ঢাকা , বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে ৬ শতাংশ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • 3

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ অর্জিত হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। যদিও গত এপ্রিলে দেওয়া পূর্বাভাসে ৬.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির অনুমান করেছিল সংস্থাটি।

মরক্কোতে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক বৈঠক ঘিরে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক শীর্ষক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৬ শতাংশ এবং আগামী ২০২৮ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে ৭ শতাংশ। অর্থাৎ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অর্জন বেগবান হবে।

আইএমএফের পূর্বাভাসে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ ধরা হলেও গত সেপ্টেম্বরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) জানিয়েছিল, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬.৫ শতাংশ। অন্যদিকে বিশ্বব্যাংক বলেছে, চলতি অর্থবছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৬ শতাংশ। তবে চলতি অর্থবছর নিয়ে সরকার ৭.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ফলে সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উন্নয়ন সংস্থাগুলোর পূর্বাভাসে প্রবৃদ্ধি অনেক কম দেখা যাচ্ছে।

আইএমএফ জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা ৭.৯ শতাংশ এবং ২০২৮ সালে তা ৫.৫ শতাংশে নামতে পারে। এ ছাড়া চলতি হিসাবে ভারসাম্যে ঘাটতি অব্যাহত থাকবে। তারা বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে চলতি হিসাবের ঘাটতি জিডিপির ০.৭ শতাংশ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা ০.৮ শতাংশ হতে পারে।

আইএমএফের প্রতিবেদনে বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে বলা হয়, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার ২০২২ সালে ছিল ৩.৫ শতাংশ, যা চলতি বছরে নেমে আসবে ৩ শতাংশে এবং ২০২৪ সালে আরো কমে দাঁড়াবে ২.৫ শতাংশে। ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিশ্ব অর্থনীতি যে ৩.৮ শতাংশের গড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, সেই বিচারে এটা ঐতিহাসিকভাবে নিম্ন অবস্থান।

সংস্থাটি বলেছে, মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিজনিত সংকট থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে বিশ্ব অর্থনীতি। যুদ্ধের কারণে খাদ্য ও জ্বালানি বাজার বিঘ্নিত হয়েছে; সেই সঙ্গে উচ্চ মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে নীতি সুদহার অভূতপূর্ব হারে বাড়ানো হয়েছে। এসব কারণে বিশ্ব অর্থনীতি গতি হারালেও থমকে যায়নি।

বলা হয়, প্রবৃদ্ধি যে সবখানে একই হারে হচ্ছে তা নয়; সেই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক মতানৈক্য বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।

বিজনেস আওয়ার/১০ অক্টোবর, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে ৬ শতাংশ

পোস্ট হয়েছে : ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ অর্জিত হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। যদিও গত এপ্রিলে দেওয়া পূর্বাভাসে ৬.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির অনুমান করেছিল সংস্থাটি।

মরক্কোতে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক বৈঠক ঘিরে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক শীর্ষক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৬ শতাংশ এবং আগামী ২০২৮ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে ৭ শতাংশ। অর্থাৎ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অর্জন বেগবান হবে।

আইএমএফের পূর্বাভাসে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ ধরা হলেও গত সেপ্টেম্বরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) জানিয়েছিল, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬.৫ শতাংশ। অন্যদিকে বিশ্বব্যাংক বলেছে, চলতি অর্থবছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৬ শতাংশ। তবে চলতি অর্থবছর নিয়ে সরকার ৭.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ফলে সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উন্নয়ন সংস্থাগুলোর পূর্বাভাসে প্রবৃদ্ধি অনেক কম দেখা যাচ্ছে।

আইএমএফ জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা ৭.৯ শতাংশ এবং ২০২৮ সালে তা ৫.৫ শতাংশে নামতে পারে। এ ছাড়া চলতি হিসাবে ভারসাম্যে ঘাটতি অব্যাহত থাকবে। তারা বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে চলতি হিসাবের ঘাটতি জিডিপির ০.৭ শতাংশ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা ০.৮ শতাংশ হতে পারে।

আইএমএফের প্রতিবেদনে বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে বলা হয়, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার ২০২২ সালে ছিল ৩.৫ শতাংশ, যা চলতি বছরে নেমে আসবে ৩ শতাংশে এবং ২০২৪ সালে আরো কমে দাঁড়াবে ২.৫ শতাংশে। ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিশ্ব অর্থনীতি যে ৩.৮ শতাংশের গড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, সেই বিচারে এটা ঐতিহাসিকভাবে নিম্ন অবস্থান।

সংস্থাটি বলেছে, মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিজনিত সংকট থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে বিশ্ব অর্থনীতি। যুদ্ধের কারণে খাদ্য ও জ্বালানি বাজার বিঘ্নিত হয়েছে; সেই সঙ্গে উচ্চ মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে নীতি সুদহার অভূতপূর্ব হারে বাড়ানো হয়েছে। এসব কারণে বিশ্ব অর্থনীতি গতি হারালেও থমকে যায়নি।

বলা হয়, প্রবৃদ্ধি যে সবখানে একই হারে হচ্ছে তা নয়; সেই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক মতানৈক্য বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।

বিজনেস আওয়ার/১০ অক্টোবর, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: