ঢাকা , বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীর অধিকার ফিরে পেতে আদালতে ইসরাত

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২
  • 2

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দুই সন্তান নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়েছেন ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের স্ত্রী ইসরাত জাহান। স্ত্রীর অধিকার ফিরে পেতে দিশেহারা হয়ে আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন আল-আমিনের স্ত্রী।

রোববার (১৬ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে ইসরাত জাহানের করা মামলায় জবাবের বিষয় শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আল-আমিনও আদালতে উপস্থিত হন।

ইসরাত বলেন, আমি দুই সন্তান নিয়ে দিশেহারা। আমি আল-আমিনের সঙ্গে সংসার করতে চাই। আমার দুই সন্তানও তার বাবাকে পাশে চায়। আমি ন্যায়বিচার চাই।

এর আগে বুধবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এ জবাবের বিষয় শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন আল-আমিন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তার আইনজীবী সময়ের আবেদন দাখিল করেন। অন্যদিকে দুই সন্তান নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন আল-আমিনের স্ত্রী।

আদালত আল-আমিনের সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে এক ঘণ্টা পর শুনানি করতে বলেন আইনজীবীকে। এরপর বিচারক মামলাটি শুনানির জন্য ডাকলে আল-আমিনের স্ত্রী উপস্থিত হননি। এছাড়া দুই পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত হননি। পরে আদালত জবাবের বিষয় শুনানির জন্য ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

তারও আগে গত ৬ অক্টোবর একই আদালতে স্ত্রী ইসরাত জাহানকে তালাক দিয়েছেন বলে লিখিত জবাব দাখিল করেন আল-আমিন। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আল-আমিন বৈবাহিক সম্পর্কের তিক্ততা বৃদ্ধি ও অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ তোলেন। ওইদিন আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলার বিষয়ে সাত পাতার একটি লিখিত জবাব দাখিল করেন আল-আমিন।

বাদীর আইনজীবী শামসুজ্জামান বলেন, আসামি আল-আমিন আদালতে উপস্থিত হয়ে হাজিরা দেন। এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে লিখিত জবাব দাখিল করেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, তিনি গত ২৫ আগস্ট তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। তবে তার স্ত্রী তালাক সংক্রান্ত কোনো কাগজ পাননি।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে ক্রিকেটার আল-আমিন আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলায় বলা হয়, বেশ কিছুদিন ধরে আল-আমিন তার স্ত্রী-সন্তানদের ভরণপোষণ দেন না এবং খোঁজ না রেখে এড়িয়ে চলেন। যোগাযোগও করেন না। দুই বছর ধরে আসামি বাদীর খোঁজখবর নেন না এবং বাসায় নিয়মিত থাকেন না। যার কারণে ইসরাত তার দুই সন্তানসহ বসতবাড়িতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার অধিকারসহ মাসিক ভরণপোষণ দাবি করে মামলাটি করেন।

আল-আমিনের দুটি পুত্রসন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ইংরেজি ভার্সনে কেজিতে পড়াশোনা করছে। জীবনধারণের জন্য ৪০ হাজার, দুই সন্তানের ভরণপোষণ ও ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়া বাবদ মাসে ৬০ হাজার টাকা আল-আমিনের কাছে পাওয়ার হকদার বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

বিজনেস আওয়ার/১৬ অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সর্বাধিক পঠিত

স্ত্রীর অধিকার ফিরে পেতে আদালতে ইসরাত

পোস্ট হয়েছে : ০২:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দুই সন্তান নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়েছেন ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের স্ত্রী ইসরাত জাহান। স্ত্রীর অধিকার ফিরে পেতে দিশেহারা হয়ে আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন আল-আমিনের স্ত্রী।

রোববার (১৬ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে ইসরাত জাহানের করা মামলায় জবাবের বিষয় শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আল-আমিনও আদালতে উপস্থিত হন।

ইসরাত বলেন, আমি দুই সন্তান নিয়ে দিশেহারা। আমি আল-আমিনের সঙ্গে সংসার করতে চাই। আমার দুই সন্তানও তার বাবাকে পাশে চায়। আমি ন্যায়বিচার চাই।

এর আগে বুধবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এ জবাবের বিষয় শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন আল-আমিন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তার আইনজীবী সময়ের আবেদন দাখিল করেন। অন্যদিকে দুই সন্তান নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন আল-আমিনের স্ত্রী।

আদালত আল-আমিনের সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে এক ঘণ্টা পর শুনানি করতে বলেন আইনজীবীকে। এরপর বিচারক মামলাটি শুনানির জন্য ডাকলে আল-আমিনের স্ত্রী উপস্থিত হননি। এছাড়া দুই পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত হননি। পরে আদালত জবাবের বিষয় শুনানির জন্য ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

তারও আগে গত ৬ অক্টোবর একই আদালতে স্ত্রী ইসরাত জাহানকে তালাক দিয়েছেন বলে লিখিত জবাব দাখিল করেন আল-আমিন। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আল-আমিন বৈবাহিক সম্পর্কের তিক্ততা বৃদ্ধি ও অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ তোলেন। ওইদিন আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলার বিষয়ে সাত পাতার একটি লিখিত জবাব দাখিল করেন আল-আমিন।

বাদীর আইনজীবী শামসুজ্জামান বলেন, আসামি আল-আমিন আদালতে উপস্থিত হয়ে হাজিরা দেন। এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে লিখিত জবাব দাখিল করেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, তিনি গত ২৫ আগস্ট তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। তবে তার স্ত্রী তালাক সংক্রান্ত কোনো কাগজ পাননি।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে ক্রিকেটার আল-আমিন আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলায় বলা হয়, বেশ কিছুদিন ধরে আল-আমিন তার স্ত্রী-সন্তানদের ভরণপোষণ দেন না এবং খোঁজ না রেখে এড়িয়ে চলেন। যোগাযোগও করেন না। দুই বছর ধরে আসামি বাদীর খোঁজখবর নেন না এবং বাসায় নিয়মিত থাকেন না। যার কারণে ইসরাত তার দুই সন্তানসহ বসতবাড়িতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার অধিকারসহ মাসিক ভরণপোষণ দাবি করে মামলাটি করেন।

আল-আমিনের দুটি পুত্রসন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ইংরেজি ভার্সনে কেজিতে পড়াশোনা করছে। জীবনধারণের জন্য ৪০ হাজার, দুই সন্তানের ভরণপোষণ ও ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়া বাবদ মাসে ৬০ হাজার টাকা আল-আমিনের কাছে পাওয়ার হকদার বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

বিজনেস আওয়ার/১৬ অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: