ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদকে সামনে রেখে পাকিস্তানি টুপি চাহিদার শীর্ষে

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
  • 2

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ঈদকে কেন্দ্র করে পুরুষদের জন্য এখনো হালফ্যাশনের সবচেয়ে জনপ্রিয় পোশাক পাঞ্জাবি। সেই সঙ্গে অন্যতম অনুষঙ্গ টুপি। ঈদের আমেজে পরিপূর্ণ সাজতে এবার পাকিস্তানি টুপির চাহিদা বেশি। রাজধানীর জিরো পয়েন্টে পাঞ্জাবির বিখ্যাত পীর ইয়েমেনি মার্কেটের সামনে জমজমাট টুপি বেচাকেনা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সরেজমিনে রাজধানীর পীর ইয়েমেনি মার্কেটের সামনে ফুটপাতে দেখা গেছে বাহারি ধরনের সারি সারি টুপি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। দেশি-বিদেশিসহ বৈচিত্র্যময় টুপি পাওয়া যাচ্ছে সুলভমূল্যে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রমজানের ঈদ থেকে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত টুপির চাহিদা থাকে অনেক। সেই অনুযায়ী এবার ১৫ রমজানের পর থেকে ফুটপাতে টুপি বেচাকেনা বেড়েছে। মানভেদে এই ফুটপাতে ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত টুপি রয়েছে। সবচেয়ে বেশি চাহিদা পাকিস্তানি ও কাশ্মিরি টুপির। এছাড়াও আজমির শরিফ, দিল্লির টুপির চাহিদা রয়েছে।

ব্যবসায়ীরা আরও জানান, মূলত এখানে দেশি টুপির পাশাপাশি পাকিস্তানি ও ভারতীয় টুপি রয়েছে। এছাড়াও চীন, মিশর, আফগানি টুপিও রয়েছে। কম দামে বৈচিত্র্যময় নকশার কারণে এগুলোর চাহিদা বেশি। দেশি-বিদেশি এসব টুপি খদ্দর বাজার শপিং কমপ্লেক্স, বায়তুল মোকাররম মার্কেট, চকবাজার থেকে আনেন বলে জানাম তারা।

এই ফুটপাতে ৩০০ থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা পর্যন্ত পাকিস্তানি টুপি রয়েছে। ভারতীয় টুপি পাওয়া যাচ্ছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকায়। এছাড়াও চীনা টুপি রয়েছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা। ছোট পুঁথির সাথে সোনালি কাজ করা প্রতিটি দেশি টুপি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকায়। এছাড়াও নেটের তৈরি চীনা টুপি ১৫০ টাকা ও তুর্কির টুপি ৫০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন দোকানিরা।

আবু রায়হান নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, শহরের বিভিন্ন পাঞ্জাবি দোকানের চেয়ে এখানে তুলনামূলক কম দামে টুপি পাওয়া যায়। ইয়েমেনি মার্কেট থেকে পাঞ্জাবি কিনে এখান থেকে অনেকেই টুপি কিনে নিয়ে যায়। প্রতিদিন ২০০ টুপি বিক্রি করেন তারা। তবে ঈদের আগ মুহূর্তে প্রতিদিন ৫০০ টুপি বিক্রির আশা করছেন তারা।

লিটন সর্দার নামে আরেক ব্যবসায়ী জানান, এখানে সব বয়সী মানুষের টুপি আছে। আলিয়া, কওমি, সুন্নি যারাই যেমন ধরনের টুপি চান, চাহিদার সব টুপি এখানে আছে। তবে মানুষে হাতে টাকা কম থাকায় এবার এখনো প্রত্যাশা অনুযায়ী বেচাকেনা হচ্ছে না। অনেকে বাচ্চাদের জন্য কিনলেও নিজেদের জন্য কিনছেন না। তবে ২০ রমজান থেকে বেচাকেনা আরও বাড়বে।

শহিদুল নামে এক ক্রেতা বলেন, মার্কেটের চেয়ে এখানে টুপির দাম কম। পাকিস্তানি ও কাশ্মিরি মেজেন্ডা রঙের টুপি নিয়েছি। বিদেশি টুপির দাম একটু বেশি হলেও বৈচিত্র্যময় হওয়ায় পাঞ্জাবির সাথে দেখতে পরতে ভালো দেখায়।

জানা গেছে, ঈদ আসলেই নগরীর বড় বড় ফ্যাশন হাউসের পাশাপাশি গুলিস্তানের আশপাশে ফুটপাতগুলোতে বেচাকেনা জমজমাট থাকে। টুপির পাশাপাশি আতর, জায়নামাজ ও বিক্রি হচ্ছে এই ফুটপাতগুলোতে।

বিজনেস আওয়ার/২৮ মার্চ/ এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ঈদকে সামনে রেখে পাকিস্তানি টুপি চাহিদার শীর্ষে

পোস্ট হয়েছে : ১১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ঈদকে কেন্দ্র করে পুরুষদের জন্য এখনো হালফ্যাশনের সবচেয়ে জনপ্রিয় পোশাক পাঞ্জাবি। সেই সঙ্গে অন্যতম অনুষঙ্গ টুপি। ঈদের আমেজে পরিপূর্ণ সাজতে এবার পাকিস্তানি টুপির চাহিদা বেশি। রাজধানীর জিরো পয়েন্টে পাঞ্জাবির বিখ্যাত পীর ইয়েমেনি মার্কেটের সামনে জমজমাট টুপি বেচাকেনা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সরেজমিনে রাজধানীর পীর ইয়েমেনি মার্কেটের সামনে ফুটপাতে দেখা গেছে বাহারি ধরনের সারি সারি টুপি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। দেশি-বিদেশিসহ বৈচিত্র্যময় টুপি পাওয়া যাচ্ছে সুলভমূল্যে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রমজানের ঈদ থেকে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত টুপির চাহিদা থাকে অনেক। সেই অনুযায়ী এবার ১৫ রমজানের পর থেকে ফুটপাতে টুপি বেচাকেনা বেড়েছে। মানভেদে এই ফুটপাতে ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত টুপি রয়েছে। সবচেয়ে বেশি চাহিদা পাকিস্তানি ও কাশ্মিরি টুপির। এছাড়াও আজমির শরিফ, দিল্লির টুপির চাহিদা রয়েছে।

ব্যবসায়ীরা আরও জানান, মূলত এখানে দেশি টুপির পাশাপাশি পাকিস্তানি ও ভারতীয় টুপি রয়েছে। এছাড়াও চীন, মিশর, আফগানি টুপিও রয়েছে। কম দামে বৈচিত্র্যময় নকশার কারণে এগুলোর চাহিদা বেশি। দেশি-বিদেশি এসব টুপি খদ্দর বাজার শপিং কমপ্লেক্স, বায়তুল মোকাররম মার্কেট, চকবাজার থেকে আনেন বলে জানাম তারা।

এই ফুটপাতে ৩০০ থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা পর্যন্ত পাকিস্তানি টুপি রয়েছে। ভারতীয় টুপি পাওয়া যাচ্ছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকায়। এছাড়াও চীনা টুপি রয়েছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা। ছোট পুঁথির সাথে সোনালি কাজ করা প্রতিটি দেশি টুপি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকায়। এছাড়াও নেটের তৈরি চীনা টুপি ১৫০ টাকা ও তুর্কির টুপি ৫০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন দোকানিরা।

আবু রায়হান নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, শহরের বিভিন্ন পাঞ্জাবি দোকানের চেয়ে এখানে তুলনামূলক কম দামে টুপি পাওয়া যায়। ইয়েমেনি মার্কেট থেকে পাঞ্জাবি কিনে এখান থেকে অনেকেই টুপি কিনে নিয়ে যায়। প্রতিদিন ২০০ টুপি বিক্রি করেন তারা। তবে ঈদের আগ মুহূর্তে প্রতিদিন ৫০০ টুপি বিক্রির আশা করছেন তারা।

লিটন সর্দার নামে আরেক ব্যবসায়ী জানান, এখানে সব বয়সী মানুষের টুপি আছে। আলিয়া, কওমি, সুন্নি যারাই যেমন ধরনের টুপি চান, চাহিদার সব টুপি এখানে আছে। তবে মানুষে হাতে টাকা কম থাকায় এবার এখনো প্রত্যাশা অনুযায়ী বেচাকেনা হচ্ছে না। অনেকে বাচ্চাদের জন্য কিনলেও নিজেদের জন্য কিনছেন না। তবে ২০ রমজান থেকে বেচাকেনা আরও বাড়বে।

শহিদুল নামে এক ক্রেতা বলেন, মার্কেটের চেয়ে এখানে টুপির দাম কম। পাকিস্তানি ও কাশ্মিরি মেজেন্ডা রঙের টুপি নিয়েছি। বিদেশি টুপির দাম একটু বেশি হলেও বৈচিত্র্যময় হওয়ায় পাঞ্জাবির সাথে দেখতে পরতে ভালো দেখায়।

জানা গেছে, ঈদ আসলেই নগরীর বড় বড় ফ্যাশন হাউসের পাশাপাশি গুলিস্তানের আশপাশে ফুটপাতগুলোতে বেচাকেনা জমজমাট থাকে। টুপির পাশাপাশি আতর, জায়নামাজ ও বিক্রি হচ্ছে এই ফুটপাতগুলোতে।

বিজনেস আওয়ার/২৮ মার্চ/ এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: