ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলোচনায় বসেছেন সাত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩
  • 4

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: সাত দফা দাবিতে আন্দোলন করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ইডেন মহিলা কলেজে আলোচনায় বসেছেন।

বুধবার (২১ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় সাত কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধিরা সাতজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। অধিভুক্ত সাত কলেজের সমন্বয়ক এবং ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সাথে এসব দাবি নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে।

শিক্ষক প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার, সহকারী অধ্যাপক ওবায়দুল করিম ও অন্যান্য শিক্ষকরা। এরসাথে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল গণি সাবু ও অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারাও আছেন বৈঠকে।

এর আগে দুপুর ১২টায় নিউ মার্কেটের বলাকা সিনেমা হলের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে সাত কলেজের শিক্ষকরা এসে আলোচনার জন্য শিক্ষার্থীদের ইডেন কলেজের সামনে নিয়ে আসেন। তবে আন্দোলনরত অন্য শিক্ষার্থীরা ইডেন কলেজের সামনে অবস্থান করছেন৷

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে, যে শিক্ষার্থীরা পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছে নন-প্রমোটেড তাদের মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে, বিলম্বে ফলাফল প্রকাশের কারণ ও এই সমস্যা সমাধানে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।

আরও দাবি রয়েছে- সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক কে বা কারা? কোথায় তাদের সমস্যাসমূহ উপস্থাপন করবে তা ঠিক করে দিতে হবে, একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে, শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে, সকল বিষয়ে পাস করার পরেও একজন শিক্ষার্থী সিজিপিএ শর্তের জন্য নন প্রমোটেড হচ্ছেন, সিজিপিএ শর্ত শিথিল করতে হবে৷

এর আগে গতকালও নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছিলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেলে সাত কলেজ প্রশাসনের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈঠকে সন্তোষজনক ফল না আসায় আবারও আন্দোলনে নেমেছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক ওবায়দুল করিম বলেন, শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল সমন্বয়কের সাথে দেখা করবে৷ আমরা সাত কলেজের শিক্ষকরাও সেখানে থাকব। আশা করছি একটি সুষ্ঠু সমাধান আসবে।

বিজনেস আওয়ার/২১ জুন, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আলোচনায় বসেছেন সাত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা

পোস্ট হয়েছে : ০২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: সাত দফা দাবিতে আন্দোলন করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ইডেন মহিলা কলেজে আলোচনায় বসেছেন।

বুধবার (২১ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় সাত কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধিরা সাতজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। অধিভুক্ত সাত কলেজের সমন্বয়ক এবং ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সাথে এসব দাবি নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে।

শিক্ষক প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার, সহকারী অধ্যাপক ওবায়দুল করিম ও অন্যান্য শিক্ষকরা। এরসাথে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল গণি সাবু ও অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারাও আছেন বৈঠকে।

এর আগে দুপুর ১২টায় নিউ মার্কেটের বলাকা সিনেমা হলের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে সাত কলেজের শিক্ষকরা এসে আলোচনার জন্য শিক্ষার্থীদের ইডেন কলেজের সামনে নিয়ে আসেন। তবে আন্দোলনরত অন্য শিক্ষার্থীরা ইডেন কলেজের সামনে অবস্থান করছেন৷

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে, যে শিক্ষার্থীরা পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছে নন-প্রমোটেড তাদের মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে, বিলম্বে ফলাফল প্রকাশের কারণ ও এই সমস্যা সমাধানে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।

আরও দাবি রয়েছে- সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক কে বা কারা? কোথায় তাদের সমস্যাসমূহ উপস্থাপন করবে তা ঠিক করে দিতে হবে, একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে, শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে, সকল বিষয়ে পাস করার পরেও একজন শিক্ষার্থী সিজিপিএ শর্তের জন্য নন প্রমোটেড হচ্ছেন, সিজিপিএ শর্ত শিথিল করতে হবে৷

এর আগে গতকালও নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছিলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেলে সাত কলেজ প্রশাসনের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈঠকে সন্তোষজনক ফল না আসায় আবারও আন্দোলনে নেমেছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক ওবায়দুল করিম বলেন, শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল সমন্বয়কের সাথে দেখা করবে৷ আমরা সাত কলেজের শিক্ষকরাও সেখানে থাকব। আশা করছি একটি সুষ্ঠু সমাধান আসবে।

বিজনেস আওয়ার/২১ জুন, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: