ঢাকা , বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএসএমএমইউয়ে মেধার যথাযথ মূল্যায়ন হয় : ভিসি

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
  • 2

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) যারা ভর্তি হন, তাদের মেধার যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, চিকিৎসকদের নিজেদেরকে শানিত করতে নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা ও ওয়ার্ডে কাজ করতে হয়। এখানে ক্লাস পরীক্ষাও যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে হয়।

শনিবার (৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-ব্লক অডিটোরিয়ামে মার্চ-২০২৪ সেশনে এমডি/এমএস প্রোগ্রাম ফেইজ-এ ভর্তি হওয়া রেসিডেন্টদের ইনডাকশন প্রোগ্রামে তিনি এ কথা বলেন।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ১২ হাজার চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ হিসেবে পাস করে বেড়িয়ে গেছেন। তারা জাতিকে সেবা দিচ্ছেন। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা আরও দরকার।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতি এক লাখে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকা উচিত। কিন্তু আমরা জানি অ্যানেসথেসিয়া, ইএনটির মতো বিষয়ে সে সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। বেসিক সাবজেক্টে একই অবস্থা।

উপাচার্য বলেন, গতকাল আমাদের এমফিল অ্যানাটমিতে যে ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে, সেখানে আমরা ভর্তি করতে পারি ৩৬ জন। কিন্তু ভর্তির জন্য আবেদন করেছে মাত্র ২৬ জন। চান্স পেয়েছে ১৪ জন। গত এমডি অ্যানাটমি কোর্সের ভর্তির পরীক্ষার সময় দেখলাম সিট ৭১টি, আবেদন করেছে ৪৯ জন, কিন্তু চান্স পেয়েছে ২৯ জন। এখনও আমরা বেসিক সাবজেক্টকে চিকিৎসকদের আকৃষ্ট করতে পারছি না।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বেসিক সাবজেক্ট বায়োকেমিস্ট্রি, ফার্মাকোলোজি, ফরেনসিক মেডিসিন ও অ্যানেসথেসিয়ার মতো বিষয়ে ইনসেনটিভ দিতে হবে। তাদের বয়স বৃদ্ধি করতে হবে। অন্যথায় আমরা অভিজ্ঞ কাউকে পাব না। আমরা গত তিন বছরে বেসিক সাবজেক্টে অনেক আসন বাড়িয়েছি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার, বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহসহ আরও অনেকে।

জানা গেছে, এবার ইনডাকশন প্রোগ্রামে ১ হাজার ৪২৩ জন চিকিৎসক অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হওয়ার জন্য শপথ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে রেসিডেন্টদের শপথ বাক্য পাঠ করান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সর্বাধিক পঠিত

বিএসএমএমইউয়ে মেধার যথাযথ মূল্যায়ন হয় : ভিসি

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) যারা ভর্তি হন, তাদের মেধার যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, চিকিৎসকদের নিজেদেরকে শানিত করতে নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা ও ওয়ার্ডে কাজ করতে হয়। এখানে ক্লাস পরীক্ষাও যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে হয়।

শনিবার (৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-ব্লক অডিটোরিয়ামে মার্চ-২০২৪ সেশনে এমডি/এমএস প্রোগ্রাম ফেইজ-এ ভর্তি হওয়া রেসিডেন্টদের ইনডাকশন প্রোগ্রামে তিনি এ কথা বলেন।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ১২ হাজার চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ হিসেবে পাস করে বেড়িয়ে গেছেন। তারা জাতিকে সেবা দিচ্ছেন। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা আরও দরকার।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতি এক লাখে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকা উচিত। কিন্তু আমরা জানি অ্যানেসথেসিয়া, ইএনটির মতো বিষয়ে সে সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। বেসিক সাবজেক্টে একই অবস্থা।

উপাচার্য বলেন, গতকাল আমাদের এমফিল অ্যানাটমিতে যে ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে, সেখানে আমরা ভর্তি করতে পারি ৩৬ জন। কিন্তু ভর্তির জন্য আবেদন করেছে মাত্র ২৬ জন। চান্স পেয়েছে ১৪ জন। গত এমডি অ্যানাটমি কোর্সের ভর্তির পরীক্ষার সময় দেখলাম সিট ৭১টি, আবেদন করেছে ৪৯ জন, কিন্তু চান্স পেয়েছে ২৯ জন। এখনও আমরা বেসিক সাবজেক্টকে চিকিৎসকদের আকৃষ্ট করতে পারছি না।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বেসিক সাবজেক্ট বায়োকেমিস্ট্রি, ফার্মাকোলোজি, ফরেনসিক মেডিসিন ও অ্যানেসথেসিয়ার মতো বিষয়ে ইনসেনটিভ দিতে হবে। তাদের বয়স বৃদ্ধি করতে হবে। অন্যথায় আমরা অভিজ্ঞ কাউকে পাব না। আমরা গত তিন বছরে বেসিক সাবজেক্টে অনেক আসন বাড়িয়েছি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার, বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহসহ আরও অনেকে।

জানা গেছে, এবার ইনডাকশন প্রোগ্রামে ১ হাজার ৪২৩ জন চিকিৎসক অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হওয়ার জন্য শপথ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে রেসিডেন্টদের শপথ বাক্য পাঠ করান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: