ঢাকা , শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিনারে যেসব আমল দিয়ে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩
  • 9

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: সৌদি আরবের স্থানীয় হিসাবে আজ ৭ জিলহজ। পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা আজ থেকে শুরু হচ্ছে। মিনা প্রান্তরে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে হজের অনু্ষ্ঠানিকতা শুরু হয়। হজের পাঁচ দিনের প্রথম দিন মিনায় অবস্থান করা। এখানে অংশ গ্রহণ করা এবং ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকা সুন্নত।

মিনায় অবস্থানের পর পর্যায়ক্রমে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান, মুজদালিফায় রাতযাপন এবং জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপ, কোরবানিসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করবেন হাজিরা। জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে ১২ জিলহজ শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

পৃথিবীর নানা ভাষার মুসলিমের মুখে উচ্চারিত ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে মিনা প্রান্তর।

মিনায় যাওয়ার আগে হাজিরা হজের নিয়তে ফরজ ইহরাম পরিধান করেন। মক্কায় অবস্থানরত বিদেশিরা নিজ নিজ হোটেল কিংবা মসজিদে হারাম বা নির্দিষ্ট মিকাত থেকে ইহরাম পরিধান করেন। হজ পালনকারীদের জন্য ৮ জিলহজ জোহরের নামাজের আগে মিনায় পৌঁছা সুন্নত। মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও রাতযাপন সুন্নত।

মিনায় অবস্থানে পুরোটা সময় হাজিরা তালবিয়া, জিকির ও কোরআন তিলাওয়াতে মশগুল থাকেন। এখানে অবস্থানের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। অল্প সময়ও জিকির-আজকার থেকে বিরত থাকা উচিত নয়। তাই জিকির ও ইবাদতে মগ্ন থাকা মিনার অত্যন্ত জরুরি আমল। অনর্থক গল্প-গুজব থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

এখানে হাজিদের রাত কাটানোর জন্য আলাদা আলাদা তাঁবু রয়েছে। প্রত্যেক তাঁবুর আলাদা নম্বর দেওয়া। তাঁবুর সবই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এখানে হাজিদের এজেন্সির পক্ষ থেকে খাবার পরিবেশন করা হবে। মিনার তাঁবুগুলো সারা বছর গুটিয়ে রাখা হয়, তবে ওই সময় সেখানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ। মক্কা থেকে আরাফার ময়দানের দিকে যাওয়ার মহাসড়কের পাশে মিনার অবস্থান। পবিত্র কাবা থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মিনা প্রান্তরের আয়তন প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার।

হজযাত্রীরা কেউ বাসে, কেউ হেঁটে বা অন্য যানবাহনে মিনায় এসে পৌঁছান। মিনায় জোহর, আসর, মাগরিব, এশা এবং ফজরের নামাজ আদায় করে আরাফার ময়দানে যাবেন হাজিরা। আরাফার ময়দানে অবস্থান করা হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। আরাফার ময়দানসংলগ্ন মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেওয়া হয়।

হজের অন্যতম বিধান শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করার আমলটিও মিনাতেই পালন করা হয়। তবে তা ১০, ১১ ও ১২ জিলহজ পালন করতে হয়।

বিজনেস আওয়ার/২৫ জুন, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মিনারে যেসব আমল দিয়ে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: সৌদি আরবের স্থানীয় হিসাবে আজ ৭ জিলহজ। পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা আজ থেকে শুরু হচ্ছে। মিনা প্রান্তরে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে হজের অনু্ষ্ঠানিকতা শুরু হয়। হজের পাঁচ দিনের প্রথম দিন মিনায় অবস্থান করা। এখানে অংশ গ্রহণ করা এবং ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকা সুন্নত।

মিনায় অবস্থানের পর পর্যায়ক্রমে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান, মুজদালিফায় রাতযাপন এবং জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপ, কোরবানিসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করবেন হাজিরা। জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে ১২ জিলহজ শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

পৃথিবীর নানা ভাষার মুসলিমের মুখে উচ্চারিত ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে মিনা প্রান্তর।

মিনায় যাওয়ার আগে হাজিরা হজের নিয়তে ফরজ ইহরাম পরিধান করেন। মক্কায় অবস্থানরত বিদেশিরা নিজ নিজ হোটেল কিংবা মসজিদে হারাম বা নির্দিষ্ট মিকাত থেকে ইহরাম পরিধান করেন। হজ পালনকারীদের জন্য ৮ জিলহজ জোহরের নামাজের আগে মিনায় পৌঁছা সুন্নত। মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও রাতযাপন সুন্নত।

মিনায় অবস্থানে পুরোটা সময় হাজিরা তালবিয়া, জিকির ও কোরআন তিলাওয়াতে মশগুল থাকেন। এখানে অবস্থানের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। অল্প সময়ও জিকির-আজকার থেকে বিরত থাকা উচিত নয়। তাই জিকির ও ইবাদতে মগ্ন থাকা মিনার অত্যন্ত জরুরি আমল। অনর্থক গল্প-গুজব থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

এখানে হাজিদের রাত কাটানোর জন্য আলাদা আলাদা তাঁবু রয়েছে। প্রত্যেক তাঁবুর আলাদা নম্বর দেওয়া। তাঁবুর সবই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এখানে হাজিদের এজেন্সির পক্ষ থেকে খাবার পরিবেশন করা হবে। মিনার তাঁবুগুলো সারা বছর গুটিয়ে রাখা হয়, তবে ওই সময় সেখানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ। মক্কা থেকে আরাফার ময়দানের দিকে যাওয়ার মহাসড়কের পাশে মিনার অবস্থান। পবিত্র কাবা থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মিনা প্রান্তরের আয়তন প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার।

হজযাত্রীরা কেউ বাসে, কেউ হেঁটে বা অন্য যানবাহনে মিনায় এসে পৌঁছান। মিনায় জোহর, আসর, মাগরিব, এশা এবং ফজরের নামাজ আদায় করে আরাফার ময়দানে যাবেন হাজিরা। আরাফার ময়দানে অবস্থান করা হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। আরাফার ময়দানসংলগ্ন মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেওয়া হয়।

হজের অন্যতম বিধান শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করার আমলটিও মিনাতেই পালন করা হয়। তবে তা ১০, ১১ ও ১২ জিলহজ পালন করতে হয়।

বিজনেস আওয়ার/২৫ জুন, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: