ঢাকা , রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাওহীদের সঙ্গে তানজীম-তাসকিনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লো বাংলাদেশ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪
  • 3

তাওহীদ হৃদয়ের রান ৮৪। ইনিংসের বাকি তিন বল। চতুর্থ বল স্কুপ করতে গিয়ে মিস হলে হতাশ হতে দেখা যায় এই ব্যাটারকে। হতাশ হলেও ভেঙে পড়েননি, শেষ দুই বলে চোখ ধাঁধানো দুই ছয় হাঁকিয়ে বাংলাদেশকে এনে দেন চ্যালেঞ্জিং স্কোর। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন দুই টেলএন্ডার তানজীম হসান সাকিব-তাসকিন আহমেদ।

শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৮৬ রান করে বাংলাদেশ। তাওহীদ ৯৬ ও তাসকিন ১৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। দুজনে ৮ম উইকেটের জুটিতে মাত্র ২৩ বলে যোগ করেন ৫০ রান!

মেহেদি হাসান মিরাজ (১২) রানে আউটের পর চ্যালেঞ্জিং স্কোর নিয়ে সংশয় জাগে। ক্রিজে একমাত্র ব্যাটার ছিলেন তাওহীদ, সঙ্গী হিসেবে ছিল না কোনো স্বীকৃত ব্যাটার। তবে এখানেই চমকে দেন তানজীম হাসান ও তাসকিনরা। প্রথমে তানজীম জুটি গড়েন তাওহীদের সঙ্গে। ৪৭ রানের এই জুটি এক প্রকার বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরায়। তানজীম ১৮ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি।

এরপর তাসকিন এসে প্রথম বল থেকেই মারকুটে ব্যাটিং করতে থাকেন। অন্যপ্রান্তে তাওহীদ হাত খুলে খেলতে থাকেন। দুজনের ঝড়ে বাংলাদেশ পেয়ে যায় লড়াকু স্কোর। ইনিংসের শেষ দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে চলে যান সেঞ্চুরির কাছে। তবে বিপদের মুহুর্তে এক প্রান্তে আগলে রেখে খেলায় মাঝে সাবধানী ব্যাটিং করতে হয়।

বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল বাজেভাবে লিটন দাসের শূন্যরানে আউটে। ধাক্কা সামলে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৭৫ রানের জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই জীবন পেয়ে ৪০ রানে শান্ত আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর ক্রিজে সৌম্যর সঙ্গী হন তাওহীদ। দুজনে ফিফটির জুটি গড়ে এগোতে থাকেন। সৌম্য দেখা পান ফিফটির। সঙ্গে দ্রুততম ২ হাজার রানের কীর্তি গড়েন। ৬৮ রানে হাসারাঙ্গার বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে কাটা পড়েন। দুই বল ব্যবধানে নতুন ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ হাসারাঙ্গার শিকার হয়ে ফিরলে বিপদ বাড়ে।

তাওহীদের সঙ্গী হন এবার মুশফিকুর রহিম। সাবলীল খেলতে থাকা মুশফিক রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন সাজঘরে। এরপর মিরাজও শিকার হন হাসারাঙ্গার। ১২ রানে মিরাজের আউটের পর দুই টেল এন্ডারকে নিয়ে দারুণ ভাবে ৫০ ওভার শেষ করে আসেন তাওহীদ। হাসারাঙ্গা একাই নেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট নেন মাদুশংকা।

বিজনেস আওয়ার/১৫ মার্চ/ এম এস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

তাওহীদের সঙ্গে তানজীম-তাসকিনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লো বাংলাদেশ

পোস্ট হয়েছে : ০৬:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪

তাওহীদ হৃদয়ের রান ৮৪। ইনিংসের বাকি তিন বল। চতুর্থ বল স্কুপ করতে গিয়ে মিস হলে হতাশ হতে দেখা যায় এই ব্যাটারকে। হতাশ হলেও ভেঙে পড়েননি, শেষ দুই বলে চোখ ধাঁধানো দুই ছয় হাঁকিয়ে বাংলাদেশকে এনে দেন চ্যালেঞ্জিং স্কোর। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন দুই টেলএন্ডার তানজীম হসান সাকিব-তাসকিন আহমেদ।

শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৮৬ রান করে বাংলাদেশ। তাওহীদ ৯৬ ও তাসকিন ১৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। দুজনে ৮ম উইকেটের জুটিতে মাত্র ২৩ বলে যোগ করেন ৫০ রান!

মেহেদি হাসান মিরাজ (১২) রানে আউটের পর চ্যালেঞ্জিং স্কোর নিয়ে সংশয় জাগে। ক্রিজে একমাত্র ব্যাটার ছিলেন তাওহীদ, সঙ্গী হিসেবে ছিল না কোনো স্বীকৃত ব্যাটার। তবে এখানেই চমকে দেন তানজীম হাসান ও তাসকিনরা। প্রথমে তানজীম জুটি গড়েন তাওহীদের সঙ্গে। ৪৭ রানের এই জুটি এক প্রকার বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরায়। তানজীম ১৮ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি।

এরপর তাসকিন এসে প্রথম বল থেকেই মারকুটে ব্যাটিং করতে থাকেন। অন্যপ্রান্তে তাওহীদ হাত খুলে খেলতে থাকেন। দুজনের ঝড়ে বাংলাদেশ পেয়ে যায় লড়াকু স্কোর। ইনিংসের শেষ দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে চলে যান সেঞ্চুরির কাছে। তবে বিপদের মুহুর্তে এক প্রান্তে আগলে রেখে খেলায় মাঝে সাবধানী ব্যাটিং করতে হয়।

বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল বাজেভাবে লিটন দাসের শূন্যরানে আউটে। ধাক্কা সামলে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৭৫ রানের জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই জীবন পেয়ে ৪০ রানে শান্ত আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর ক্রিজে সৌম্যর সঙ্গী হন তাওহীদ। দুজনে ফিফটির জুটি গড়ে এগোতে থাকেন। সৌম্য দেখা পান ফিফটির। সঙ্গে দ্রুততম ২ হাজার রানের কীর্তি গড়েন। ৬৮ রানে হাসারাঙ্গার বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে কাটা পড়েন। দুই বল ব্যবধানে নতুন ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ হাসারাঙ্গার শিকার হয়ে ফিরলে বিপদ বাড়ে।

তাওহীদের সঙ্গী হন এবার মুশফিকুর রহিম। সাবলীল খেলতে থাকা মুশফিক রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন সাজঘরে। এরপর মিরাজও শিকার হন হাসারাঙ্গার। ১২ রানে মিরাজের আউটের পর দুই টেল এন্ডারকে নিয়ে দারুণ ভাবে ৫০ ওভার শেষ করে আসেন তাওহীদ। হাসারাঙ্গা একাই নেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট নেন মাদুশংকা।

বিজনেস আওয়ার/১৫ মার্চ/ এম এস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: