ঢাকা , শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১ নভেম্বর চালু হচ্ছে দেশীয় মুদ্রার কার্ড ‘টাকা পে’

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
  • 3

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বিদেশি কার্ডের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে আগামী ১ নভেম্বর ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড ‘টাকা পে’ চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (১ নভেম্বর) কার্ডটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ‘টাকা পে’ চালু হবে। বাংলাদেশের ব্যাংকের সহযোগিতায় কার্ডটি ইস্যু করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্র্যাক।

বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত ইলেকট্রনিক পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ’ ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয়ভাবে একই সেবা দেবে ‘টাকা পে’। প্রাথমিকভাবে অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য এটি চালু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক, পরে টাকা-রুপি কার্ড চালু করা হবে। যা দিয়ে গ্রাহক ভারতে লেনদেন করতে পারবে।

ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর পেমেন্ট নেটওয়ার্ক ভিসা ও মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে টাকার ইলেক্ট্রনিক স্থানান্তর করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রিপেইড কার্ডের জন্য ব্র্যান্ডেড পেমেন্ট প্রসেসিং পরিষেবা দেয়। দেশীয় কার্ড ‘টাকা পে’ একই সেবা দেবে।

প্রতিবেশী দেশগুলোতেও এমন নিজস্ব কার্ড আছে, সেগুলো হলো— ভারতের কার্ড ‘রুপে’, পাকিস্তানের ‘পাকপে’, শ্রীলংকার ‘লংকাপে’ ও সৌদি আরবে আছে ‘মাদা’।

এর আগে, গত ২ জুন বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড প্রণয়নের উদ্যোগের কথা জানান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে ভিসা, মাস্টার বা বাইরের কোম্পানিগুলোর ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড আছে। আমাদের নিজস্ব কোনো কার্ড ছিল না। এর ইউজার ছিল রেস্ট্রিকটেড। যে ফি দেওয়া হয় এটা অনেকটা বাইরে চলে যায়। আমরা ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড তৈরি করছি। সব ব্যাংক ও ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন এক কার্ড ব্যবহার করবে। এটার প্রচলন হলে আমরা মনে করি টাকার পরিবর্তে এই কার্ডের ব্যবহার বেড়ে যাবে।’

গভর্নর জানান, এ কার্ড থাকলে গ্রাহকেরা বাংলাদেশে এটিকে ডেবিট কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। যেকোনো কেনাকাটা করতে পারবেন। আবার যখন ভারতে যাবেন, তখনো এ কার্ড দিয়েই ভ্রমণ কোটায় ১২ হাজার ডলার খরচ করতে পারবেন। এতে অনেক ডলার বাঁচবে।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

১ নভেম্বর চালু হচ্ছে দেশীয় মুদ্রার কার্ড ‘টাকা পে’

পোস্ট হয়েছে : ০২:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বিদেশি কার্ডের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে আগামী ১ নভেম্বর ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড ‘টাকা পে’ চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (১ নভেম্বর) কার্ডটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ‘টাকা পে’ চালু হবে। বাংলাদেশের ব্যাংকের সহযোগিতায় কার্ডটি ইস্যু করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্র্যাক।

বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত ইলেকট্রনিক পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ’ ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয়ভাবে একই সেবা দেবে ‘টাকা পে’। প্রাথমিকভাবে অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য এটি চালু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক, পরে টাকা-রুপি কার্ড চালু করা হবে। যা দিয়ে গ্রাহক ভারতে লেনদেন করতে পারবে।

ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর পেমেন্ট নেটওয়ার্ক ভিসা ও মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে টাকার ইলেক্ট্রনিক স্থানান্তর করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রিপেইড কার্ডের জন্য ব্র্যান্ডেড পেমেন্ট প্রসেসিং পরিষেবা দেয়। দেশীয় কার্ড ‘টাকা পে’ একই সেবা দেবে।

প্রতিবেশী দেশগুলোতেও এমন নিজস্ব কার্ড আছে, সেগুলো হলো— ভারতের কার্ড ‘রুপে’, পাকিস্তানের ‘পাকপে’, শ্রীলংকার ‘লংকাপে’ ও সৌদি আরবে আছে ‘মাদা’।

এর আগে, গত ২ জুন বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড প্রণয়নের উদ্যোগের কথা জানান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে ভিসা, মাস্টার বা বাইরের কোম্পানিগুলোর ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড আছে। আমাদের নিজস্ব কোনো কার্ড ছিল না। এর ইউজার ছিল রেস্ট্রিকটেড। যে ফি দেওয়া হয় এটা অনেকটা বাইরে চলে যায়। আমরা ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড তৈরি করছি। সব ব্যাংক ও ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন এক কার্ড ব্যবহার করবে। এটার প্রচলন হলে আমরা মনে করি টাকার পরিবর্তে এই কার্ডের ব্যবহার বেড়ে যাবে।’

গভর্নর জানান, এ কার্ড থাকলে গ্রাহকেরা বাংলাদেশে এটিকে ডেবিট কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। যেকোনো কেনাকাটা করতে পারবেন। আবার যখন ভারতে যাবেন, তখনো এ কার্ড দিয়েই ভ্রমণ কোটায় ১২ হাজার ডলার খরচ করতে পারবেন। এতে অনেক ডলার বাঁচবে।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: