ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরচুলা পরে বিয়ে, ফাঁস হতেই বরকে বেধড়ক পেটালেন কনেপক্ষ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩
  • 5

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গানবাজনা থেকে খাবার-দাবার, সবেতেই বেশ ধূমধাম আয়োজন হয়েছিল। যথাসময়ে বরযাত্রী নিয়ে হাজির পাত্র পক্ষও। সেজেগুজে প্রস্তুত কনেও। এরই মধ্যে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে গেছে ভারতের বিহার রাজ্যের ইকবালবুল এলাকায়।

বরের মাথায় টাক এটা জানতেন না কনে পক্ষ; মাথায় পরচুলা পরে বিয়ের পিঁড়িতেও বসেছেন বর। তার ওপর পরিপাটি করে বসিয়েছিলেন বিয়ের পাগড়ি। কিন্তু বিয়ের আসরে এমন গোপন রহস্য ফাঁস হতে বেশি সময় লাগেনি। পরিণতিও হয়েছে করুণ, খেতে হয়েছে গণধোলাই।

দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেই বরের টাক আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন কনের পরিবারের সদস্যরা। তারপর শুরু হয় মারধর। বিয়ে বাড়িতেই বরকে চড়-থাপ্পড় মারা হয়। টেনে খুলে দেওয়া হয় তার পাগড়ি। পরচুলা নিয়েও টানাটানি করা হয়। আর এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, বরের সাজে বসে থাকা এক যুবককে চড়-থাপ্পড় মারছেন কয়েকজন। সঙ্গে চলছে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। এ সময় আতঙ্কে কান্নাকাটিও করতে দেখা যায় বরকে। মাঝে মাঝে হাত জোড় করে কনের আত্মীয়দের কাছে কিছু অনুরোধ করছেন।

কিন্তু কেউ তার কথা শুনছেন না। যুবককে দুই হাতে পরচুলা চেপে ধরে রাখতেও দেখা যায় ভিডিওতে।

দেশটির দৈনিক ইন্ডিয়া টুডে বলছে, বিয়ের জন্য প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া ওই যুবকের বাড়ি বিহারের গয়ার ইকবালপুর এলাকায়। সম্প্রতি বাজাউরা গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করতে যান তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে কনে পক্ষের লোকজন বরের মাথায় পাগড়ি ও ফুলের মালা দেখে সন্দেহ করে।

পরে একজন তার মাথায় পাগড়ি টান দিয়ে খুলে দেখতে পান টাক। এই ঘটনার পরপরই কনে পক্ষের লোকজন ওই বরকে বেধড়ক মারপিট করেন।

ইকবালপুরের এই ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ ওই যুবককে নিয়ে ঠাট্টা করছেন। কেউ আবার মাথায় চুল নেই বলে তার হেনস্থার প্রতিবাদ করছেন।

অনেকেই বলছেন, সত্য গোপন করে বিয়ে করতে যাওয়া উচিত হয়নি ওই বরের।

বিজনেস আওয়ার/১৩ জুলাই, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

পরচুলা পরে বিয়ে, ফাঁস হতেই বরকে বেধড়ক পেটালেন কনেপক্ষ

পোস্ট হয়েছে : ০৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গানবাজনা থেকে খাবার-দাবার, সবেতেই বেশ ধূমধাম আয়োজন হয়েছিল। যথাসময়ে বরযাত্রী নিয়ে হাজির পাত্র পক্ষও। সেজেগুজে প্রস্তুত কনেও। এরই মধ্যে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে গেছে ভারতের বিহার রাজ্যের ইকবালবুল এলাকায়।

বরের মাথায় টাক এটা জানতেন না কনে পক্ষ; মাথায় পরচুলা পরে বিয়ের পিঁড়িতেও বসেছেন বর। তার ওপর পরিপাটি করে বসিয়েছিলেন বিয়ের পাগড়ি। কিন্তু বিয়ের আসরে এমন গোপন রহস্য ফাঁস হতে বেশি সময় লাগেনি। পরিণতিও হয়েছে করুণ, খেতে হয়েছে গণধোলাই।

দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেই বরের টাক আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন কনের পরিবারের সদস্যরা। তারপর শুরু হয় মারধর। বিয়ে বাড়িতেই বরকে চড়-থাপ্পড় মারা হয়। টেনে খুলে দেওয়া হয় তার পাগড়ি। পরচুলা নিয়েও টানাটানি করা হয়। আর এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, বরের সাজে বসে থাকা এক যুবককে চড়-থাপ্পড় মারছেন কয়েকজন। সঙ্গে চলছে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। এ সময় আতঙ্কে কান্নাকাটিও করতে দেখা যায় বরকে। মাঝে মাঝে হাত জোড় করে কনের আত্মীয়দের কাছে কিছু অনুরোধ করছেন।

কিন্তু কেউ তার কথা শুনছেন না। যুবককে দুই হাতে পরচুলা চেপে ধরে রাখতেও দেখা যায় ভিডিওতে।

দেশটির দৈনিক ইন্ডিয়া টুডে বলছে, বিয়ের জন্য প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া ওই যুবকের বাড়ি বিহারের গয়ার ইকবালপুর এলাকায়। সম্প্রতি বাজাউরা গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করতে যান তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে কনে পক্ষের লোকজন বরের মাথায় পাগড়ি ও ফুলের মালা দেখে সন্দেহ করে।

পরে একজন তার মাথায় পাগড়ি টান দিয়ে খুলে দেখতে পান টাক। এই ঘটনার পরপরই কনে পক্ষের লোকজন ওই বরকে বেধড়ক মারপিট করেন।

ইকবালপুরের এই ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ ওই যুবককে নিয়ে ঠাট্টা করছেন। কেউ আবার মাথায় চুল নেই বলে তার হেনস্থার প্রতিবাদ করছেন।

অনেকেই বলছেন, সত্য গোপন করে বিয়ে করতে যাওয়া উচিত হয়নি ওই বরের।

বিজনেস আওয়ার/১৩ জুলাই, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: