বিনোদন ডেস্ক: নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে জাতীয় দলের নারী ফুটবলারদের বেতন কাঠামো নিয়ে। ‘বেতন কাঠামো সম্মানজনক জায়গায় নেয়া হলে অন্য মেয়েরাও খেলায় আসতে উৎসাহিত হবে।’ বলে মনে করেন দেশের খ্যাতিমান নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক স্ট্যাটাসে ফারুকী বলেন, ‘এখন যেটা দরকার সেটা হলো, এদের বেতন কাঠামো সম্মানজনক জায়গায় নেয়া। এ বিষয়ে সবাই কথা বললে অন্য মেয়েরাও খেলায় আসতে উৎসাহিত হবে।’
স্ট্যাটাসের শুরুতেই বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে নিয়ে ফারুকী লেখেন, ‘মাঝে মধ্যে আমার মনে হয় আমরা সব কিছু এমনভাবে ঠেলতে শুরু করি, যে তখন আর জিনিসপত্র অবজেক্টিভলি দেখার সুযোগ থাকে না। এই যেমন সালাউদ্দিন ভাই। উনার বিতর্কিত শেষ নির্বাচন, সভাপতি পদে প্রায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত, অনেক সময়ই অপ্রয়োজনীয় এবং যুক্তিহীন কথা যেমন মেয়েদের বিয়ে দিতে সাহায্য করা, দৃষ্টিকটু রাগ- এরকম আরো অনেক বিষয়েই সমালোচনা করা যাইতে পারে।
‘কিন্তু বহু বছর আগ থেকেই এই মেয়েদের এক সাথে রেখে ট্রেনিং করানো এবং এদের একটা টিম হিসাবে গড়ে উঠতে সাহায্য করাটাকে অ্যাপ্রিশিয়েট না করাটা ঠিক হবে না। এমনকি উনাদের সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলন ও ফটোসেশন ডিজাস্টারকে সমালোচনা করলেও তাতে তাদের এই কৃতিত্ব আড়াল করার সুযোগ নাই। গাইজ, প্লিজ লেটস গিভ দেম হোয়াট দে ডিজার্ভ।’
এরপর সাফ বিজয়ীদের বেতন কাঠানো নিয়ে তিনি লেখেন, ‘এখন যেটা দরকার সেটা হলো, এদের বেতন কাঠামো সম্মানজনক জায়গায় নেয়া। এই বিষয়ে সবাই কথা বললে শুধু যে এই খেলোয়াড়দের জন্য ভালো হবে তা না, অন্য মেয়েরাও খেলায় আসতে উৎসাহিত হবে। এছাড়াও, দেশের ভেতর মেয়েদের নিয়মিত টুর্নামেন্ট কেমনে খেলানো যায় এসব নিয়েও ভাবা যাইতে পারে।’
ঢাকাসহ সারা দেশের মেয়েদের কীভাবে ফুটবল ও অন্যান্য খেলার প্রতি মনোযোগী করা যেতে পারে তা নিয়েও সবাইকে ভাববার আহ্বান জানান ফারুকী।
তিনি লেখেন, ‘জেলায় জেলায় ফুটবল করা যায় কেমনে দেখা যাইতে পারে। এমনকি গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, উত্তরা, মিরপুরের স্কুলগুলাতে কি হচ্ছে, ওখানকার মেয়েরা কি খেলতে চায়, চাইলে কিভাবে ওদের ইনক্লুড করা যায়, এরকম নানা আইডিয়া নিয়া ভাবেন। এই মনোযোগ আর জোয়ারটাকে পজিটিভলি কাজে লাগানো যায় কিভাবে সেটা ভাবি আসেন। ধন্যবাদ।’
বিজনেস আওয়ার/ ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২/ এএইচএ