ঢাকা , রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রয়োজনে ডিম আমদানি করা হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩
  • 1

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসি বলেছেন, দাম না কমলে প্রয়োজন হলে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রবিবার (১৩ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে আগস্ট মাসের চালসহ টিসিবির পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডিমের দাম কত হওয়া উচিত সেটা প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্ধারণ করতে হবে।

গত বছরের এই সময়ে প্রতি ডজন ডিমের দাম উঠেছিল ১৫৫ টাকা। তবে বর্ষা শেষে তা আবার কমে যায়। গত মাস পর্যন্ত ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হয় ডিম। এরপরই থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে পণ্যটির দাম। ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন এখন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি পিসের দাম ১৫ টাকা।

ডিম এত বেশি দামে কিনে খাওয়ার কথা স্মরণ করতে পারছে না দেশবাসী। নিত্যপণ্যটির দাম বৃদ্ধির জন্য করপোরেট সিন্ডিকেটকে দায়ী করছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানায় সংগঠনটি।

এমন পরিস্থিতিতে ডিমের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশজুড়ে অভিযান চালানোর কথা জানায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এরই অংশ হিসেবে গতকাল অভিযান অভিযান চালায় সংস্থাটি। কিন্তু তারপরেও রাজধানীর অনেক স্থানে ৬০ টাকা হালি দরে ডিম বিক্রি করতে দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে দাম না কমলে প্রয়োজনে ডিম আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

বিজনেস আওয়ার/১৩ আগস্ট, ২০২৩/পিএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

প্রয়োজনে ডিম আমদানি করা হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

পোস্ট হয়েছে : ১২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসি বলেছেন, দাম না কমলে প্রয়োজন হলে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রবিবার (১৩ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে আগস্ট মাসের চালসহ টিসিবির পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডিমের দাম কত হওয়া উচিত সেটা প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্ধারণ করতে হবে।

গত বছরের এই সময়ে প্রতি ডজন ডিমের দাম উঠেছিল ১৫৫ টাকা। তবে বর্ষা শেষে তা আবার কমে যায়। গত মাস পর্যন্ত ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হয় ডিম। এরপরই থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে পণ্যটির দাম। ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন এখন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি পিসের দাম ১৫ টাকা।

ডিম এত বেশি দামে কিনে খাওয়ার কথা স্মরণ করতে পারছে না দেশবাসী। নিত্যপণ্যটির দাম বৃদ্ধির জন্য করপোরেট সিন্ডিকেটকে দায়ী করছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানায় সংগঠনটি।

এমন পরিস্থিতিতে ডিমের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশজুড়ে অভিযান চালানোর কথা জানায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এরই অংশ হিসেবে গতকাল অভিযান অভিযান চালায় সংস্থাটি। কিন্তু তারপরেও রাজধানীর অনেক স্থানে ৬০ টাকা হালি দরে ডিম বিক্রি করতে দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে দাম না কমলে প্রয়োজনে ডিম আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

বিজনেস আওয়ার/১৩ আগস্ট, ২০২৩/পিএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: