ঢাকা , রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আছিয়ার গোজাঁমিল আর্থিক হিসাব

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুন ২০২২
  • 2

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দীর্ঘ ৭-৮ বছর অপেক্ষা করেও শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাচ্ছিল না আছিয়া সী ফুডস। যে কোম্পানিটির সমস্যার কারনে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন বাতিল করেছিল। আর বিগত কমিশনতো এ কোম্পানিটিকে যোগ্যই মনে করেনি। তারপরেও ভূয়া সম্পত্তি ও গোজাঁমিল আর্থিক হিসাব দিয়ে এসএমই মার্কেট থেকে অর্থ উত্তোলন করতে যাচ্ছে এই কোম্পানিটি।

এছাড়া শেয়ারবাজারে থাকা একই খাতের অন্য কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক অবস্থা ভালো না। এই খাতের তালিকাভুক্ত ৩টি কোম্পানির মধ্যে এপেক্স ফুডস ভালো চললেও বীচ হ্যাচারি ও জেমিনি সী ফুডস নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। যা নিরীক্ষকের প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে। এ নিয়ে গত ১১ জানুয়ারি বিজনেস আওয়ারে ‘জেমিনি সী ফুড উৎপাদনে নাজুক, ঝুঁকিতে ব্যবসা’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আর কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভ তৈরী করার সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বীচ হ্যাচারির কারখানা ভবন ও হ্যাচারি ইক্যুপমেন্ট ধ্বংস করে দিয়েছে। এছাড়া কিছু জমিও অধিগ্রহন করে নিয়েছে।

আছিয়া সী ফুডস নিয়ে এবারের পর্বে বিনিয়োগকারীদের থেকে অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে প্রকাশিত আর্থিক হিসাবের কিছু গোজাঁমিলের তথ্য তুলে ধরা হল। যেখানে একই বিষয়ে পৃষ্টাভেদে ভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

কোম্পানিটির প্রসপেক্টাসের ৪ পৃষ্টায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) দেখানো হয়েছে ০.৭৩ টাকা। কিন্তু ১৭৫ পৃষ্টায় এই ইপিএসের পরিমাণ ০.৬৬ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বেসিক এবং ডাইলুটেড উভয় ক্ষেত্রেই ০.৬৬ টাকা। সে হিসাবে ৪ পৃষ্টায় ০.৭৩ টাকা হওয়ার সুযোগ নেই।

কোম্পানি গঠনের অনেক পরে বিনিয়োগ এবং সাবস্ক্রাইবার টু দ্য মেমোরেন্ডাম ও আর্টিক্যালস অব এসোসিয়েশনে নাম না থাকা সত্ত্বেও আছিয়া সী ফুডসের বর্তমান চেয়ারম্যান আলি আজগর নাসির, পরিচালক নাদিরুল ইসলাম বাবু ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরিকুল ইসলাম জহিরকে প্রোমোটরস ও স্পন্সর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বিএসইসির আইনে বলা হয়েছে, স্পন্সর মানে যার নাম সাবস্ক্রাইবার টু দ্য মেমোরেন্ডাম ও আর্টিক্যালস অব এসোসিয়েশনে আছে।

আরও পড়ুন……

ভূয়া সম্পত্তি দেখিয়ে শেয়ারবাজারে আসছে আছিয়া সী ফুডস
শেয়ারবাজারে আসার আগে আছিয়া ফুডসের অস্বাভাবিক আয় বৃদ্ধি

প্রসপেক্টাসের ৫ পৃষ্টা অনুযায়ি, আছিয়া সী ফুডস ১৯৯৩ সালে গঠিত। এ কোম্পানিটিতে ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো বিনিয়োগ করেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরিকুল ইসলাম জহির। এছাড়া চেয়ারম্যান আলি আজগর নাসির ও পরিচালক নাদিরুল ইসলাম বাবু ২০০৮ সালে প্রথম বিনিয়োগ করেন। কোম্পানি প্রতিষ্ঠার এতো বছর পরে বিনিয়োগ করা সত্ত্বেও তাদেরকে প্রসপেক্টাসের ৬ ও ৭৯ পৃষ্টায় প্রোমোটরস ও স্পন্সর হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্যদিকে ৭৯ পৃষ্টাতেই নোট (I)-তে তরিকুল ইসলাম জহির, আলি আজগর নাসির ও নাদিরুল ইসলাম বাবু কোম্পানির উদ্যোক্তা না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। কোম্পানির নিয়ন্ত্রন অধিগ্রহণ করা হয় বলে জানানো হয়েছে।

প্রসপেক্টাসের ৭ পৃষ্টায় ২০১৪ সালে নগদ ছাড়া অন্যকিছুর বিনিময়ে শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ২০১৬ সালে নগদে শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে বলে দাবি। কিন্তু ৪৭ পৃষ্টায় পরিচালকদের মাঝে শেয়ার ইস্যুর তথ্যে ২০১৪ সালে নগদে এবং ১৬ সালে নগদ ছাড়া অন্যকিছুর বিনিময়ে শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে বলে দাবি।

২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যবসায় ২১৩ শতাংশের মতো অস্বাভাবিক বেশি আয় দেখানো আছিয়া সী ফুডসকে ঋণের চাপেঁ কোম্পানিটির প্রায় পুরো জমি জামানত হিসাবে রাখতে হয়েছে। কোম্পানিটির ২৮৫.৭৭ শতক জমির মধ্যে ২৭৫.৮১ শতক জমি মার্কেন্টাইল ব্যাংকের কাছে জামানত রয়েছে।

প্রসপেক্টাসের ৬১ পৃষ্টায়, শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো হিসাবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে (২.৬৮) টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩.৬৩ টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ০.৩৩ টাকা ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১.৩২ টাকা দেখিয়েছে। কিন্তু ২০০ পৃষ্টায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে (২.৪৪) টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩.৩০ টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ০.৩০ টাকা ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১.২০ টাকা দেখানো হয়েছে।

এ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ সোর্স অব ক্যাশ বা কোম্পানিতে নগদ অর্থ প্রবেশের মাধ্যম হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে শেয়ার ক্যাপিটাল থেকে ২২.৩৬ কোটি এবং কাস্টমার এবং অন্যান্য আয় থেকে ২২.৩৬ কোটি টাকা নগদ সংগ্রহ দেখিয়েছে। এই দুইয়ের যোগফল হিসাবে ১১৬.০১ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ যোগফল হয় প্রায় ৪৪.৭২ কোটি টাকা।

নিজেদের বয়সের বিষয়েও বিভ্রান্তমূলক তথ্য দিয়েছে আছিয়া সী ফুডস কর্তৃপক্ষ। তারা ৭৫ পৃষ্টায়, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরিকুল ইসলাম জহিরের বয়স ৪৯, চেয়ারম্যান আলি আজগর নাসিরের ৫৪ এবং পরিচালক নাদিরুল ইসলাম বাবুর ৪৬ বছর উল্লেখ করলেও ৭৯ পৃষ্টায় যথাক্রমে ৫২, ৫৭ ও ৪৯ বছর উল্লেখ করেছে।

বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ি, শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করতে আসা সব কোম্পানিকে আইপিও/কিউআইও পূর্ব পরিশোধিত মূলধনের ব্যবহার দেখাতে হয়। কিন্তু আছিয়া সী ফুডস সর্বশেষ ২০২০ সালে মূলধন বাড়ালেও তা নিয়ে কোন তথ্য দেয়নি।

এ বিষয়ে জানতে কোম্পানির প্রধান অর্থ কর্মকর্তার (সিএফও) সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ইস্যু ম্যানেজার এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের সচিব মো. ওলিউর রহমান ভালো বলতে পারবেন। পরে ওলিউর রহমানকে ফোন দিলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে মিডিয়ায় কথা বলার জন্য আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত না।

বিজনেস আওয়ার/১৫ জুন, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

One thought on “আছিয়ার গোজাঁমিল আর্থিক হিসাব

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আছিয়ার গোজাঁমিল আর্থিক হিসাব

পোস্ট হয়েছে : ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুন ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দীর্ঘ ৭-৮ বছর অপেক্ষা করেও শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাচ্ছিল না আছিয়া সী ফুডস। যে কোম্পানিটির সমস্যার কারনে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন বাতিল করেছিল। আর বিগত কমিশনতো এ কোম্পানিটিকে যোগ্যই মনে করেনি। তারপরেও ভূয়া সম্পত্তি ও গোজাঁমিল আর্থিক হিসাব দিয়ে এসএমই মার্কেট থেকে অর্থ উত্তোলন করতে যাচ্ছে এই কোম্পানিটি।

এছাড়া শেয়ারবাজারে থাকা একই খাতের অন্য কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক অবস্থা ভালো না। এই খাতের তালিকাভুক্ত ৩টি কোম্পানির মধ্যে এপেক্স ফুডস ভালো চললেও বীচ হ্যাচারি ও জেমিনি সী ফুডস নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। যা নিরীক্ষকের প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে। এ নিয়ে গত ১১ জানুয়ারি বিজনেস আওয়ারে ‘জেমিনি সী ফুড উৎপাদনে নাজুক, ঝুঁকিতে ব্যবসা’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আর কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভ তৈরী করার সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বীচ হ্যাচারির কারখানা ভবন ও হ্যাচারি ইক্যুপমেন্ট ধ্বংস করে দিয়েছে। এছাড়া কিছু জমিও অধিগ্রহন করে নিয়েছে।

আছিয়া সী ফুডস নিয়ে এবারের পর্বে বিনিয়োগকারীদের থেকে অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে প্রকাশিত আর্থিক হিসাবের কিছু গোজাঁমিলের তথ্য তুলে ধরা হল। যেখানে একই বিষয়ে পৃষ্টাভেদে ভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

কোম্পানিটির প্রসপেক্টাসের ৪ পৃষ্টায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) দেখানো হয়েছে ০.৭৩ টাকা। কিন্তু ১৭৫ পৃষ্টায় এই ইপিএসের পরিমাণ ০.৬৬ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বেসিক এবং ডাইলুটেড উভয় ক্ষেত্রেই ০.৬৬ টাকা। সে হিসাবে ৪ পৃষ্টায় ০.৭৩ টাকা হওয়ার সুযোগ নেই।

কোম্পানি গঠনের অনেক পরে বিনিয়োগ এবং সাবস্ক্রাইবার টু দ্য মেমোরেন্ডাম ও আর্টিক্যালস অব এসোসিয়েশনে নাম না থাকা সত্ত্বেও আছিয়া সী ফুডসের বর্তমান চেয়ারম্যান আলি আজগর নাসির, পরিচালক নাদিরুল ইসলাম বাবু ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরিকুল ইসলাম জহিরকে প্রোমোটরস ও স্পন্সর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বিএসইসির আইনে বলা হয়েছে, স্পন্সর মানে যার নাম সাবস্ক্রাইবার টু দ্য মেমোরেন্ডাম ও আর্টিক্যালস অব এসোসিয়েশনে আছে।

আরও পড়ুন……

ভূয়া সম্পত্তি দেখিয়ে শেয়ারবাজারে আসছে আছিয়া সী ফুডস
শেয়ারবাজারে আসার আগে আছিয়া ফুডসের অস্বাভাবিক আয় বৃদ্ধি

প্রসপেক্টাসের ৫ পৃষ্টা অনুযায়ি, আছিয়া সী ফুডস ১৯৯৩ সালে গঠিত। এ কোম্পানিটিতে ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো বিনিয়োগ করেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরিকুল ইসলাম জহির। এছাড়া চেয়ারম্যান আলি আজগর নাসির ও পরিচালক নাদিরুল ইসলাম বাবু ২০০৮ সালে প্রথম বিনিয়োগ করেন। কোম্পানি প্রতিষ্ঠার এতো বছর পরে বিনিয়োগ করা সত্ত্বেও তাদেরকে প্রসপেক্টাসের ৬ ও ৭৯ পৃষ্টায় প্রোমোটরস ও স্পন্সর হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্যদিকে ৭৯ পৃষ্টাতেই নোট (I)-তে তরিকুল ইসলাম জহির, আলি আজগর নাসির ও নাদিরুল ইসলাম বাবু কোম্পানির উদ্যোক্তা না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। কোম্পানির নিয়ন্ত্রন অধিগ্রহণ করা হয় বলে জানানো হয়েছে।

প্রসপেক্টাসের ৭ পৃষ্টায় ২০১৪ সালে নগদ ছাড়া অন্যকিছুর বিনিময়ে শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ২০১৬ সালে নগদে শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে বলে দাবি। কিন্তু ৪৭ পৃষ্টায় পরিচালকদের মাঝে শেয়ার ইস্যুর তথ্যে ২০১৪ সালে নগদে এবং ১৬ সালে নগদ ছাড়া অন্যকিছুর বিনিময়ে শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে বলে দাবি।

২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যবসায় ২১৩ শতাংশের মতো অস্বাভাবিক বেশি আয় দেখানো আছিয়া সী ফুডসকে ঋণের চাপেঁ কোম্পানিটির প্রায় পুরো জমি জামানত হিসাবে রাখতে হয়েছে। কোম্পানিটির ২৮৫.৭৭ শতক জমির মধ্যে ২৭৫.৮১ শতক জমি মার্কেন্টাইল ব্যাংকের কাছে জামানত রয়েছে।

প্রসপেক্টাসের ৬১ পৃষ্টায়, শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো হিসাবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে (২.৬৮) টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩.৬৩ টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ০.৩৩ টাকা ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১.৩২ টাকা দেখিয়েছে। কিন্তু ২০০ পৃষ্টায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে (২.৪৪) টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩.৩০ টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ০.৩০ টাকা ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১.২০ টাকা দেখানো হয়েছে।

এ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ সোর্স অব ক্যাশ বা কোম্পানিতে নগদ অর্থ প্রবেশের মাধ্যম হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে শেয়ার ক্যাপিটাল থেকে ২২.৩৬ কোটি এবং কাস্টমার এবং অন্যান্য আয় থেকে ২২.৩৬ কোটি টাকা নগদ সংগ্রহ দেখিয়েছে। এই দুইয়ের যোগফল হিসাবে ১১৬.০১ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ যোগফল হয় প্রায় ৪৪.৭২ কোটি টাকা।

নিজেদের বয়সের বিষয়েও বিভ্রান্তমূলক তথ্য দিয়েছে আছিয়া সী ফুডস কর্তৃপক্ষ। তারা ৭৫ পৃষ্টায়, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরিকুল ইসলাম জহিরের বয়স ৪৯, চেয়ারম্যান আলি আজগর নাসিরের ৫৪ এবং পরিচালক নাদিরুল ইসলাম বাবুর ৪৬ বছর উল্লেখ করলেও ৭৯ পৃষ্টায় যথাক্রমে ৫২, ৫৭ ও ৪৯ বছর উল্লেখ করেছে।

বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ি, শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করতে আসা সব কোম্পানিকে আইপিও/কিউআইও পূর্ব পরিশোধিত মূলধনের ব্যবহার দেখাতে হয়। কিন্তু আছিয়া সী ফুডস সর্বশেষ ২০২০ সালে মূলধন বাড়ালেও তা নিয়ে কোন তথ্য দেয়নি।

এ বিষয়ে জানতে কোম্পানির প্রধান অর্থ কর্মকর্তার (সিএফও) সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ইস্যু ম্যানেজার এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের সচিব মো. ওলিউর রহমান ভালো বলতে পারবেন। পরে ওলিউর রহমানকে ফোন দিলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে মিডিয়ায় কথা বলার জন্য আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত না।

বিজনেস আওয়ার/১৫ জুন, ২০২২/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: