ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০৩০ সালের মধ্যেই বিশ্ব থেকে এইডসের নির্মূল সম্ভব

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০২৩
  • 5

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রগুলো যদি প্রাণঘাতী রোগ এইডসের ওষুধ-টিকা আবিষ্কার ও বৈশ্বিক জনসচেতনতা খাতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করে, সেক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই বিশ্ব থেকে এইডসের নির্মূল সম্ভব।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন এইডস নির্মূল বিষয়ক জাতিসংঘের বৈশ্বিক প্রকল্প ইউএনএইডসের নির্বাহী পরিচালক উইনি বায়ানিমা।

এইডস নির্মূল বিষয়ক জাতিসংঘের বৈশ্বিক প্রকল্প ইউএনএইডসের নির্বাহী পরিচালক উইনি বায়ানিমা বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রকল্পের গত ৮ বছরের কার্যক্রমের সাফল্য তুলে ধরে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, বৈশ্বিক দাতা দেশ ও সংস্থাগুলো এগিয়ে এলে পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বকে চিরতরে এইডসের অভিশাপমুক্ত করা সম্ভব।

‘এইডস এখনও নির্মূল করা সম্ভব হয়নি, কিন্তু প্রতিরোধ অভিযান এখন যে পর্যায়ে রয়েছে—তাতে দাতারা এগিয়ে এলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই বৈশ্বিকভাবে আমরা এইডসকে বিদায় জানাতে পারব; আর যদি তা না হয়— সেক্ষেত্রে আরও কয়েক দশক অপেক্ষা করতে হবে বিশ্বকে। আমরা এ দু’টি পথের যে কোনো একটি বেছে নিতে পারি।’

২০১৫ সালে ইউএনএইড নামের এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করে জাতিসংঘ। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই প্রকল্পটির লক্ষ্য ছিল পরবর্তী ১৫ বছর, অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বকে এইডসমুক্ত করা।

প্রসঙ্গত, অ্যাকোয়ার্ড ইমিউনো ডেফিশিয়েন্সি সিনড্রোম বা এইডস আসলে একই সঙ্গে রোগ এবং রোগলক্ষণসমষ্টি। হিউম্যান ইমিউনো ভাইরাস (এইচআইভি) নামের বিশেষ একটি ভাইরাস এই রোগের জন্য দায়ী।

মানবদেহে এই ভাইরাসটি প্রবেশ করতে সক্ষম হলে সেটি মানুষের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও প্রতিরক্ষাকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে, একজন এইডস রোগী খুব সহজেই যে কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন, যা শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু ঘটাতে পারে।

১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এইডসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ওই বছরই দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) এই রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস এইচআইভিও শনাক্ত করে।

বিজনেস আওয়ার/ ১৫ জুলাই,২০২৩/ এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

২০৩০ সালের মধ্যেই বিশ্ব থেকে এইডসের নির্মূল সম্ভব

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রগুলো যদি প্রাণঘাতী রোগ এইডসের ওষুধ-টিকা আবিষ্কার ও বৈশ্বিক জনসচেতনতা খাতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করে, সেক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই বিশ্ব থেকে এইডসের নির্মূল সম্ভব।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন এইডস নির্মূল বিষয়ক জাতিসংঘের বৈশ্বিক প্রকল্প ইউএনএইডসের নির্বাহী পরিচালক উইনি বায়ানিমা।

এইডস নির্মূল বিষয়ক জাতিসংঘের বৈশ্বিক প্রকল্প ইউএনএইডসের নির্বাহী পরিচালক উইনি বায়ানিমা বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রকল্পের গত ৮ বছরের কার্যক্রমের সাফল্য তুলে ধরে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, বৈশ্বিক দাতা দেশ ও সংস্থাগুলো এগিয়ে এলে পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বকে চিরতরে এইডসের অভিশাপমুক্ত করা সম্ভব।

‘এইডস এখনও নির্মূল করা সম্ভব হয়নি, কিন্তু প্রতিরোধ অভিযান এখন যে পর্যায়ে রয়েছে—তাতে দাতারা এগিয়ে এলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই বৈশ্বিকভাবে আমরা এইডসকে বিদায় জানাতে পারব; আর যদি তা না হয়— সেক্ষেত্রে আরও কয়েক দশক অপেক্ষা করতে হবে বিশ্বকে। আমরা এ দু’টি পথের যে কোনো একটি বেছে নিতে পারি।’

২০১৫ সালে ইউএনএইড নামের এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করে জাতিসংঘ। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই প্রকল্পটির লক্ষ্য ছিল পরবর্তী ১৫ বছর, অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বকে এইডসমুক্ত করা।

প্রসঙ্গত, অ্যাকোয়ার্ড ইমিউনো ডেফিশিয়েন্সি সিনড্রোম বা এইডস আসলে একই সঙ্গে রোগ এবং রোগলক্ষণসমষ্টি। হিউম্যান ইমিউনো ভাইরাস (এইচআইভি) নামের বিশেষ একটি ভাইরাস এই রোগের জন্য দায়ী।

মানবদেহে এই ভাইরাসটি প্রবেশ করতে সক্ষম হলে সেটি মানুষের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও প্রতিরক্ষাকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে, একজন এইডস রোগী খুব সহজেই যে কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন, যা শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু ঘটাতে পারে।

১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এইডসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ওই বছরই দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) এই রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস এইচআইভিও শনাক্ত করে।

বিজনেস আওয়ার/ ১৫ জুলাই,২০২৩/ এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: