঙ্কামুক্ত। তাদের চিকিৎসা চলছে। দু–এক দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাবেন।’

বিজনেস আওয়ার/২১ জুন, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ছাদে বৃষ্টিতে ভিজে টিকটকের সময় বজ্রপাতের কবলে তরুণী (ভিডিও)

পোস্ট হয়েছে : ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: শরীয়তপুরে ভবনের ছাদে উঠে বৃষ্টিতে ভিজে টিকটকের ভিডিও বানানোর সময় বজ্রপাতে দুই তরুণী আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে শরীয়তপুর শহরের জেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবনের ছাদে এ ঘটনা ঘটে।বৃষ্টিতে ভিজে টিকটকের ভিডিও করার সময় বজ্রপাতের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মেঘলা নাচছেন আর জিয়াসমিন ভিডিও করছেন। এমন সময় বিকট শব্দ। বজ্রপাতের আগুনের ঝলক তাদের ওপর এসে পড়লে তারা চিৎকার করে লুটিয়ে পড়েন।

আহতরা হলেন—মেঘলা আক্তার (২২) ও জিয়াসমিন আক্তার (১৮)। তাঁদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মেঘলা সদর উপজেলার চিতলিয়া সমিতির হাট এলাকার সুলতান আহমদের মেয়ে এবং জিয়াসমিনের বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায়। তারা দু’জন ওই ভবনের নিচতলায় অবস্থিত ইসলামি চক্ষু হাসপাতালের কর্মচারী।

হাসপাতালের ম্যানেজার ওমর ফারুক অনিক জানান, প্রায় দুই বছর যাবৎ মেঘলা ও জিয়াসমিন শরীয়তপুর জেলা শহরের জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নিচতলায় অবস্থিত ইসলামি চক্ষু হাসপাতালে কাজ করছেন। মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের প্রায় সব স্টাফ খাবার খেতে চলে যান। এ সময় বৃষ্টি শুরু হলে মেঘলা ও জিয়াসমিন ওই ভবনের ছাদে গিয়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে নাচের ভিডিও করছিলেন। মেঘলা নাচছিলেন আর জিয়াসমিন মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করছিলেন। এমন সময় বজ্রপাত হয়। বজ্রপাতে আগুনের লেলিহান শিখা তাদের ওপর দিয়ে বয়ে যায়। এতে তারা দু’জনই অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়েন। টের পেয়ে হাসপাতালের ম্যানেজারসহ অন্যরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। জিয়াসমিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালে মেঘলার চিকিৎসা চলছে।

ম্যানেজার আরও বলেন, ‘বৃষ্টি শুরু হলে মেঘলা ও জিয়াসমিন ছাদে যান, সেটা আমি দেখেছি। হঠাৎ বজ্রপাত হলে আমার আশঙ্কা হয়, তাদের ক্ষতি হতে পারে। আমি দ্রুত ছাদে উঠে দেখি দুজন অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছেন। তখন আরও লোকজন নিয়ে তাদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি।’

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রোকসানা বিনতে আকবর বলেন, ‘বজ্রপাতের শব্দ ও আগুনের আতঙ্কে তারা অজ্ঞান হয়ে যান। পরে তাদের জ্ঞান ফেরে। বজ্রপাতে তাদের শরীরের কোনো ক্ষতি হয়নি। তারা শঙ্কামুক্ত। তাদের চিকিৎসা চলছে। দু–এক দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাবেন।’

বিজনেস আওয়ার/২১ জুন, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: