ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক লটারিতে ভাগ্য খুললো ১১ নারীর

  • পোস্ট হয়েছে : ০৮:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩
  • 6

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের কেরালা রাজ্যের ১১ নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মী গত জুন মাসে সরকারি একটি লটারির টিকিট কেনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন। লটারি কিনেই হয়েছে বাজিমাত।

গত বুধবার লটারিটির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। তাতে বিজয়ী হয়েছেন ওই ১১ নারী। পুরস্কার হিসেবে লটারিতে ১০ কোটি রুপি জিতেছেন তারা। পুরস্কার জয়ের পর অনেকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।

কেরালার মালাপ্পুরম জেলার পারাপ্পানগাদি শহরের বিভিন্ন বাড়ি থেকে অজৈব বর্জ্য সংগ্রহ করেন তারা। এ জন্য বাড়িওয়ালাদের দেওয়া চাঁদা থেকে দৈনিক প্রায় ২৫০ রুপি মজুরি পান প্রত্যেকে। এছাড়া মাঝে মাঝে স্থানীয় করপোরেশন নারীদের সংগ্রহ করা বর্জ্য থেকে পাওয়া কিছু ভাঙরি পণ্য বিক্রি করে আলাদাভাবে কিছু অর্থও তাদের দেয়।

কিন্তু এই অর্থ দিয়ে তাদের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না। অধিকাংশ নারীই তাদের সন্তানদের লেখাপড়া ও অন্যান্য খরচ চালানোর জন্য অন্যদের কাছে অর্থ ধার এবং ঋণও করেছেন।

এ কারণে তারা মাঝেমধ্যে লটারির টিকিট কেনার জন্য এক হতেন। অর্থাৎ সবাই মিলে অর্থ ভাগাভাগি করে একটি টিকিট কিনতেন। ভারতের অনেক রাজ্যে লটারি অবৈধ হলেও কেরালার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি লটারি কর্মসূচি চলমান আছে। তবে বেসরকারি পর্যায়ে এই রাজ্যেও লটারি পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

নারীদের ওই দলের পক্ষে সাধারণত টিকিট কেনার কাজ করেন এমপি রাধা। এই নারী বলেন, একবার আমরা এক হাজার রুপির পুরস্কার জিতেছিলাম। পরে তা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছি।

গত মাসে ১১ জনের এই দলটি ২৫০ রুপির মৌসুমি বাম্পার প্রাইজ লটারি কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। কেরালায় বিশেষ কোনও অনুষ্ঠান যেমন উৎসবের জন্য বাম্পার প্রাইজ লটারি ছাড়া হয়।

৭২ বছর বয়সী কুত্তিমালু বলেন, রাধা যখন টিকিট কেনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলেন, তখন তার মন খারাপ ছিল। কারণ তার কাছে টিকিটের ভাগ নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না।

বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘তখন চেরুমানিল বেবি (দলের অপর এক সদস্য) আমাকে বলেন, তার কাছে ২৫ রুপি আছে এবং টিকিটের জন্য আমাকে এর অর্ধেক ধার দিতে চান তিনি।’

পরে এই দুই নারী তাদের টিকিটের ভাগের জন্য সাড়ে ১২ রুপি করে দেন এবং অন্য ৯ জন দেন ২৫ রুপি করে। কুত্তিমালু বলেন, আমরা লটারিতে কিছু জিতলে সমানভাবে ভাগ করে নেব বলে সবাই রাজি হয়ে যাই। এত বড় অঙ্কের পুরস্কার জিতব তা আমরা আশা করিনি!

এই নারীদের একজন তার স্বামীকে লটারির ফলাফল দেখার জন্য বলেছিলেন। ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার একদিন পর তারা জানতে পারেন, লটারি জিতেছেন। রাধা বলেন, আমরা বাম্পার পুরস্কারের জন্য চতুর্থবারের মতো একটি টিকিট কিনেছিলাম। চতুর্থবারে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়েছে।

৬২ বছর বয়সী বেবি বলেন, তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, তাদের দলটি জ্যাকপট জিতেছে। ‘ভাগ্য কখনই আমার পাশে ছিল না,’ বলেন তিনি। ২০১৮ সালে কেরালায় ভয়াবহ বন্যায় তার বাড়ি ভেসে যায়। লটারিতে পাওয়া অর্থ দিয়ে এখন একটি বাড়ি তৈরির পাশাপাশি ঋণ পরিশোধ করার পরিকল্পনা করছেন তিনি।

পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের এই দলটির প্রত্যেক নারীর গল্প প্রায় একই রকম। ৫০ বছর বয়সী বিন্দু গত বছর তার স্বামীকে হারিয়েছেন। কিডনি বিকল হয়ে মারা গেছেন তার স্বামী। কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ জোগাড় করতে ব্যর্থ হয়েছিল তার পরিবার।

বিন্দু বলেন, আমরা ডায়ালাইসিসের জন্য যে অর্থ জমিয়েছিলাম তা দিয়ে লটারির টিকিট কিনতেন তার স্বামী। আমাদের বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ না করেই চলে গেলেন তিনি। আমাকে এখন এই কাজ শেষ করতে হবে।

১৫ বছর বয়সী এক মেয়ে আছে বিন্দুর। এখন লটারিতে পাওয়া অর্থ দিয়ে তাকে শিক্ষিত করে তুলতে চান তিনি; যাতে সে একটি ভালো চাকরি পায়।

পরিচ্ছন্নতাকর্মী দলের ৪৯ বছর বয়সী সদস্য লক্ষ্মী বলেন, লটারি জেতার আগের রাতেও তার পরিবার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ছিল। তার স্বামী একজন নির্মাণ শ্রমিক। রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে কাজ পেতে বেগ পোহাতে হচ্ছে তাকে। এই দম্পতি এখন হাফ ছেড়ে বাঁচছেন। কারণ মেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে নেওয়ার মতো অর্থ এখন তাদের কাছে আছে।

৫৬ বছর বয়সী লীলা তার মেয়ের অস্ত্রোপচারের অর্থ কীভাবে জোগাড় করবেন, তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যে আমার বাড়ির বিপরীতে মেয়ের বিয়ের জন্য ঋণও করেছিলাম।’

সরকারি কর কেটে নেওয়ার পর ১১ জনের ওই দলটি লটারির ৬ কোটি ৩০ লাখ রুপি পাবে। বেবি ও কুত্তিমালু তাদের ভাগের ৬৩ লাখ রুপি নিজেদের মাঝে সমানভাবে ভাগ করে নেবেন। কারণ তারা দুজন মিলে টিকিটের একটি ভাগ কিনেছিলেন। আর অন্যদের প্রত্যেকে ৬৩ লাখ রুপি করে পাবেন।

কেরালাজুড়ে বর্জ্য সংগ্রহ ও পাবলিক টয়লেট নির্মাণ কাজের সমন্বয় করে স্থানীয় একটি সংস্থা। সুচিৎওয়া মিশন নামের এই সংস্থাটির পরিচালক কেটি বালাভাস্কারন বলেন, বর্জ্য সংগ্রহের পাশাপাশি ওই নারীরা পাবলিক টয়লেট তৈরি ও বর্জ্য অপসারণের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকরণ স্থাপনে সহায়তা করেন।

জীবন বদলে দেওয়া লটারি জয়ের পরদিন গত শুক্রবার ওই ১১ জন নারী পুনরায় তাদের যোগ দিতে সংস্থাটির অফিসে যান। ওই নারীদের একজন লীলা। তিনি বলেন, আমরা একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। সেটা হলো আমরা এই চাকরি ছাড়ব না। কারণ এখানকার অর্থই আমাদের সৌভাগ্য বয়ে এনেছে।

সূত্র: বিবিসি।

বিজনেস আওয়ার/০১ আগস্ট, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

এক লটারিতে ভাগ্য খুললো ১১ নারীর

পোস্ট হয়েছে : ০৮:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের কেরালা রাজ্যের ১১ নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মী গত জুন মাসে সরকারি একটি লটারির টিকিট কেনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন। লটারি কিনেই হয়েছে বাজিমাত।

গত বুধবার লটারিটির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। তাতে বিজয়ী হয়েছেন ওই ১১ নারী। পুরস্কার হিসেবে লটারিতে ১০ কোটি রুপি জিতেছেন তারা। পুরস্কার জয়ের পর অনেকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।

কেরালার মালাপ্পুরম জেলার পারাপ্পানগাদি শহরের বিভিন্ন বাড়ি থেকে অজৈব বর্জ্য সংগ্রহ করেন তারা। এ জন্য বাড়িওয়ালাদের দেওয়া চাঁদা থেকে দৈনিক প্রায় ২৫০ রুপি মজুরি পান প্রত্যেকে। এছাড়া মাঝে মাঝে স্থানীয় করপোরেশন নারীদের সংগ্রহ করা বর্জ্য থেকে পাওয়া কিছু ভাঙরি পণ্য বিক্রি করে আলাদাভাবে কিছু অর্থও তাদের দেয়।

কিন্তু এই অর্থ দিয়ে তাদের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না। অধিকাংশ নারীই তাদের সন্তানদের লেখাপড়া ও অন্যান্য খরচ চালানোর জন্য অন্যদের কাছে অর্থ ধার এবং ঋণও করেছেন।

এ কারণে তারা মাঝেমধ্যে লটারির টিকিট কেনার জন্য এক হতেন। অর্থাৎ সবাই মিলে অর্থ ভাগাভাগি করে একটি টিকিট কিনতেন। ভারতের অনেক রাজ্যে লটারি অবৈধ হলেও কেরালার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি লটারি কর্মসূচি চলমান আছে। তবে বেসরকারি পর্যায়ে এই রাজ্যেও লটারি পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

নারীদের ওই দলের পক্ষে সাধারণত টিকিট কেনার কাজ করেন এমপি রাধা। এই নারী বলেন, একবার আমরা এক হাজার রুপির পুরস্কার জিতেছিলাম। পরে তা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছি।

গত মাসে ১১ জনের এই দলটি ২৫০ রুপির মৌসুমি বাম্পার প্রাইজ লটারি কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। কেরালায় বিশেষ কোনও অনুষ্ঠান যেমন উৎসবের জন্য বাম্পার প্রাইজ লটারি ছাড়া হয়।

৭২ বছর বয়সী কুত্তিমালু বলেন, রাধা যখন টিকিট কেনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলেন, তখন তার মন খারাপ ছিল। কারণ তার কাছে টিকিটের ভাগ নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না।

বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘তখন চেরুমানিল বেবি (দলের অপর এক সদস্য) আমাকে বলেন, তার কাছে ২৫ রুপি আছে এবং টিকিটের জন্য আমাকে এর অর্ধেক ধার দিতে চান তিনি।’

পরে এই দুই নারী তাদের টিকিটের ভাগের জন্য সাড়ে ১২ রুপি করে দেন এবং অন্য ৯ জন দেন ২৫ রুপি করে। কুত্তিমালু বলেন, আমরা লটারিতে কিছু জিতলে সমানভাবে ভাগ করে নেব বলে সবাই রাজি হয়ে যাই। এত বড় অঙ্কের পুরস্কার জিতব তা আমরা আশা করিনি!

এই নারীদের একজন তার স্বামীকে লটারির ফলাফল দেখার জন্য বলেছিলেন। ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার একদিন পর তারা জানতে পারেন, লটারি জিতেছেন। রাধা বলেন, আমরা বাম্পার পুরস্কারের জন্য চতুর্থবারের মতো একটি টিকিট কিনেছিলাম। চতুর্থবারে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়েছে।

৬২ বছর বয়সী বেবি বলেন, তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, তাদের দলটি জ্যাকপট জিতেছে। ‘ভাগ্য কখনই আমার পাশে ছিল না,’ বলেন তিনি। ২০১৮ সালে কেরালায় ভয়াবহ বন্যায় তার বাড়ি ভেসে যায়। লটারিতে পাওয়া অর্থ দিয়ে এখন একটি বাড়ি তৈরির পাশাপাশি ঋণ পরিশোধ করার পরিকল্পনা করছেন তিনি।

পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের এই দলটির প্রত্যেক নারীর গল্প প্রায় একই রকম। ৫০ বছর বয়সী বিন্দু গত বছর তার স্বামীকে হারিয়েছেন। কিডনি বিকল হয়ে মারা গেছেন তার স্বামী। কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ জোগাড় করতে ব্যর্থ হয়েছিল তার পরিবার।

বিন্দু বলেন, আমরা ডায়ালাইসিসের জন্য যে অর্থ জমিয়েছিলাম তা দিয়ে লটারির টিকিট কিনতেন তার স্বামী। আমাদের বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ না করেই চলে গেলেন তিনি। আমাকে এখন এই কাজ শেষ করতে হবে।

১৫ বছর বয়সী এক মেয়ে আছে বিন্দুর। এখন লটারিতে পাওয়া অর্থ দিয়ে তাকে শিক্ষিত করে তুলতে চান তিনি; যাতে সে একটি ভালো চাকরি পায়।

পরিচ্ছন্নতাকর্মী দলের ৪৯ বছর বয়সী সদস্য লক্ষ্মী বলেন, লটারি জেতার আগের রাতেও তার পরিবার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ছিল। তার স্বামী একজন নির্মাণ শ্রমিক। রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে কাজ পেতে বেগ পোহাতে হচ্ছে তাকে। এই দম্পতি এখন হাফ ছেড়ে বাঁচছেন। কারণ মেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে নেওয়ার মতো অর্থ এখন তাদের কাছে আছে।

৫৬ বছর বয়সী লীলা তার মেয়ের অস্ত্রোপচারের অর্থ কীভাবে জোগাড় করবেন, তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যে আমার বাড়ির বিপরীতে মেয়ের বিয়ের জন্য ঋণও করেছিলাম।’

সরকারি কর কেটে নেওয়ার পর ১১ জনের ওই দলটি লটারির ৬ কোটি ৩০ লাখ রুপি পাবে। বেবি ও কুত্তিমালু তাদের ভাগের ৬৩ লাখ রুপি নিজেদের মাঝে সমানভাবে ভাগ করে নেবেন। কারণ তারা দুজন মিলে টিকিটের একটি ভাগ কিনেছিলেন। আর অন্যদের প্রত্যেকে ৬৩ লাখ রুপি করে পাবেন।

কেরালাজুড়ে বর্জ্য সংগ্রহ ও পাবলিক টয়লেট নির্মাণ কাজের সমন্বয় করে স্থানীয় একটি সংস্থা। সুচিৎওয়া মিশন নামের এই সংস্থাটির পরিচালক কেটি বালাভাস্কারন বলেন, বর্জ্য সংগ্রহের পাশাপাশি ওই নারীরা পাবলিক টয়লেট তৈরি ও বর্জ্য অপসারণের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকরণ স্থাপনে সহায়তা করেন।

জীবন বদলে দেওয়া লটারি জয়ের পরদিন গত শুক্রবার ওই ১১ জন নারী পুনরায় তাদের যোগ দিতে সংস্থাটির অফিসে যান। ওই নারীদের একজন লীলা। তিনি বলেন, আমরা একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। সেটা হলো আমরা এই চাকরি ছাড়ব না। কারণ এখানকার অর্থই আমাদের সৌভাগ্য বয়ে এনেছে।

সূত্র: বিবিসি।

বিজনেস আওয়ার/০১ আগস্ট, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: