ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিজানের বিরুদ্ধে নিজের সংগঠনেরই চাদাঁবাজির অভিযোগ

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • 76

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি এ.কে.এম মিজানুর রশীদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চাদাঁবাজির অভিযোগ করা হচ্ছে সংগঠনটির ফেসবুক পেজ থেকে। এছাড়া তার সংগঠনে কোন ধরনের নিয়ম ছাড়াই টানা সভাপতি থাকা নিয়েও তোলা হচ্ছে প্রশ্ন। এসব কারনে তাকে সংগঠন থেকে অপসারনের দাবিও জানানো হচ্ছে।

মিজান শেয়ারবাজারে অনেকটা বিনিয়োগ না করেও সংগঠনটির সভাপতি হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। যিনি শেয়ারবাজারে মন্দাবস্থা দেখা দিলেই রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়েন। নিংশ্ব হয়ে গেছেন, রাস্তার ফকির হয়ে গেছেন, বিভিন্ন জনের পদত্যাগ চাই ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে উত্তাপ ছড়ানোর চেষ্টা করেন। অথচ শেয়ারবাজারে নিজের বিনিয়োগ মাত্র বেক্সিমকো লিমিটেডের ২০০ শেয়ার। এই বিনিয়োগ সত্ত্বেও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এমনটি করেন বলে দাবি করা হলেও এর পেছনে দূরভীসন্ধি নিয়ে অনেক আগে থেকেই প্রশ্ন রয়েছে।

মিজানের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ও মিছিল মিটিংয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে ২০১৯ সালে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যেখানে তার পোর্টফোলিওসহ তথ্য প্রকাশ করা হয়। যে বিনিয়োগ না করলেও একাধিক পোর্টফোলিও খুলেন। এজন্য নিজের মা-বাবার নামও পরিবর্তন করে ফেলেন।

এখন সংগঠনটির ফেসবুক পেজ থেকেই বিনিয়োগ না করেও বিনিয়োগকারীদের জন্য আন্দোলনের পেছনে তার উদ্দেশ্য কি, তা পরিস্কার করা হচ্ছে। তিনি বিভিন্ন সময় চাদাঁবাজি করেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। যে ফেসবুক পেজে কিছুদিন আগে তার বিভিন্ন ভিডিও প্রকাশ করা হতো। যার এডমিন হিসেবে রয়েছেন সংগঠনটির সদস্য শুভ নামের এক বিনিয়োগকারী।

গত ৮ সেপ্টেম্বর মাল্টি সিকিউরিটিজে গিয়ে মিজান চাদাঁ দাবি করেছেন বলে ঐক্য পরিষদের ফেসবুক পেজে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তিনি লেনদেনের কমিশন কমানোর লক্ষ্যে সেখানে গিয়ে চাদাঁ দাবি করেন। এতে তার সঙ্গে যাওয়া সংগঠনের অন্যরা হতভম্ব হয়ে পড়ে। পুজিহীন এই নেতার এমন আচরনে অন্যরা সুযোগবুঝে কেটে পড়েন বলেও জানানো হয়েছে।

মিজানের বিরুদ্ধে প্রতারক থেকে সাবধান করেও ফেকবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে। তার সাধু সেজে প্রতিবাদের নামে সম্মানিত মানুষদের ফেসবুকে অসম্মানিত করা মূল উদ্দেশ বলে জানানো হয়েছে। এরপরে তাদের কাছ থেকে উপঢৌকন আদায়, সেটা মন মতো না হলে আবার ভিডিও মেসেজ। দিন শেষে তিনিই সাধু সেজে সব জায়গায় মানুষের বদনাম গেয়ে যান। যিনি আর কিউ নন পুঁজিহীন সভাপতি। এই পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।

আরেক স্ট্যাটাসে বিতর্কিত কাউকে সভাপতি হিসেবে চাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা বলে দাবি করা হয়েছে। অনেকেই মিজানের বিনিয়োগ ৫০০ টাকা দাবি করেন বলে জানানো হয়। যা একটি ব্যানার তৈরির খরচ। তাকে উদ্দেশ্য করে ওই স্ট্যাটাসে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান সবখানে করার আহবান করা হয়েছে।

তবে এ চাদাঁবাজির বিষয়টি অস্বীকার করে মিজান বিজনেস আওয়ারকে বলেন, যারা স্ট্যাটাস দিচ্ছে, তারাই চাদাঁবাজি করছে। আমি থাকলে তাদের চাদাঁবাজির সমস্যা হবে। এজন্য তারা আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। আর আমি যদি চাদাঁবাজি করতাম, তাহলে আমার শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ নেই কেনো?

বিজনেস আওয়ার/১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১/এস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মিজানের বিরুদ্ধে নিজের সংগঠনেরই চাদাঁবাজির অভিযোগ

পোস্ট হয়েছে : ১১:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি এ.কে.এম মিজানুর রশীদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চাদাঁবাজির অভিযোগ করা হচ্ছে সংগঠনটির ফেসবুক পেজ থেকে। এছাড়া তার সংগঠনে কোন ধরনের নিয়ম ছাড়াই টানা সভাপতি থাকা নিয়েও তোলা হচ্ছে প্রশ্ন। এসব কারনে তাকে সংগঠন থেকে অপসারনের দাবিও জানানো হচ্ছে।

মিজান শেয়ারবাজারে অনেকটা বিনিয়োগ না করেও সংগঠনটির সভাপতি হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। যিনি শেয়ারবাজারে মন্দাবস্থা দেখা দিলেই রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়েন। নিংশ্ব হয়ে গেছেন, রাস্তার ফকির হয়ে গেছেন, বিভিন্ন জনের পদত্যাগ চাই ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে উত্তাপ ছড়ানোর চেষ্টা করেন। অথচ শেয়ারবাজারে নিজের বিনিয়োগ মাত্র বেক্সিমকো লিমিটেডের ২০০ শেয়ার। এই বিনিয়োগ সত্ত্বেও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এমনটি করেন বলে দাবি করা হলেও এর পেছনে দূরভীসন্ধি নিয়ে অনেক আগে থেকেই প্রশ্ন রয়েছে।

মিজানের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ও মিছিল মিটিংয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে ২০১৯ সালে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যেখানে তার পোর্টফোলিওসহ তথ্য প্রকাশ করা হয়। যে বিনিয়োগ না করলেও একাধিক পোর্টফোলিও খুলেন। এজন্য নিজের মা-বাবার নামও পরিবর্তন করে ফেলেন।

এখন সংগঠনটির ফেসবুক পেজ থেকেই বিনিয়োগ না করেও বিনিয়োগকারীদের জন্য আন্দোলনের পেছনে তার উদ্দেশ্য কি, তা পরিস্কার করা হচ্ছে। তিনি বিভিন্ন সময় চাদাঁবাজি করেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। যে ফেসবুক পেজে কিছুদিন আগে তার বিভিন্ন ভিডিও প্রকাশ করা হতো। যার এডমিন হিসেবে রয়েছেন সংগঠনটির সদস্য শুভ নামের এক বিনিয়োগকারী।

গত ৮ সেপ্টেম্বর মাল্টি সিকিউরিটিজে গিয়ে মিজান চাদাঁ দাবি করেছেন বলে ঐক্য পরিষদের ফেসবুক পেজে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তিনি লেনদেনের কমিশন কমানোর লক্ষ্যে সেখানে গিয়ে চাদাঁ দাবি করেন। এতে তার সঙ্গে যাওয়া সংগঠনের অন্যরা হতভম্ব হয়ে পড়ে। পুজিহীন এই নেতার এমন আচরনে অন্যরা সুযোগবুঝে কেটে পড়েন বলেও জানানো হয়েছে।

মিজানের বিরুদ্ধে প্রতারক থেকে সাবধান করেও ফেকবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে। তার সাধু সেজে প্রতিবাদের নামে সম্মানিত মানুষদের ফেসবুকে অসম্মানিত করা মূল উদ্দেশ বলে জানানো হয়েছে। এরপরে তাদের কাছ থেকে উপঢৌকন আদায়, সেটা মন মতো না হলে আবার ভিডিও মেসেজ। দিন শেষে তিনিই সাধু সেজে সব জায়গায় মানুষের বদনাম গেয়ে যান। যিনি আর কিউ নন পুঁজিহীন সভাপতি। এই পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।

আরেক স্ট্যাটাসে বিতর্কিত কাউকে সভাপতি হিসেবে চাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা বলে দাবি করা হয়েছে। অনেকেই মিজানের বিনিয়োগ ৫০০ টাকা দাবি করেন বলে জানানো হয়। যা একটি ব্যানার তৈরির খরচ। তাকে উদ্দেশ্য করে ওই স্ট্যাটাসে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান সবখানে করার আহবান করা হয়েছে।

তবে এ চাদাঁবাজির বিষয়টি অস্বীকার করে মিজান বিজনেস আওয়ারকে বলেন, যারা স্ট্যাটাস দিচ্ছে, তারাই চাদাঁবাজি করছে। আমি থাকলে তাদের চাদাঁবাজির সমস্যা হবে। এজন্য তারা আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। আর আমি যদি চাদাঁবাজি করতাম, তাহলে আমার শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ নেই কেনো?

বিজনেস আওয়ার/১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১/এস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: